আপনি অবশ্যই আলেম হতে পারবেন । তবে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কোন স্তরের আলেম হবেন ।
সাধারণত ইসলামী জ্ঞানের কিছু স্তর আছে । যেমন
১/দৈনন্দিন জীবনে যে আমল গুলো করা প্রয়োজন সে আমলগুলো সম্পর্কে ইসলামের বিধান জানা।
যেমন : ৫ ওয়াক্ত নামাজের মাঝে কোন বিধান কিভাবে পালন করতে হবে।
২/ কুরঅান ও হাদীসের আরবী বাক্যের অনুবাদ বা ব্যাখ্যা করে নিজে জানা বা অপরকে জানানো ।
যেমন : সুরা ফাতিহার অনুবাদ বা তার তাফসীর
৩/ কুরআন ও হাদীসের প্রতিটি শব্দ বা বাক্য থেকে গবেষণা করে দৈনন্দিন জীবনে আমল গুলো করতে গিয়ে যে সমস্যার পতিত হই তার সমাধান বের করা এবং তা মানুষের সামনে উপস্থাপন করা। যেমন : রক্ত দান করা । এ ব্যাপারে কোরআন ও হাদীসে সরাসরি কোন বিধান নেই। এছাড়াও বর্তমান যুগের হাজারো সমস্যার সমাধান ।
আরেকটি কথা তাহল আপনি বলেছেন যে, মাদ্রাসায় না পড়ে লেকচার দিলে মাদ্রাসার পড়ুয়া ব্যক্তিগণ ঝগড়া করবে । এর কারণ জানলে হয়তো আপনি তা বলতেন না । কারণ হচ্ছে ৩য় স্তরের যে জ্ঞানের কথা উল্লেখ করেছি তা মাদ্রাসায় পড়া ব্যতিত হবে না । আমাদের দেশের সমস্যা হলো প্রথম ২ স্তরের জ্ঞান মোটামুটি অর্জন করে ৩য় স্তরের জ্ঞানের বিষয়ে আলোচনা শুরু করে দেয় । যার ফলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পরে ।
হাদীসের বাণীগুলো নবী (স:) থেকে সাহাবায়ে কেরাম গণ , সাহাবা থেকে তাবেয়ীগণ, তাবেয়ী থেকে তাবে তাবয়ীগণ এভাবে তার ধারাবহিকতা এখনও চলছে কেয়মতের পূর্ব পযর্ন্ত চলবে যাকে সনদ বল হয় । আর হাদীস বর্ণনার অন্যতম শর্ত হলো সনদ শক্তিশালী হওয়া। যা আপনি ঘরে বসে পাবেন না। আপনাকে কোন বিজ্ঞ আলেমের কাছে থেকে পড়তে হবে।
শেষ কথা হলো আপনি প্রথম ২ স্তরের আলেম হতে হলে বর্তমানে আনেক জায়গায় নৈশ কোর্স বা সর্ট কোর্স আছে । তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন । মোটামুটি ৩-৫ বছর সময় লাগবে হয়তো।