৪-৫ বছরে একটা মেয়ে ধর্ষণের শিকার হলে, তার কি বড় হলে সতীত্ব থাকবে না। এবং কিভাবে বোঝা যাবে যে মেয়েটি এর আগে কোনো পুরুষের সাথে যৌনমিলন করেছে কি না।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

আমাদের অর্ধশিক্ষিত তরুণ সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে যোনিপথে একটি পর্দা থাকে, যা প্রথম মিলনে ছিঁড়ে যায়। তাই এ পর্দা না থাকলে বুঝতে হবে মেয়েটি নিশ্চিত অসতী।

--- সতীপর্দা বা Hymen মূলত একটি পাতলা মেমব্রেন যা মেয়েদের যোনিমুখের নিকটেই অবস্থান করে। এর বিভিন্ন আকৃতি রয়েছে, তবে ছোট বয়সে সাধারণত চন্দ্রাকৃতির হয়। আকৃতি যাই হোক, এটি ছিঁড়ে যাওয়ার পিছনে শুধু যে যৌনমিলনই দায়ী তা কিন্তু না। বিভিন্ন অসুখ, দুর্ঘটনা, ইনফেকশন কিংবা হস্তমৈথুনের ফলেও এটি ছিঁড়তে পারে। এইজন্য সবসময় মাথায় রাখবেন "সতীত্ব" আর "সতীচ্ছেদ" শব্দদ্বয়ের ব্যবহারিক সম্পর্কটা খুবই ক্ষীণ।

আর ধর্ষণ হয় ইচ্ছার বিরুদ্ধে, ধর্ষিত কাউকে অসতী বলা চরম অবিচার।


কোনো মেয়ে সতী কিনা তা তার দেহ বিচার করে নির্ণয় করার চেষ্টাও করবেননা। বিয়ের আগে মেয়ের স্বভাবচরিত্র সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন, বিয়ের পরে এসব নিয়ে মাথা ঘামিয়ে সংসারের সুখ নষ্ট করার কোনো মানেই হয়না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ