অাসসালামুঅালাইকুম

সকল প্রসংশা সেই মহান সত্বার উপর যার হাতে অামার প্রান। অাজ অামি অামার জিবনের একটি তিক্ত সত্য সবার সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। জানিনা এর সঠিক সলিউশন পাবো কিনা। তবো প্রশ্নটা না করে পারছিলাম না। বিবেকের তাড়নায় তাড়িত হচ্ছি প্রতি নিয়ত।

৩ বছর অাগের কথা। অামি স্বভাবত খুবই ভদ্র, ঠান্ডা মেজাজ এবং ইসলামিক মাইন্ডেড ছিলাম।তখন অামি ক্লাস নাইনে পড়ি। মেয়েদের থেকে সবসময়ই দূরে থাকার চেষ্টা করতাম। স্টুডেন্ট হিসেবেও অালহামদুলিল্লাহ ভালোই ছিলাম। কিন্তু অকল্পনীয় হলেও সত্য অামি একটা মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। মূলত ওই মেয়েটিই অামাকে পছন্দ করেছিল। অনেক চেষ্টার পর অামাদের সম্পর্কটা স্টার্ট হয়। সম্পর্কটাতে মেয়েটার অবদান ছিলো অনেক বেশি। একটা মেয়ে যে কতটা কষ্ট শিকার করে একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সেটা নতুন করে বিশ্বাস করেছিলাম। গল্পটা একটু লম্বা হবে। ধৈর্য নিয়ে পড়বেন প্লিজ। কোনো ইসলামি ভাই ভালবাসার গল্প বলে ইগনোর করবেননা প্লিজ। এটা দুজন ব্যক্তির জিবন নিয়ে রচিত গল্প, যেটার জের এখনো টানতে হচ্ছে!...বেশ ভালোই চলছিলো দিনগুলো। তবে অামি এতো মেলামেশা পছন্দ করতাম না। ও খুব চাইতো একসাথে ঘুরাঘুরি করতে। তাও ভালবাসার দায়ে অনেক কিছুই করেছি। তার সব গুলাই ছিলো পাপে ভরা। ও খুব স্মার্ট ছিলো।  বাট অামার কথায় নামাজ পড়তে লাগলো,পর্দাও করতে লাগলো। প্রায় ১ থেকে দেড় বছর রিলেশনটা চলছিলো ঠিকঠাক মতোই। এরি ভেতর ফেমিলিতেও অনেক প্রবলেম গেছে এ রিলেশন নিয়ে। সে লম্বা ঘটনা। সংক্ষিপ্ত করে বলছি। অামার এসএসসি পরিক্ষার পর অনেক চিন্তাভাবনার পর সিদ্ধান্ত নিলাম রিলেশনটা অার রাখবো না!! ওকে বললাম সবকিছু। কিন্তু অকল্পনীয় হলেও সত্য, ও সুসাইড করার ট্রাই করেছিলো ঘুমের টেবলেট খেয়ে। হাত কাটা থেকে শুরু করে অারো কতো রক্তের খেলা যে গেছে রিলেশন সময়টাতে। অাসলে মেয়েটা অসম্ভব ভালোবাসে অামাকে। পরে রিলেশনটা অামি অফ করে দেই টুটালি। অামি জানতাম এটা সম্পূর্ণরূপে হারাম। কারন ইসলাম কখনই একটা মেয়ের সাথে বিয়ের অাগে এভাবে চলাফেরার অনুমোদন দেয়না। সম্পর্কটার বিচ্ছেদ ঘটার পর অামি অনেক চেন্জ হয়ে গেছি। অালহামদুলিল্লাহ নামাজ সবসময় কায়েম করি। ভালোই চলতো দিনগুলা যদি সে অাবার অামার জিবনে ফিরে না অাসতো!...অাসলে এতোদিনের ব্রেকের পরও সে অামাকে একটুও ভুলতে পারেনি। সে অামাকে নিয়ে এখনো সপ্ন দেখে। একটা ফেমিলির। অামরা দুজনই এইচএসসি দিবো এবার। কিন্তু অামি কিভাবে অাবার জড়িয়ে গেলাম ওর কথার মায়াজালে নিজেও জানিনা। কিন্তু অামি অাবার এসব থেকে মুক্তি পেতে চাই। ইচ্ছে করলেই অামি সব কানেকশন অফ করে দিতে পারি। কিন্তু সে বলে লাইফে অামাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না। কোনো দ্বিনি ভাই যদি পোষ্টটি পড়ে থাকেন অাশা করি উত্তর দিবেন দয়া করে। এমতাবস্থায় অামার করণীয় কি? ইসলামে কি এ সম্পর্কটা মেনে নিবে? দূরে সরে অাসলেকি অপরাধ হবে? নাকি নরমালি রিলেশনটা চালিয়ে নিবো? (ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত জেনেও)....যদিও এটা পাপ মনে হয় অামার কাছে। অাল্লাহর দরবারে কি জবাব দিবো? ইসলামের ছায়াতলে অাসতে চাই।


 সঠিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন প্লিজ। :(


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Md Ashif

Call

সমবয়সী প্রেম টিকে না। আপনার নিজের পায়ে দাঁড়াতে আরো ১০-১২ বছর লাগবে। একটা মেয়ে কি এত বছর অপেক্ষা করবে? আর নিজের পায়ে না দাঁড়ানো পর্যন্ত বিয়ে করা মানে কুয়োয় ঝাঁপ দেয়া। 

যদি ইসলামের দিকে তাকান বিয়ে আগে প্রেম কিছুতেই সমর্থন করেনা। আপনার উচিৎ মেয়েটাকে বাস্তবতা বুঝানো। না হয় অপেক্ষা করতে বলুন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনার কথা পড়ে ক্ষুদ্রজ্ঞ্যানে বিশ্লেষন করে যতটুকু বুঝলাম-

আমার মনে হয় আরো কিছু বছর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য ওয়েট করুন এবং মেয়েকে বাস্তবটা বুঝান তারপর প্রতিষ্ঠিত হলে ওই মেয়েকে বিয়ে করে ফেলুন। আপনারা দুজন যদি আলাদা হয়ে যান তবে সাময়িকটা খুব বেশী কষ্ট লাগবে পরে একটু কমে যাবে কিন্তু ভবিষ্যতে এটা খুব পীড়া দিবে, দুজনকেই কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে। তাছাড়া এক্ষেত্রে নিজের বিবেক বুদ্ধি সচেতনতাই বড় ব্যাপার, অন্যের পরামর্শ নিজের উপর প্রোয়োগ করলে অনেক সময় হিতে বিপরীত হতে পারে। যাইহোক সবকিছু পারিপার্শিক অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Manik Raj

Call

আপনার সম্পূর্ণ কাহিনী পড়ে সমস্যার সমাধানের 

যে প্রক্রিয়া পাওয়া গেলো তা নিম্নরূপে উপস্থাপনা করা

 হলো→ প্রথমেই বলতে হবে যে মেয়েটি আপনাকে

অত্যাধিক ভালোবাসে অর্থাৎ, মাত্রাতিরিক্ত। যেই ভালো 

লাগার অনুভূতিটার সীমাবদ্ধতা প্রকাশিত করা

প্রায়ই অসম্ভবতার মধ্যে যায়।


মেয়েটা যেহেতু প্রথমাবস্থায় থেকেই

আপনাকে ব্যাপক পরিমানে পছন্দ করে,

ভালোবাসে এবং আপনিও কোন না কোন

একসময় তাঁর মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসার

নিকট পরাধীন হয়ে যান।মানে মেয়েটির

সাথে আপনি সম্পর্কের সাথে লিপ্ত হবেন না 

সত্বেও তাঁর ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়েছেন। 

এবং এই মূহুর্ত আপনি পুনরায়  চাচ্ছেন যে,মেয়েটির

 ভালোবাসা থেকে নিজেকে বিরত রাখতেন। 


এর মানে এটাই দ্বারায় আপনাদের দুজনের সম্পর্কের 

সমাপ্তি ঘটানো। যাঁর অর্থ এখন আপনি মেয়েটিকে 

সম্পূর্ণরুপে ভুলে যেতে।   শুরু থেকে তথাপিও পর্যন্ত 

মেয়েটি আপনাকে যে পরিমানের অর্থে ভালোবাসেন সেখান

থেকে যেটা দুঃসাধ্য ব্যাপার।


কেননা,মেয়েটি আপনার ভালোবাসার জন্য মেয়েটির

 জীবনকেও ধব্বংস করতে দ্বিধাও বোধ করবেনা।

আপনার ভালোবাসার জন্য মেয়েটির জীবনকেও

সমাপ্তি করে দিতে পুরাপুরিভাবে প্রস্তুত রয়েছেন।

 যে মুখ দিয়ে নিজের জীবনকে শেষ করে দিবে এমন 

একটি অনুচিত কথা যে বলতে পারে সে বাস্তবিকপক্ষে যে 

করতেও পারবেনা তারেই বা কি অনিশ্চয়তা আছে। 

যে বলতে পারে সে করতেও পারে। 

এই মেয়েকে যেভাবেই বুঝানোর চেষ্টা যেকেউ করুক না

 কেনো মেয়েটিকে এই ভালোবাসার জগৎ থেকে

পুরাপুরি পরিত্রাণ করা সম্ভবপর না।


যেহেতু কোনভাবেই মেয়েটির ভালোবাসা থেকে পুরাপুরি 

পরিত্যাগ করা সম্ভবপর হচ্ছেনা সেহেতু এই কাহিনীর সমাধান

 তো একটা খুঁজে বের করতেই হবে।


এখন সমাধানের কথায় আসি→

সংক্ষিপ্ত আকারে বলছি মেয়েটির সাথে আপনি আপনার 

কথাবার্তা  চালিয়ে চান শালীনতা ভাষায়।

মেয়েটির সাথে সবসময় সুন্দর মতো চলার চেষ্টা করুন।

 এখানে প্রেমের অংশ দিয়ে নয়,বন্ধুত্বের রিলেশন নিয়ে

চলুন।এবং মেয়েটিকে বলুন যে যখন আপনি নিজে প্রতিষ্ঠিত 

হবেন এবং আপনার বিয়ে করার মতো উপযু্ক্ত সময়

আসবে তখনেই আপনি তাঁকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে গ্রহণ 

করে নিবেন। আর এর আগপর্যন্ত আমাদের দুজনের

মধ্যে প্রেমের কোনো সম্পর্ক থাকবেনা।


থাকবে শুধু দুজনের প্রতি দুজনের ভালোবাসা। 

হয়তো এটাই হতে পারে মেয়েটির শান্ত থাকার অন্যতম কারণ।

ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ