এক বন্ধু দুই ভাই। তো তাদের মাঝে মধ্যে ঝগড়া হয়। কিন্তু, ঝগড়ায় তাদের মা সব সময় ছোট ছেলের পক্ষ নেই। সঠিক কোনটি ভুল কোনটি বিচার না করেই। বড় ছেলের দোষ থাক বা না থাক তাকে বকাঝকা করে।






বড় ছেলেটির দোষ না থাকলেও তাকে বকা ঝকা করে এবং অভিশাপ দেয় প্রাশই,  যে তুই মরবি, হর্ঠাত করে পরেই মরবি এবং নানা ভাবে বকা ঝকা করে।তবে,যখন ছেলেটি অার বকাঝকা সহ্য করতে পারো না তখন সেও নানান গালি দেয়।




  • এখন,,,,ওর মা যে এভাবে কিছু না বুঝেই বিচার বিবেচনা না করেই তাকে অভিশাপ দিচ্ছে এটি কি তার লাগবে?
  • (যদি লাগে করনীয় কী)
  • ছেলেটির তো পাপ হবেই কেননা মাকে গালি দিচ্ছে,রাইট?
  • এখন ছেলেটির করনীয় কী?


ইসলামের শরীয়ত অানুযায়ী বরবেন, বিশেষজ্ঞ দের দৃষ্টি অাকর্ষন করছ.......ধন্যবাদ ।



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অভিশাপ দেয়া এটি মন্দ কাজসমূহের মধ্য হতে একটি; এমনকি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাকে হত্যার সমতুল্য সাব্যস্ত করেছেন,এক হাদিসে এসেছে সাবিত ইবনু যাহ্‌হাক (রাঃ থেকে বর্ণিতঃযে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের মিথ্যা শপথ করে, সে যা বলে তা-ই হবে। আর যে বস্তু দিয়ে কেউ আত্মহত্যা করবে, জাহান্নামের আগুনে তাকে সেই বন্তু দিয়েই শাস্তি দেয়া হবে। ঈমানদারকে অভিশাপ করা, তাকে হত্যা করার সমতুল্য। আর কেউ কোন ঈমানদারকে কুফ্‌রীর অপবাদ দিলে, তাও তাকে হত্যা করার সমতুল্য হবে।সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬১০৫ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
তাই অভিশাপ দেয়া মোটেও ভালো কাজ নয়।
অভিশাপ যাকে দেয়া হয় যদি সে অভিশাপের যোগ্য না হয়,তাহলে অভিশাপ কারী সেই অভিশাপে অভিশপ্ত হয়ে থাকে। এবিষয়ে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন বান্দা কোন বস্তুকে অভিশাপ দেয় তখন ঐ অভিশাপ আকাশের দিকে অগ্রসর হয়। অতঃপর সেই অভিশাপের আকাশে উঠার পথকে বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন তা পুনরায় দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের জন্য রওয়ানা হয়, কিন্তু দুনিয়াতে আসার পথও বন্ধ করে দেয়ায় সে ডানে বামে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে অন্য কোন পথ না পেয়ে যাকে অভিশাপ করা হয়েছে তার নিকট ফিরে আসে। তখন সেই বস্ত যদি ঐ অভিশাপের যোগ্য হয়, তাহলে তার উপর ঐ অভিশাপ পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর উপরই তা পতিত হয়।সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৯০৫ হাদিসের মান: হাসান হাদিস
সুতরাং ছেলে যদি অভিশাপের যোগ্য না হ‌ওয়া সত্বেও মা অভিশাপ দেয়,তাহলে এর প্রতিফল মা'কেই ভোগ করতে হবে।তবে যদি ছেলের গালাগালি করার কারণে অভিশাপ দেয় তাহলে প্রতিফল ছেলের দিকে যাবে যেমন এক হাদিসে এসেছে,জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা নিজেদেরকে বদ্দু‘আ করো না, তোমাদের সন্তানদের বদ্দু‘আ করো না, তোমাদের খাদিমদের বদ্দু‘আ করো না এবং তোমাদের ধন-সম্পদের উপরও বদ্দু‘আ করো না। কেননা ঐ সময়টি আল্লাহর পক্ষ হতে কবুলের মূহুর্তও হতে পারে, ফলে তা কবুল হয়ে যাবে।সহীহ : মুসলিম।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মুত্তাসিল। ‘উবাদা ইবনুল ওয়ালীদ ইবনু ‘উবাদাহ (রহঃ) জাবিরের (রাঃ) সাক্ষাত পেয়েছেন।সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৫৩২হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
ছেলের জন্য মাকে গালাগালি করা একদম অনুচিত, তাই তার প্রথমে মায়ের কাছে ক্ষমা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এধরণের কাজ না করার দৃঢ় সংকল্প করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ