মাওলানা সাদ কান্ধলবি বর্তমান প্রচলিত তাবলীগ জামাত ইস্যুতে এক আলোচিত নাম। প্রায় পুরো ওয়াল্ডের আলেম সমাজ ও মাওলানা সাদ সাহেব এখন মুখোমুখী। এ নিয়ে চলছে দু পক্ষের আপত্তিকর কাঁদা ছুড়াছুড়ি। বিষয়টা বিধর্মী ও ইসলাম বিদ্বেষীদের জন্য আনন্দের খোরাক। তাবলীগ জামাতের কাজটি পৃথিবীর তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত বিধায় এ বিতর্ক ও বিরোধও তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছে। তবে এর জন্য মাওলনা সাদ সাহেবের কিছু অসংলগ্ন বক্তব্য ও তাঁর অনড় অবস্থানকেই দায়ী করছে অভিজ্ঞ মহল। তাঁর হাতেই মূলত এ বিরোধ অবসানের চাবিকাঠি।
সাদ কান্ধলভীর যে সব বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক :
সাদ কান্ধলভীর ২৬টি বক্তব্য নিয়ে চরম বিতর্ক চলছে যা প্রত্যাহারের জন্য দেওবন্দ মাদ্রাসা ও পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমদের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হলেও তিনি সম্মত হননি। বিভিন্ন সময় দেয়া সাদ এর বিতর্কিত বক্তব্যের মধ্যে রয়েছে:ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম। কারো পকেটে ক্যামেরা বিশিষ্ট মোবাইল রেখে নামাজ পড়লে তার নামাজ শুদ্ধ হবে না।
যে উলামায়ে কেরাম ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখেন, তাঁরা উলামায়ে ছূ। বারবার কসম করে বলেন, তাঁরা হলেন উলামায়ে ছূ। এমন আলেমরা হল গাধা।
কুরআন শরিফ শিখিয়ে যাঁরা বেতন গ্রহণ করেন, তাঁদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়ে খারাপ। যেই ইমাম এবং শিক্ষকরা বেতন গ্রহণ করেন, তাদের আগে বেশ্যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন। মাদরাসাগুলোতে যাকাত না দেয়া হোক। মাদরাসায় যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না। রাসূল (স.) এর পর কেবল তিনজনের বাই’আত পূর্ণতা পেয়েছেন, বাকি সকলের বাই’আত অপূর্ণ। তিনজন হলেন; শাহ ইসমাঈল শহীদ (রাহ.), মাওলানা ইলিয়াছ (রাহ.) ও মাওলানা ইউসূফ (রাহ.)। দাওয়াতের পথ নবীর পথ, তাছাউফের পথ নবীর পথ নয়। রাসূল (সা.) দাওয়াত ইলাল্লাহ’র কারণে ইশার নামাজ দেরিতে পড়েছেন। অর্থাত্ নামাজের চেয়ে দাওয়াতের গুরুত্ব বেশি।