ধর্ষণকারী ব্যক্তি একদিনেই ধর্ষক হয়ে যায়নি বরং সে সমাজের পর্দাবিহীন নারীদের দেখতে দেখতে কামাতুর হয়েছে, উত্তেজিত হয়েছে। আস্তে আস্তে ধর্ষণ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেপর্দা নারীর কারনে যখন তার যৌন প্রবণতা চরম পর্যায়ে তখন সে তার উত্তেজনাকে প্রশমিত করতে পর্দানশীন নারী কিবা শিশু কে আলাদা করে ভাবেনি। ভাববেই বা কীভাবে? কারন বেপর্দার কলুষতা তার ভাববোধকে আগেই গ্রাস করে ফেলেছে। সুতরাং আমরা দৃঢ়কন্ঠে বলতেই পারি যে পর্দানশীন নারী আর শিশু ধর্ষনের জন্য পর্দাহীন নারীরাই দায়ী।
আসলে মানুষের মূল্যবোধ একেবারেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইসলামের সমস্ত আইন কানুন হল মানুষের কল্যাণের জন্য। মানুষকে বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্যই ইসলাম। ইসলাম নারী পুরুষ উভয়কেই নির্দেশ দিয়েছে উপযুক্ত পর্দায় থাকার। কিন্তু আমরা উভয় দলই সেটা ঠিকমত পালন করিনা। এখন যখন পর্দানশীল কেউ শ্লীলতাহানীর শিকার হচ্ছে তখন নিন্দুকেরা সুযোগ পেয়ে ইসলামী একটা বিধান কে খাটো করার জন্য পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। একটা অবুঝ শিশু কেন এরকম নির্মমতার শিকার হবে সেটার কোন সদুত্তর দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু কি করলে এই ঘটনার পরিমাণ নাটকীয় ভাবে কমবে সেটা আমি জানি। যেমন কর্ম তেমন সাজা দিলেই এই ঘটনা একেবারে কমে যাবে। যেসব কুলাঙ্গার এসব কাজ করে তাদের লালসার পরিমাণ মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলেই তারা এমন কাজ করতে পারে। তাদের পুরুষত্বহীন করে দেওয়াই হবে উপযুক্ত শাস্তি। এবং বিশ্বের কিছু কিছু দেশে এই আইন ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। আমাদের দেশেও যদি এটা চালু করা যায় তাহলে এসব করার আগে তারা একবার হলেও ভাববে। আর আমি এসব ব্যাপারে মানবাধিকারের ধার ধারিনা। কারণ ওরা এমন জঘন্য কাজ করার পর মানবতার নামে কোন সুযোগ নেবার অধিকার রাখেনা।