আমি একজন ভোটার হিসেবে ভালো একজন প্রতিনিধিকে ভোট দিতে চাই।আমার দেশের প্রধান দুই  দলের  কাউকে ভালো মনে হয় না বা কেউ থাকলে তাদের মাধ্যমেই সেই দুইদল ক্ষমতায় আসবে এখন নাগরিক হিসেবে  আমার করনিয় কি???????
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
SakibAhamed

Call

''না ভোট'' প্রদানের ব্যবস্থা আছে। না ভোট দিবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নির্বাচনে বড় দুই দলের বাইরে অনেক ছোট দলের প্রার্থী থাকে। অাবার অনেক লোক সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে। ছোট দল ও সতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে যাকে আপনার বেশি ভালো মনে হয় তাকে ভোট দিন। হয়তো ছোট দলের প্রার্থী ও সতন্ত্র প্রার্থী জিতবে না কিন্তু ভোট দেওয়া আপনার নাগরিক কর্তব্য। তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে আপনি ছোট দল ও সতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বর্তমান যুগ অনুযায়ী নিজেকে খারাফ কাজের অনুসারী করতে না চাইলে না ভোট দেওয়াই উত্তম। কারণ বর্তমানে কোন দলকেই আমার সঠিক বলে মনে হয়না ।  আর অন্যায় যে করে আর অন্যায় কে যে সমর্থন করে দুইজনই সমান অপরাধী।  সেক্ষেত্রে না ভোট দেওয়াই উত্তম। যদি কোন প্রার্থীকে আপনার সঠিক মনে হয় তাহলে তাকে ভোট দিতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ভাই; আপনি খুব সুন্দর ও সময়াপোযোগী বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন৷আশা করছি আমার লেখাটা ভাল ভাবে পড়বেন তারপর কিছু জানার থাকলে মন্তব্য করবেন৷ শুরু করছি তাহলে হ্যাঁ.....


ভোটকে নিছক ছেলে-খেলা বা ঝুট-ঝামেলা মনে করা ঠিক নয়। ভোটদানের সময় ভাবতে হবে কোন প্রার্থী বা দলকে ভোট দিলে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ হবে। আমাদের গাড়ির ড্রাইভার নিয়োগের জন্য অবশ্যই কোন মাতাল, নেশাখোরকে নিয়োগ দিইনা।যিনি আমাদের নেতা হবেন বা আইন প্রয়োগে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন তিনি যদি নেশাখোর ড্রাইভারের মত অসৎ, আল্লাহবিমুখ, অদক্ষ, ও অযোগ্য হন তাহলে শুধু সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, শুধু আমাদেরই ক্ষতি করবে না, ক্ষতিগ্রস্ত করবে পুরো সমাজ, রাষ্ট্র ও জাতিসত্তাকে।

ভালো লোক প্রার্থী না হলে ভোটের বিধান:


কোনো নির্বাচনী এলাকায় ভালো, সৎ ও দ্বীনদার লোককে প্রার্থী করা হলে তাকে ভোট না দিয়ে বিরত থাকা শরীয়াতের দৃষ্টিতে অন্যায় এবং পুরো জাতির উপর জুলুম করার শামিল (কবীরা গুনাহ)। কিন্তু কোনো নির্বাচনী এলাকায় যদি নিতান্ত সৎ, যোগ্য ও দ্বীনদার লোক প্রার্থী না হয় তারপরও সেখানে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। বরং তুলনামূলকভাবে যিনি ভালো তাকেই ভোট দেওয়া প্রয়োজন। কেননা অন্যায় ও অপরাধ যার মাধ্যমে বেশি হবে তার তুলনায় যার মাধ্যমে অন্তত কম হবে তাকে গ্রহণ করা না হলে বেশির জন্য অধিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে যা শরীয়াতের দৃষ্টিভঙ্গির পরিপন্থী। যেমন- কোনো নাপাক পূর্ণভাবে দূর করা সম্ভব না হলেও অন্তত কিছুটা কমানোর চেষ্টা শরীয়াতসম্মত ও যুক্তিসম্মত। 

নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা:


যদিও বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতি ইসলাম সম্মত নয় তথাপি ইসলামী রাষ্ট্রে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তনের পূর্ব পর্যন্ত বর্তমান অবস্থায় এই নির্বাচন পদ্ধতিকে অন্তবর্তিকালীন বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করা ছাড়া উপায় নেই। 


আল্লাহ বলেন, “তোমরা আল্লাহর জন্য সত্যের সাক্ষ্য প্রতিষ্ঠা করো।” (৬৫/সূরা আত তালাক:২) আল্লাহ আরও বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইনসাফের সাথে আল্লাহর জন্য সাক্ষী হয়ে দাঁড়াও।” (৪/সূরা আন নিসা:১৩৫)


আল্লাহ আরও বলেন, “তোমরা কখনই সাক্ষ্য গোপন করবে না, যে সাক্ষ্য গোপন করে তার মন পাপের কালিমাযুক্ত।” (২/সূরা আল বাকারাহ:২৮৩)


আশা করছি আপনার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের জবাব পেয়েছেন,আপনার সুযোগ আছে সত্যের কাছাকাছি থাকার আপনি অবশ্যই আপনার সুযোগ(আমানত) কে কাজে লাগাবেন৷ অনেকে অজ্ঞতা বশতঃ ভোট প্রদানে অনুৎসাহিত করেন! যেটা আসলে-ই খোঁড়া বুদ্ধির পরিচয় বহন করে!৷


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ