ইউরেনিয়াম মৌলটি ১৭৮৯ সালে আবৃষ্কৃত হয়। এর পারমানবিক সংখ্যা ৯২ ও নিউট্রণ সংখ্যা ১৪৬, পারমানবিক ভর ২৩৮.০২৮৯ গ্রাম/মোল।
এর গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক যথাক্রমে ১১৩২.৪ ও ৩৭৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর ব্লক f .
U→1s2,2s2,2p6,3s2,3p6,3d10,4ss2,4p6,4d10,4f145s2,5p6,5d10,5f3,6s2,6p6,6d1,7s2.
ইউরেনিয়াম রূপালি-সাদা বর্ণের তেজস্ক্রিয় একটি ধাতু। ১৭৮৯ সালে জার্মান বিজ্ঞানী মার্টিন হাইনরিখ ক্ল্যাপরথ ইউরেনিয়াম আবিষ্কার করেন। তিনি ইউরেনাস গ্রহের নামানুসারে এর নামকরণ করেন ইউরেনিয়াম। প্রথম ইউরেনিয়াম সংশ্লেষ করা হয় ১৮৪১ সালে। এই সালে বিজ্ঞানী ইউজিন পেলিকট ইউরেনিয়াম টেট্রাক্লোরাইড থেকে প্রথম ইউরেনিয়াম সংশ্লেষ করেন।১৮৯৬ সালে বিজ্ঞানী হেনরি বেকেরেল ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন। বিশ্বের ১৭টির বেশি দেশ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করে বিশ্বের ১৭টির বেশি দেশ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করে থাকে। প্রত্যেক বছর প্রায় ৫০ হাজার টোনের মত অশোধিত ইউরেনিয়াম উৎপাদন করা হয়। ইউরেনিয়ামের ব্যবহার: ইউরেনিয়াম খুবই দামি একটু ধাতু। পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর ক্ষেত্রে ইউরেনিয়াম একিট অপরিহার্য উপাদান। সে কারণেই এর বহন ও ব্যবসা বাণিজ্য সর্বসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ। তবে সামরিক কাজ ছাড়াও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। পারমাণবিক বোমা: পারমাণবিক মারণাস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে লিটল বয় ও ফ্যাটম্যান নামে যে দুটো বোমা নিক্ষেপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই দুটো বোমা তৈরিতেই ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছিল। ইউরেনিয়ামের ক্ষতিকর দিক: পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়াও ইউরেনিয়ামের খনি ও কারখানায় কাজ করার মাধ্যমে যে কেউ ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসতে পারে। মানুষের কিডনি, মস্তিষ্ক, যকৃত, হৃদপিণ্ডসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে ক্ষত্রিগস্ত হয়ে থাকে। দীর্ঘস্থায়ী সময় ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার কারণে ক্যান্সার হয়ে থাকে।