লেখা পড়া করা মনের উপর নির্ভরশীল। মনটাকে শক্তিশালী/ইচ্ছাশক্তি আরো বেশি করে বাড়াতে হবে। একটা কথা মনে রাখবেন। যে অভ্যাস সহজে গড়ে ওঠে না। অভ্যাস গড় তুলতে দীর্ঘদিনের সহিষ্ণতা ও সাধনার প্রয়োজন। আপনাকে আরো গ্রহণশক্তি,ধরণশক্তি,চিন্তাশক্তি বেশি করে বাড়াতে হবে। উপদেশ দিলে লাভ নেই,যদি আপনার মনের উপর জোড় না থাকে। অবশ্যই মনটাকে শক্তিশালী করতে হবে। পড়া হল পারিতোষিক অভ্যাস। বই পড়ার আনন্দ মনকে সহজ ও সক্ষম করে তোলে। বইপত্র হল মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট সঙ্গী। অতএব,আপনি একটু মনের জোর বাড়ান ইনশাআল্লাহ আশা করি আপনি আবার আগের মত লেখাপড়ায় মনযোগ আসবে। ধন্যবাদ ভালো থাকুন।
Where there is a will,there is a way. পড়ালেখা সম্পূর্ণ নিজের ব্যাপার।কেউ আদেশ বা অনুরোধ করে কাউকে পড়াতে পারে না।পড়তে ইচ্ছা না করলেও বই নিয়ে বসে থাকুন দেখবেন এমন একটা সময় আসবে আপনি ভাববেন বই নিয়েই তো বসে আছি একটু পড়লে ক্ষতি কী?এভাবে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।তাছাড়া লক্ষ্য স্থির করুন জীবনে কী হবেন লক্ষ্য এমন হবে যে আমাকে বুয়েট/ঢাবি/মেডিকেলে চান্স পেতেই হবে।নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস রাখুন,কখনো হতাশ হবেন না।খারাপ সহপাঠীদের সঙ্গে কম মিশবেন যথাসম্ভব ভালো ছাত্রদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করুন।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন ইনশাল্লাহ আপনি সফল হবেন।
প্রিয় মেহেদি ভাই, আপনি পরিকল্পনা তৈরীঃ নিজে নিজেই যেহেতু আপনি একটি রুটিন বানাবেন তাই নিজে থেকেই পরিকল্পনা করুন। কিভাবে সাজালে ভাল হয়, কোন কাজের উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এসব মাথায় রেখে একটি সুন্দর পরিকল্পনা করে ফেলুন। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যান। সময় ভাগ করাঃ সময়কে ভাগ করে নেয়ার পর তা দিয়ে দিনের একেক টি কাজ পরিপুর্নভাবে সম্পন্ন করতে পারাই রুটীনের কাজ। যদি ব্যর্থ হয় তবে রুটিন ভ্যালু লেস হয়ে যায়। তাই একটি রুটিন কখনোই এলোমেলো হতে পারেনা সফলতার জন্যে। সময়ের কাজ সময়ে করতে পারার একটা চর্চা করতে হবে। সময় ভাগ করে ফেললে আপনার রুটিনের জন্য সহজ হয়ে যাবে। তবে এমন সময় নিয়ে আসবেন না যে সময়ে আপনি কোন নির্দিষ্ট কিছুই করতে পারবেন না। যেমন আপনি মনে করলেন যে দুটা কাজের ফাঁকে ১০মিনিট সময় আছে অন্য একটি কাজ করে ফেলা যায়। হ্যাঁ করে তো ফেলা যায় তবে তা যেন বড় কোন কাজ না হয় সে দিকেই খেয়াল রাখতে হবে। ডেইলি রুটিনের জন্য অবশ্যই পাঁচ মিনিটের বেশি সময় লাগে এমন সব কাজ সময়ের মধ্যে ধরতে হবে।