শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আবোল তাবোল (সুকুমার রায়)

আয়রে ভোলা খেয়াল-খোলা
    স্বপনদোলা নাচিয়ে আয়,
আয়রে পাগল আবোল তাবোল
    মত্ত মাদল বাজিয়ে আয়।
আয় যেখানে ক্ষ্যাপার গানে
    নাইকো মানে নাইকো সুর,
আয়রে যেথায় উধাও হাওয়ায়
    মন ভেসে যায় কোন সুদূর।

   আয় ক্ষ্যাপা-মন ঘুচিয়ে বাঁধন
       জাগিয়ে নাচন তাধিন্ ধিন্,
   আয় বেয়াড়া সৃষ্টিছাড়া 
       নিয়মহারা হিসাবহীন।
   আজগুবি চাল বেঠিক বেতাল
       মাতবি মাতাল রঙ্গেতে—
   আয়রে তবে ভুলের ভবে
       অসম্ভবের ছন্দেতে॥
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ছুটলে কথা থামায় কে, আজকে ঠেকায় আমায় কে? আজকে আমার মনের মাঝে, ধাঁই ধপাধপ তবলা বাজে, রাম খটাখট ঘ্যাচাং ঘ্যাঁচ, কথায় কাটে কথার প্যাঁচ, ঘনিয়ে এলো ঘুমের ঘোর, গানের পালা সাঙ্গ মোর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আবোল তাবোল (সুকুমার রায়)


আয়রে ভোলা খেয়াল-খোলা  

 স্বপনদোলা নাচিয়ে আয়,  

 আয়রে পাগল আবোল তাবোল  

 মত্ত মাদল বাজিয়ে আয়।  

 আয় যেখানে ক্ষ্যাপার গানে  

 নাইকো মানে নাইকো সুর।  

 আয়রে যেথায় উধাও হাওয়ায়  

 মন ভেসে যায় কোন সুদূর।  

 আয় ক্ষ্যাপা-মন ঘুচিয়ে বাঁধন  

 জাগিয়ে নাচন তাধিন্ ধিন্,  

 আয় বেয়াড়া সৃষ্টিছাড়া  

 নিয়মহারা হিসাবহীন।  

 আজগুবি চাল বেঠিক বেতাল  

 মাতবি মাতাল রঙ্গেতে--  

 আয়রে তবে ভুলের ভবে  

 অসম্ভবের ছন্দেতে।


মেঘ মুলুকে ঝাপ্সা রাতে,  

 রামধনুকের আবছায়াতে,  

 তাল বেতালে খেয়াল সুরে,  

 তান ধরেছি কন্ঠ পুরে।  

 হেথায় নিষেধ নাইরে দাদা,  

 নাইরে বাঁধন নাইরে বাধা।  

 হেথায় রঙিন্ আকাশতলে  

 স্বপন দোলা হাওয়ায় দোলে,  

 সুরের নেশায় ঝরনা ছোটে,  

 আকাশ কুসুম আপনি ফোটে,  

 রঙিয়ে আকাশ, রঙিয়ে মন  

 চমক জাগে ক্ষণে ক্ষণ।  

 আজকে দাদা যাবার আগে  

 বল্ব যা মোর চিত্তে লাগে-  

 নাই বা তাহার অর্থ হোক্না  

 ইবা বুঝুক বেবাক্ লোক।  

 আপনাকে আজ আপন হতে  

 ভাসিয়ে দিলাম খেয়াল স্রোতে।  

 ছুটলে কথা থামায় কে?  

 আজকে ঠেকায় আমায় কে?  

 আজকে আমার মনের মাঝে  

 ধাঁই ধপাধপ তব্লা বাজে-  

 রাম-খটাখট ঘ্যাচাং ঘ্যাঁচ্  

 কথায় কাটে কথায় প্যাঁচ্ ।  

 আলোয় ঢাকা অন্ধকার,  

 ঘন্টা বাজে গন্ধে তার।  

 গোপন প্রাণে স্বপন দূত,  

 মঞ্চে নাচেন পঞ্চ ভুত!  

 হ্যাংলা হাতী চ্যাং দোলা,  

 শূন্যে তাদের ঠ্যাং তোলা!  

 মক্ষিরাণী পক্ষীরাজ-  

 দস্যি ছেলে লক্ষ্মী আজ!  

 আদিম কালের চাঁদিম হিম  

 তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম।  

 ঘনিয়ে এল ঘুমের ঘোর,  

 গানের পালা সাঙ্গ মোর।


এক যে ছিল রাজা- থুড়ি,  

 রাজা নয় সে ডাইনি বুড়ি!  

 তার যে ছিল ময়ূর- না না,  

 ময়ূর কিসের? ছাগল ছানা।  

 উঠানে তার থাক্ত পোঁতা-  

 বাড়িই নেই, তার উঠান কোথা?  

 শুনেছি তাত পিশতুতো ভাই-  

 ভাই নয়ত, মামা-গোঁসাই।  

 বল্ত সে তার শিষ্যটিরে-  

 জন্ম-বোবা বলবে কিরে।  

 যা হোক, তারা তিনটি প্রানী-  

 পাঁচটি তারা, সবাই জানি! 

 থও না বাপু খ্যাঁচাখেচি  

 আচ্ছা বল, চুপ করেছি।।  

 তারপরে যেই সন্ধ্যাবেলা,  

 যেম্নি না তার ওষুধ গেলা,  

 অম্নি তেড়ে জটায় ধরা-  

 কোথায় জটা? টাক যে ভরা!  

 হোক্ না টেকো তোর তাতে কি?  

 গোমরামুখো মুখ্যু ঢেঁকি!  

 ধরব ঠেসে টুটির পরে  

 পিট্ব তোমার মুণ্ডু ধরে।  

 এখন বাপু পালাও কোথা?  

 গল্প বলা সহজ কথা?


#প্রোটেক্টেড

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আবোল তাবোল কবিতাটি লিখেছেন -- সুকুমার রায় ।

 

      তথ্যসূত্র:    উইকিপিডিয়া  ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ