হ্যা , উত্তর প্রদান করা হয়েছিল যে, দাসীর সাথে সঙ্গম করা যাবে না। আপনার উক্ত বিষয়টি রাসুল স. এর যুগে ছিল। পরে সেটা রহিত করা হয়েছে। আর আপনি কুরআনের কথা বলতেছেন, সেটাও ঠিক আছে। তবে আয়াতের বাহ্যিক অর্থ আর তাফসির এক নয়। আপনি একটি আয়াত পড়ে যেটা বুঝবেন, সেটা ভুল হতে পারে। এজন্য আয়াতের তাফসীর পড়তে হবে। আপনি কুরআনের উক্ত আয়াতের তাফসীর দেখতে পারেন।
প্রথমত, ক্রীতদাসী শব্দটি কাদের জন্য প্রযোজ্য সেটি আপনাকে বুঝতে হবে।
আগেকার দিনে বেদুইন কিংবা ধনী বণিকদের বহরে/জাহাজে আক্রমণ করে দস্যুরা সকল পুরুষকে মেরে ফেলতো এবং মহিলাদের বিক্রি করার জন্য ধরে নিয়ে যেতো।
এখানে এইসব মহিলারা ছিলো অসহায়, তখনকার দিনে তাদের একাকী জীবনধারণ করা অসম্ভব ছিলো। তাই তাদের সুরক্ষা এবং জৈবিক চাহিদা পূরণে দাসী হিসেবে ক্রয় করাটা জায়েজ ছিলো।
এটি যদি হারাম হতো তাহলে ঐসকল মহিলারা সুরক্ষাবিহীন অবস্থায় বসবাস করতো এবং বেশিরভাগের ঠিকানাই হতো পতিতালয়।
এবার বর্তমান দৃশ্য দেখুন-
প্রথমত আপনি দাসী ক্রয় করবেন কোত্থেকে? দাসপ্রথা প্রায় ১০০ বছর আগ থেকে নিষিদ্ধ এবং আপনি কোনভাবে কিনতে সক্ষম হলেও, তার দায়ে লম্বা সময়ের জন্য জেলে যাবেন।
আর হ্যা, পিতা বা পারিবারিক সদস্যদের কাছ থেকে কোনো মেয়েকে ক্রয় করলে সে ক্রীতদাসী হিসেবে গণ্য হবেনা। এটি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্যই হারাম এবং মারাত্মক গুনাহ হিসেবে পরিগণিত হবে। আর আপনার বর্ণনানুযায়ী কোনো মেয়ের নিজে নিজেকে বিক্রি করাতো একদম পতিতাবৃত্তিরই নামান্তর।
এখন আপনি যদি প্রাচীনকালে ফিরে গিয়ে অসহায়, পরিবারপরিজন বিহীন কোন মহিলাকে নিলামে বিক্রির খবর শোনেন, তাহলে তাকে ক্রয় করেন। সকল শর্ত পূরণ করে আপনি তার সাথে বৈধভাবে মিলিত হতে পারবেন এবং এর জন্য কোনো গুনাহ ও হবেনা।
আজকের দিনে এসব চিন্তা করাও নিচু চরিত্রের পরিচায়ক।