Call

এখানে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই আপনি আযান মসজিদেও দিতে পারেন অথবা বাইরেও দিতে পারেন**তবে সেক্ষেত্রে বাইরে মসজিদের উচু কোন মিনারে দাড়িয়ে কিবলামুখি হয়ে আযান দেওয়া যাবে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আযান দেওয়ার সুন্নত ও মুস্তাহাব তরীকা 1. মসজিদের বাহিরে উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে আযান দিবে। মসজিদের ভিতরে আযান দেওয়া মাকরুহে তানজীহী। কিন্তু জুম’আর ছানী আযান মসজিদের ভিতরে মিম্বরের সমানে দাঁড়িয়ে দিবে। ছানী আযান দেওয়ার জন্য প্রথম কাতারে দাঁড়ানো জরুরী নয়, যে কোন কাতার থেকেই আযান দেওয়া যায়, তবে খতীবের বরাবার দাঁড়ানো জরুরী। (শামী ১/২৫৭) 2. দাঁড়িয়ে আযান দিতে হবে। বসে আযান দেওয়া খেলাফে সুন্নত। বসে আযান দেওয়া হলে সেই আযান দোহরাতে হবে। তবে মা’যুর ব্যক্তি নিজের নামাযের জন্য বসে আযান দিতে পারবে। 3. আযান যথাসম্ভব উচ্চস্বরে দিতে হবে। 4. আযান দেওয়ার সময় উভয় হাতের শাহাদাত আঙ্গুল উভয় কানের ছিদ্রে রাখা মুস্তাহাব। (বেহেশতী জেওর) 5. আযানের শব্দগুলি টেনে টেনে আদায় করবে। (তবে আল্লাহ শব্দের লামকে এক আলিফের বেশি টানবে না) এবং প্রতি দুই কালেমার পর এতটুকু সময় চুপ করে থাকবে যেন শ্রোতাগণ তার জবাব দিতে পরে। আর যদি জওয়াব দেওয়ার সময় না দেওয়া হয় তাহলে পুনরায় আযান দেওয়া মুস্তাহাব। (শামী ১/২৬০) 6. আযানের মধ্যে ﺣﻲ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺓ "হাইয়া আলাস সালাহ" বলার সময় পূর্বে ডান দিকে মুখ ফিরাবে এবং ﺣﻲ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻔﻼﺡ "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলার পূর্বে বাম দিকে মুখ ফিরাবে। কিন্তু সীনা এবং পা ঘুরাবে না। 7. ওযূর সাথে কেবলামুখী হয়ে আযান দিতে হবে। 8. বিভিন্ন মসজিদে আযান হতে থাকলে নিজের মহল্লার মসজিদ বা যে মসজিদে নামায পড়বে সেই মসজিদের আযানের জওয়াব দেয়া মোস্তাহাব। 9. আযানের ন্যায় ইকামতেও ডানে- বামে আগে মুখ ফিরিয়ে ﺣﻲ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺓ "হাইয়া আলাস সালাহ" এবং ﺣﻲ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻔﻼﺡ "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলবে। 10. বড় নাপাকী (হদসে আকবার) হতে পবিত্র হয়ে আযান দেয়া সুন্নাত। নাপাক অবস্থায় আযান দেওয়া মাকরুহে তাহরীমী। যদি গোসল না করে আযান দেয়, তবে পুনরায় আযান দিতে হবে। বিনা ওযূতে ইকামত দেওয়া মাকরুহে তাহরীমী। (বেহেশতী জেওর) 11. তরতীব ঠিক রেখে আযানও ইকামত দেওয়া সুন্নত। যদি কেউ আযানের মধ্যে পরের শব্দ আগে বলে, তবে সম্পূর্ণ, আযান দোহরাতে হবে না। শুধু যে শব্দটি ছেড়ে দিয়েছে সেই শব্দটি বলে তরতীব অনুযায়ী পরের শব্দগুলি বলবে। (বেহেশতী জেওর) 12. সমস্ত ফরযে আইন নামাযের জন্য একবার আযান দেয়া সুন্নতে কেফায়া। 13. আযানের জওয়াব দেয়া বড় সওয়াবের আমল। 14. ﺍﺷﻬﺪ ﺍﻥ ﻣﺤﻤﺪ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ এর জবাবে ﺍﺷﻬﺪ ﺍﻥ ﻣﺤﻤﺪ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ বলবে ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ বলবে না। অবশ্যই আযানের শেষে দুরুদ শরীফ পড়বে। 15. আযানের ন্যায় ইকামতের জবাব দিবে। 16. আযান শেষ হলে প্রথমে দুরূদ অতঃপর এই দো’আ পড়বে- ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺭﺏ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﺪﻋﻮﺓ ﺍﻟﺘﺎﻣﺔ ﻭﺍﻟﺼﻠﻮﺓ ﺍﻟﻘﺎﺋﻤﺔ ﺍﺕ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﻥ ﺍﻟﻮﺳﻴﻠﺔ ﻭﺍﻟﻔﻀﻴﻠﺔ ﻭﺍﺑﻌﺜﻪ ﻣﻘﺎﻣﺎ ﻣﺤﻤﻮﺩﺍﻥ ﺍﻟﺬﻱ ﻭﻋﺪﺗﻪ ﺍﻧﻚ ﻻﺗﺨﻠﻒ ﺍﻟﻤﻴﻌﺎﺩ . সুত্র: ASK BANGLA

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আজান ইসলামের একটি প্রতীক। আজানের উদ্দেশ্য মানুষদেরকে নামাযের আহবান করা। মসজিদের মিম্বর উচু থাকলে তাতে উঠে আজান দেওয়া সুন্নত। মিম্বর না থাকলে মসজিদের যে স্থানে দাঁড়িয়ে আজান দিলে মানুষের শ্রবনের আশা বেশি থাকে সেখানেই আজান দেওয়া মুস্তাহাব। বর্তমানে যেহেতু বেশিরভাগ মসজিদে মাইক আছে তাতে আজান দেওয়া হয়, তাই মসজিদের যেকোন স্থান থেকে আজান দিলে যথেষ্ট হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ