যেসকল যৌগকে পানিতে দ্রবীভূত করলে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্তের সৃষ্টি হয় তাকে পোলার যৌগ বলে।
অার অায়নিক যৌগের ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্ত থাকে।
অায়নিক যৌগের সাথে পোলার যৌগের বিক্রিয়াকালে অায়নিক যৌগের ধনাত্মক প্রান্ত পোলার যৌগের ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত হয়। অনুরূপভাবে অায়নিক যৌগের ঋণাত্মক প্রান্ত পোলার যৌগের ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত হয়।
তাই অায়নিক যৌগ পোলার দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়।
পরমাণুর মধ্যে ইলেক্ট্রন শেয়ারিং এর মাধ্যমে যে বন্ধন গঠিত হয় তাকে সমযোজী বন্ধন বলে।যে যৌগে সমযোজী বন্ধন থাকে তাকে সমযোজী যৌগ বলে। সাধারণত সমযোজী যৌগ সমূহের মৌলগুলোর মধ্যে কোন আধান থাকেনা। যেসব সমযোজী যৌগের অণুগুলো ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধানযুক্ত হয় তাদের পোলার সমযোজী যৌগ বলে। আর সেই পোলার যৌগ যদি হয় তাহলে তাকে পোলার দ্রাবক বলে।
আয়নিক যৌগ সমূহের দুটি বিপরীত ধর্মী আধান থাকে।একটি ধনাত্মক এবং অপরটি ঋণাত্মক। এই বিপরীতধর্মী আধানের মধ্যে যে আকর্ষণ থাকে তাকে ল্যাটিসস আকর্ষণ বলে।
আয়নিক যৌগ সমূহ যখন পোলার দ্রাবকে এ যুক্ত করা হয় তখন পোলার দ্রাবক এর আংশিক ধনাত্মক প্রান্ত আয়নিক যৌগের ঋণাত্মক প্রান্তের প্রতি এবং পোলার দ্রাবক এর আংশিক ঋণাত্মক প্রান্ত আয়নিক যৌগের ধনাত্মক প্রান্তের প্রতি এক আকর্ষণ হয়। যাকে হাইড্রেশন শক্তি বলে এই হাইড্রেশন শক্তি ল্যাটিস আকর্ষণের তুলনায় বেশি। তাই আয়নিক যৌগের ল্যাটিস আকর্ষণ দুর্বল হয়ে যায় আর্থাৎ আয়নিক বন্ধন দুর্বল হয়ে যায় । এইজন্য আয়নিক যৌগ সমূহ পোলার দ্রাবক এ দ্রবণীয়।