"""""""""চোখে জ্বালা হওয়ার কারণ চোখের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে গেলে অর্থাৎ চোখ শুষ্ক হয়ে পড়লে চোখে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। একটানা দীর্ঘসময় কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে এমন সমস্যা হতে পারে। আবার ঘরে বা কর্মক্ষেত্রে শীতাতপনিয়ন্ত্রণযন্ত্র চলতে থাকলে সেখানে যাঁরা দীর্ঘসময় অবস্থান করেন, তাঁদেরও চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। চোখে ধুলাবালু বা এ-জাতীয় কোনো কিছু পড়লেও চোখে জ্বালা করতে পারে। চারপাশের পরিবেশে এমন অনেক কিছুই আছে, যা চোখের সংস্পর্শে এলে চোখ জ্বালাপোড়া করাটা খুবই স্বাভাবিক। করণীয় হঠাৎ চোখে জ্বালা করলে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন সঙ্গে সঙ্গে। এ অবস্থায় চোখ ধোয়ার জন্য ফোটানো পানি ব্যবহার করা ভালো। তবে হাতের কাছে ফোটানো পানি না থাকলে কলের পানি দিয়েও চোখ ধুয়ে নিতে পারেন। একটু বেশি সময় ধরে চোখ জ্বালা করলে চোখে একধরনের ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। কৃত্রিম চোখের পানি বা আর্টিফিসিয়াল টিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত এ ড্রপ চোখে দিতে পারেন দিনে তিন থেকে চারবার। ড্রপটি প্রতিবারে এক ফোঁটা করে চোখে দিতে হবে। এসব পদ্ধতি অবলম্বন করার পরেও যদি চোখে জ্বালাপোড়ার ভাবটা থেকে যায়, সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রতিরোধের উপায় কম্পিউটারের পর্দার দিকে একটানা দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকবেন না। চোখের পলক না ফেলে কম্পিউটারের পর্দার দিকে একটানা তাকিয়ে থাকলে চোখে জ্বালাপোড়া করতেই পারে। কম্পিউটারে কাজ করার সময় প্রতি ২০ মিনিট পর পর বাইরের দিকে বা দূরে কোথাও তাকান। কাজের মধ্যেও চোখকে এইটুকু স্বস্তি দিতেই হবে, এভাবে কাজ করলে কাজেও আরাম পাবেন। শীতাতপনিয়ন্ত্রণযন্ত্রের একেবারে সরাসরি থাকাটা ঠিক নয়। এ যন্ত্রের ঠান্ডা হাওয়ায় মন জুড়ালেও খেয়াল রাখতে হবে, এ যন্ত্র থেকে সরাসরি আসা সেই হাওয়া চোখকে শুষ্ক করে ফেলতে পারে এবং তা চোখ জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে। সোর্স:ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদুল হাসান