১/ সব এন্ড্রয়েডের ফোনের ২জি, ৩জি, ৪জি কি একই পাওয়ারের হয় নাকি ফোন ভেদে পাওয়ার কম বেশি হয়? ২/ Display Density  ppi এর মানে কি? ppi কম বেশির সুবিধা অসুবিধা কি? ৩/ Quad-core 1.5 GHz Cortex-A53 এর মানে কি?  Quad -core কম বেশির সুবিধা অসুবিধা কি? ৪/ Ram বেশি মানেই কি ফোন এবং ইন্টারনেট উভয়ি ফাস্ট কাজ করবে? নাকি ইন্টারনেটে ফাস্ট বা স্লো  চলবে এটা বুঝার জন্য অন্য উপায় আছে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Waruf

Call

১। কোম্পানি ভেদে আলাদা আলাদা হয়। চিপের স্পিড, কোম্পানির ডিজাইন ইত্যাদির উপর পাওয়ার নির্ভর করে। ২। ppi হচ্ছে পিক্সেল পার ইঞ্চি। অর্থাৎ প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ডট পিক্সেলের সংখ্যা বা ঘনত্ব।  ৩। ১.৫ হার্জ এর মানে হচ্ছে প্রসেসর প্রতি সেকেন্ডে ১.৫ গিগাহার্জ অসিলেট পালস তৈরি করতে পারে। এই পালসই বৈদ্যুতিক সিগনাল পরিবহন করে। ৪। র‍্যামের সাথে ইন্টারনেট স্পিডের তেমন কোন সম্পর্ক নাই। র‍্যামের সাথে মূলত যুক্ত বিষয় হচ্ছে র‍্যাম কত বড় কোডের ফাইল ধারন করে এক্সিকিউশন করতে পারে। র‍্যাম বড় হলে বড় ফাইল এক্সিকিউশন করতে পারে। অপরদিকে একটি ভূল ধারনা হচ্ছে র‍্যাম বেশি মানেই ফোনের স্পিড বেশি। এটাও ঠিক নয়। যদিও কোম্পানি গুলো হ্যা না উত্তর দেবেনা কারন এটা ব্যবসাহিক চালাকি। র‍্যামের নিজেরও স্পিড অনেক কম হতে পারে। কারন র‍্যাম মূলত ফ্লিপ ফ্লপের সমষ্টি। এই ফ্লিপফ্লপ সিলিকন ট্রান্সিস্টর দিয়া তৈরি । কাজেই কোম্পানি ভেদে ট্রাস্নজিস্টরের কাজ করার ক্ষমতা কম বেশি হয়।  অন্য দিকে ইন্টারনেট স্পিড নির্ভর করে অনেক গুলো বিষয়ের উপর যেমনঃ আই এসপি এর লিমিট, আইএসপি থেকে আপনার দুরত্ব। ওয়ার্লেস ইনভাইরনমেন্ট অবস্থা। টাওয়ার থেকে মোবাইলের দুরত্ব ও সিগনাল কন্ডিশন। ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে ফোনের ক্যাশ মেমরির স্পিড। ডাউনলোডের ক্ষেত্রে মেমরির রিড রাইট স্পিড( ধরুন নেটওয়ার্ক ২০ এমবি স্পিড দেয়। কিন্তু আপনার মেমরি ৫ এমবির বেশি রাইট করতে পারেনা। তাহলেতো ভাই স্লো ডাউনলোড হবে তাইনা? ধরুন আমি দু হাত দিয়া আপনাকে কিছু দিচ্ছি আর আপনি এক হাত দিয়া নিচ্ছেন তাহলে কি নিয়া পারবেন? )  এছাড়াও নেটওয়ার্ক চিপ কার্ড এর স্পিডও নির্ভর করে ইন্টারনেট স্পিড পেতে। আর এগুলো বোঝার খুব বেশি উপায় নাই। এগুলো কোম্পানির প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে। সকল কোম্পানি তাদের ব্যবসার প্রসার করতে সবচেয়ে ভাল প্রযুক্তিটি আপনাকে দিতে চাইবে। কিন্তু তার থেকে আপনাকে বেছে নিতে হবে আসলটি। আপনি হয়ত বিখ্যাত ব্রান্ড বাদ দিয়া কোন লোকাল ব্রান্ড কিনলেন র‍্যাম বেশি রোম বেশি বলে বেশ খুশি আপনি। কিন্তু জানেননি না যে এসব ফোনের চিপের নিজস্ব স্পিড কম। একটা সাধারণ উদাহরন দেই অনেক আগে যাহারা নোকিয়া ফোন ব্যবহার করতেন তাহারা যানেন। নোকিয়ার ১.৩ মেগাপিক্সেল ক্যানেরার ফোনের ছবি আর তখনকার চায়না ৫ বা ৮ মেগাপিক্সেলের ছবি কি এক পেতেন? মেগা পিক্সেল যেমন সব কিছু নয় তেমনি র‍্যামও সব কিছু নয়। ভাই কম্পিউটারেই ২ জিবি র‍্যাম যথেষ্ট। আর সামান্য ফোনে আপনার ২ তে মন ভরছেনা। নিজেই বিবেচনা করতে পারেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ