প্রচণ্ড গরমের দিনে ঘাম এবং শরীরের দুর্গন্ধ অনেক সময় মানুষকে ফেলে দেয় বিড়ম্বনায়। অফিস কিংবা অন্য কোথাও এ ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে মারাত্মক অস্বস্তির কারণ। কিন্তু আমাদের শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ কেন হয়? গ্রীষ্মের সময়টায় যাদের গায়ের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্গন্ধ মোকাবেলা করতে হয় তাদের জন্য সুখবর রয়েছে। শরীরের দুর্গন্ধ মোকাবেলায় একধাপ অগ্রগতি হয়েছে। ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, পুরো বিষয়টির জন্য দায়ী একধরনের ব্যাকটেরিয়া। স্টেফালোককাস নামে এই ব্যাকটেরিয়া পরিমাণে সামান্য কিন্তু তারাই ঘাম থেকে সবচেয়ে তীব্র গন্ধ তৈরি করে। আমাদের শরীর ঘামার পর যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়ার যোগাযোগ না ঘটে, শরীরে কোনো গন্ধ তৈরি হয় না। গবেষকরা গবেষণায় দেখেছেন, এই ব্যাকটেরিয়া একধরনের ‘পরিবাহী’ প্রোটিনকে ব্যবহার করে। যা ঘাম থেকে আসা গন্ধহীন অংশ খেয়ে ফেলে। আর তখনই তৈরি হয় শরীরের দুর্গন্ধ। এই গবেষণার তথ্যের পর নতুন প্রজন্মের ডিওডোরেন্ট বাজারে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তাতে এমন উপাদান থাকবে যা এই ব্যাকটেরিয়া যে প্রোটিন ব্যবহার করে, তার কাজ প্রতিরোধ করতে পারবে। কিন্তু যতদিন সেই সুপার স্প্রের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ততদিন যা করতে পারেন। বগল পরিষ্কারে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার, দ্রুত ঘাম শুকানোর জন্য। নিয়মিত শেভ এবং বাতাস পরিবাহী সূতি কাপড়ের পোশাক পরতে হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা