সাধারনত মাসিকের ১৪±২ তম দিনে ডিম্বপাত হয়।
ডিম্বপাত বা ওভ্যুলেশনের সময় মেয়েদের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন হয় এবং এ পরিবর্তন বেশ কিছুদিন যাবত শরীরে থাকে। এই পরিবর্তনের সময়টুকুতে যৌনমিলন থেকে বিরত থাকলে গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা বেশ কম থাকে। পরিবর্তনগুলো হলো-
- শরীরের তাপমাত্রা খানিকটা বেড়ে যাওয়া
- যে পাশের ডিম্বানু থেকে ডিম্বপাত হয়, পেটের সেইপাশ ব্যথা করা
- স্রাবের ধরণে পরিবর্তন হওয়া
ডিম্বপাতের সময় জরায়ু থেকে বের হওয়া নিঃসরণে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। ডিম্বপাতের সময় স্রাবের প্রকৃতি হয় পানির মতো পরিষ্কার, পিচ্ছিল, পাতলা এবং পরিমান হয় খুব বেশি- সব মিলিয়ে একে কাঁচা ডিমের সাদা অংশের সাথে তুলনা করতে পারেন আপনি।
আসলে মেয়েদের প্রতিমাসেই ডিম্বশয়ে একটি করে ডিম্ব তৈরি হয়। আর এই ডিম্বটি নিষিক্ত হওয়ার জন্য ফিলুপিউন টিউবে দিয়ে জরায়ুতে এসে ১২-২৪ ঘন্টা কারো ক্ষেত্রে ৩৩-৩৬ ঘন্টা অপেক্ষা করে এর মাঝে পুরুষের শুক্রানু ডিম্ভর সাথে মিলিত না হলে ডিম্বটি নষ্ট হয়ে যায় এবং নির্দিষ্ট সময়ে যোনিদাড়া বেড়িয়ে আশে (রক্ত হিসাবে যাকে মাসিক বা ঋরুস্রাব বা পিরিয়ড ও ইত্যাদি নামে চিনি ) এই প্রক্রিয়াকে ওভ্যুলেশন বলে।
এই ওভ্যুলেশন হতে পারে যাদের পিরিয়ড নিয়মিতভাবে ২৮/৩০ দিনে হয় তাদের ক্ষেত্রে ১৪/১৬ তম দিনের মধ্যে ডিম্বপাত (ওভ্যুলেশন) হয়ে থাকে। আর এই ওভ্যুলেশন এর লক্ষণ গুলো হল–
ওভুলেশন যন্ত্রনা বা পেটের যন্ত্রনা দেখা যায়
যৌনখুধা বৃদ্ধি পায় ফলে সহবাসের জন্য উতলা হয়ে উঠা
নাক দিয়ে পানি পড়ে এবং মাথা ধরে
তলপেটে চিন চিন ব্যথা করতে পারে।
শরীরের তাপমাত্রা উঠানামা হয়।
ওভ্যুলেশন এর সময়ে যৌন উত্তেজনায় খুব শীগ্রই কামরস নির্গত হতে পারে যা আঠালো।
ওভ্যুলেশন এর প্রথম দিকে এই লক্ষণ গুল দেখা দিতে পারে ,কিন্তু পরবর্তীতে সময়ের সাথে সাথে এটা বোঝা যায় যে কবে ওভুলেশন ডেট হবে আর সেই অনুযায়ী মিলন করলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা বেশিই থাকে।
আশা করি বুঝতে পারছেন।