আমি গত ২ মাস যাবৎ মানসিকভাবে ভীত অবস্থায় আছি। বলে রাখা ভাল আমি আল্লাহকে খুবই ভালবাসি। গত ২ মাস আগে মেয়েদের শারিরিক কিছু অঙ্গ নিয়ে গভীরভাবে ভাবি এবং কামনা-বাসনা ও পছন্দ আমার মনে সৃষ্টি হয়, তাই একপর্যায়ে এমনভাবে আল্লাহর কাছে বলে ফেলি যে, আল্লাহ! তুমি তাদের ওমুক অঙ্গের মত আমার অঙ্গটা করে দাও। এরপর থেকে মনে একটা ভীতির সৃষ্টি হয়, যদি আল্লাহ আমাকে এমনটা দিয়ে দেন! সবার কাছে এমনটা হাস্যকর হলেও আমার কাছে মানসিক ভয় ও আতংকের সৃষ্টি করেছে। আমি আল্লাহর কাছে বারবার ক্ষমা চাইতে যাই, কিন্তু মনে হয় আমি বিশাল একটা ভুল করে ফেলেছি৷ এর কি কোন ক্ষমা হবে? কোরআনে রুম ৩ এ তিনি বলেছেন তার সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। আবার প্রাচীন যুগে নাকি আল্লাহ অনেক ইহুদিকে বানর শোকর এমন বানিয়েছেন তাদের কিছু কর্মের জন্য৷ তিনি চাইলে যা ইচ্চা তাই করতে পারেন৷ তাই উক্ত বিষয় নিয়ে খুব ভয়ে থাকি। কোন কাজে উৎসাহ পাই না। আমার প্রশ্ন হল, একজন ব্যক্তি সৎ মনমানসিকতায় যদি এমনটা চেয়েই ফেলে, তাহলে স্রষ্টা কি এমনটা করে দিবেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

দুআ একটি মহান আমল। হাদীসে এসেছে- দুআই ইবাদত।- সুনানে তিরমিযী: হা. - ২৯৬৯, সুনানে ইবনে মাযা: হা. - ৩৮২৮, সুনানে আবু দাউদ: হা. - ১৪৭৯। এবং হাদীসটি সহীহ।

عن النعمان بن بشير : عن النبي صلى الله عليه و سلم في قوله { وقال ربكم ادعوني أستجب لكم } قال الدعاء هو العبادة 

অন্য হাদীসে রাসূল সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর নিকট দুআ করে না; মহান আল্লাহ তাআলা তার উপর রাগান্বিত হন। - সুনানে তিরমিযী: হা. ৩৩৭৩ । এবং হাদীসটি হাসান।

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم إنه من لم يسأل الله يغضب عليه

আর আপনি সাচ্চা দিলে তাওবা করে থাকলে মহান আল্লাহ অবশ্যয়ই ক্ষমা করবেন। কারণ হাদীসে এসেছে-

عن أبي عبيدة بن عبد الله عن أبيه قال قال رسثول الله صلى الله عليه و سلم  : (التائب من الذنب كمن لا ذنب له) 


 -সুনানে ইবনে মাযা: হা. - ৪২৫০ । এবং হাদীসটি হাসান।

আল্রাহ তাআলা বান্দার জন্য যা কল্যাণ কর তাই প্রদান করেন। তবে দুআ কবুল হওয়ার বিভিন্ন মুহূর্তের কথা সহীহ হাদীসে এসেছে; তাই কখনো কেউ অবৈধ কিছু কামনা করলে তা কবুল হতেও পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ