শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

১৯৬৯ এর গণ-অভুত্থানের তীব্র আন্দোলনের কারণে আইয়ূব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

এই ইতিহাসকে বিস্তারিতভাবে জানতে ১৯৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন থেকে শুরু করতে হবে। বিশদভাবে এটি বর্ণনা সম্ভব নয়। সংক্ষেপে কিছুটা চেষ্টা করছি-
    ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি উত্থাপণ করলে পাকিস্তান সরকার ভীত হয়ে যায়। কারণ এ দাবি বাস্তবায়ন করে পূর্ব পাকিস্তান স্বায়ত্ত্বশাসিত হয়ে যাবার আশঙ্কা থাকত আবার না করলেও আন্দোলনের ভয় ছিল। প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খান একে চতুরতার সাথে নির্মূল করার ফন্দি এঁটেছিলেন। ১৯৬৮ সালে আইয়ূব খান পূর্ব পাকিস্তানের কয়েকজন সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবার অভিযোগ আনে। একে কেন্দ্র করেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। পূর্ব পাকিস্তানের জননন্দিত নেতাদের বিরুদ্ধে এমন মামলা দায়ের হলে ছাত্র-জনতা ফেটে ওঠে ও ছয় দফার পাশাপাশি এগারো দফা মামলা নিয়ে মাঠে নামে। ১৯৬৯ এর জানুয়ারি মাসে আইয়ূব খানের পতনের লক্ষ্যে 'ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' গড়ে তোলে। ২০শে জানুয়ারি আন্দোলনে আসাদ নিহত হলে এটি গণ-অভুত্থানে পরিণত হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহাকে হত্যা করা হলে ছাত্ররা আরো জ্বলে উঠে। তাদের তীব্র আন্দোলনের কারণে ২২শে ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে আউয়ূব খান বাধ্য হন। কিন্তু তারপরও আইয়ূব খান ক্ষমতায় টিকে থাকার অবস্থানে ছিলেন না। এজন্য ২৫শে মার্চ তিনি পদত্যাগ করেন। 
এটিই ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত রূপ। বিস্তারিত কোনো মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তথ্যমূলক বই থেকে জেনে নিতে পারেন। এনসিটিবির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের বইতেও পাবেন, তবে তাও বেশ সংক্ষিপ্ত।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ