এখন ইউটিউবে দেখা গেছে যে 1000 subscribe এবং youtube channel এ এক বছরে  সবমিলিয়ে 4000 মিনিট ভিডিও হতে হবে এটা কেন করলো youtube

কেও জানলে প্লিজ বলবেন

আর এইটা কি কোন সময় ঠিক হবে


Share with your friends

গুগল অনেক কিছু বিবেচনা করে এবং তার বিজ্ঞাপণদাতা ও ক্রিয়েটরদের সাথে লম্বা আলাপ শেষে একটি পদ্ধতি নির্ধারণ করেছে যে কোন ধরণের কনটেন্টের জন্য বিজ্ঞাপণ দেয়া যেতে পারে। আগে ১০০০০ (দশ হাজার) ভিউ হলেই ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য কোন চ্যানেল উপযুক্ত বলে বিবেচনা করা হতো, অর্থাৎ মনিটাইজেশন অন হতো। কিন্তু বিগত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে গুগলের এটা বোঝা হয়েছে যে, এই পদ্ধতি মোটেই যথেষ্ট নয় বরং এর চেয়ে ভালো কোন পদ্ধতিতে চ্যানেল নির্বাচন করতে হবে যে কারা বিজ্ঞাপণ পাবে। তাই শুধুমাত্র ভিউই নয়, এর পরিবর্তে কোন চ্যানেলের আকার মানে কতোটা বড়, এর ভিউয়ারসদের দেখানোর ক্ষমতা কতোটুকু, এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরের আচার-আচরণের উপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞাপণ দেয়া হবে। এজন্য আজ থেকে কোন চ্যানেলকে বিজ্ঞাপণ পেতে হলে বা ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অংশ নিতে হলে, তথা মনিটাইজেশন অন করতে হলে ১০০০ (এক হাজার) সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ (চার হাজার) ঘন্টা Watch টাইম পেতে হবে, যা ২৪০০০০ হাজার মিনিট এবং তার জন্য এক বছর সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই অর্জনগুলো এক বছরের মধ্যেই হতে হবে। ২০শে ফেব্রুয়ারী ২০১৮ থেকে যেসব চ্যানেলের বর্তমানে মনিটাইজেশন অন আছে সেগুলোর জন্যও এই পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। উপরে একটি চ্যানেলের আকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে, হ্যা এটি ঠিক যে শুধুমাত্র একটি চ্যানেলের সাইজ দিয়েই তার বিজ্ঞাপণ প্রাপ্তির উপযোগিতা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তাই গুগল এখন থেকে কমিউনিটি ষ্ট্রাইক, স্প্যাম এবং অন্যান্য এবিউজ ফ্ল্যাগস গুলোও মনিটর করে তারপর মনিটাইজেশন অন করবে। অর্থ্যাৎ এগুলোর কোন একটির ঘাটতির কারণ হলেই মনিটাইজেশন পাওয়া যাবেনা, যা আগে অনেক বেশী সহনীয় মাত্রায় ছিলো। কামরুল ইসলাম রুবেল। এই পলিসি বর্তমানে অন থাকা চ্যানেলগুলোর উপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রযোজ্য হয়ে যাবে এবং প্রযোজ্য হওয়ার সময় যদি কোন চ্যানেলকে বারবার অথবা গুরুত্বরভাবে কোন কমিউনিটি গাইড লাইন ভেঙ্গেছে বলে জানা যায় তাহলে চালু থাকা চ্যানেলের মনিটাইজেশনও বন্ধ হয়ে যাবে। এবং আগের মতোই তিনটি কমিউনিটি গাইড লাইন ভঙ্গ করলে একাউন্ট ও চ্যানেল পুরোপুরি সাসপেন্ড করা হবে। উপরের বর্ণিত মনিটাইজেশনের যোগ্যতাগুলো আপাতদৃষ্টিতে কঠিন বলে মনে হলেও এই ব্যবস্থার ফলে খারাপ কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং স্প্যামার মুক্ত হয়ে যাবার কারণে ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটররা অনেক বেশী উপকৃত হবে। এই পদ্ধতির ফলে যারা বিজ্ঞাপণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে তারা এখন থেকে 95% এর বেশী বিজ্ঞাপণদাতাতের কাছ থেকে বিজ্ঞাপণ পাবে। আরো দুটি নতুন বিষয় ইউটিউব নিয়ে আসছে, সেগুলো হলো # এখন থেকে ম্যানুয়ালি রিভিউকে গুগল সবার আগে প্রেফার করবে। অর্থাৎ বিজ্ঞাপণ দেয়ার জন্য এখন শুধু সফটওয়্যারের উপর নির্ভর না করে ম্যানুয়াল রিভিউ করা হবে। # বিজ্ঞাপণদাতাদের জন্য আরো বেশী স্বচ্ছতা ও সহজ কন্ট্রোল এনে দিবে, যাতে করে তারা জানতে পারে যে, তাদের বিজ্ঞাপণগুলো কোথায়, কোন চ্যানেলে, কিভাবে দেখানো হচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমি আর বর্ণনা করছিনা। কারণ ওগুলো সরাসরি মনিটাইজেশন সম্পর্কিত নয়। মোদ্দাকথা, এখন থেকে বিজ্ঞাপণ পেতে হলে অবশ্যই এডভার্টাইজ ফ্রেন্ডলী কনটেন্ট বানাতে হবে, যা হচ্ছে সব কথার শেষ কথা। আগামীতে চেষ্টা করবো এডভার্টাইজ ফ্রেন্ডলী এবং ম্যানুয়াল রিভিউ নিয়ে কিছু বলার। এতক্ষণ যা বললাম এই কথাগুলো আমার ব্যক্তিগত কথা নয়, গুগলের অফিশিয়াল পেজ থেকে নেয়া।

Talk Doctor Online in Bissoy App