বদ নজরের ইসলামে কি কি চিকিৎসা আছে,,,ইয়া বার্রু,,, এর বাংলা অর্থ কি,,,

,দয়া করে সূরা গুলো বাংলায় লিখবেন,,,


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কিভাবে যাদু এবং বদনযর থেকে বেঁচে থাকবে? ১) আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলঃ সকল প্রকার বালা-মুছিবত থেকে বেঁচে থাকা এবং যাবতীয় উদ্দেশ্য পূরণের জন্য সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল আল্লাহর প্রতি ভরসা। আল্লাহ্ বলেন, ( ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﺘَﻮَﻛَّﻞْ ﻋَﻠﻰَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺣَﺴْﺒُﻪُ ) “যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করবে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট হবে।” (সূরা ত্বালাক- ৩) ২) আল্লাহর নির্দেশের বাস্তবায়ন ও নিষেধ থেকে দূরে থাকাঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ নিষেধের হেফাযত করবে, সে অনুযায়ী চলবে আল্লাহ্ তাকে দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার, সম্পদ সর্বদিক থেকে হেফাযত করবেন। রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেন,“তুমি আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চল আল্লাহ্ তোমাকে হেফাযত করবেন।” (তিরমিযী) ৩) অধিকহারে আল্লাহর যিকির করাঃ যেমন- কুরআন তেলাওয়াত, সুবহানাল্লাহ্, আল হামদুলিল্লাহ্, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি বেশী বেশী বলা, অধিকহারে ইস্তেগফার করা, নবী (ছাঃ)এর উপর বেশী করে দরূদ পাঠ… ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে বান্দা নিজেকে সুরক্ষিত করতে পারে। নির্দিষ্টভাবে যে সকল দু’আ কালামের মাধ্যমে যাদু, বান, টোনা, বদ নযর, জ্বিন, শয়তান ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নিম্নরূপঃ ক) নিদ্রা যাওয়ার আগে আয়াতাল কুরসী (সূরা বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত) পাঠ করা। যে ব্যক্তি রাতে তা পাঠ করে, তার জন্য সকাল পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন হেফাযতকারী ফেরেশতা নিয়োগ থাকে, ফলে শয়তান তার নিকটবর্তী হতে পারে না। (ছহীহ বুখারী) খ) সূরা বাক্বারা পাঠ করা। যে গৃহে এই সূরা পাঠ করা হয় সেখান থেকে শয়তান পলায়ন করে। (মুসলিম) গ) সূরা বাক্বারার শেষের দু’আয়াত পাঠ করা। যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাক্বারার শেষের দুটি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এ দুটিই যথেষ্ট হবে। অর্থাৎ- সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে। (ছহীহ বুখারী) ঘ) সকাল-সন্ধার নির্ধারিত দু’আ সমূহ পাঠ করা। গৃহে প্রবেশ, গৃহ থেকে বের হওয়া, সোওয়ারীতে আরোহণ করা প্রভৃতি সময়ে নির্দিষ্ট দু’আ পাঠ করা। ঙ) শিশুদেরকে ঝাড়-ফুঁক করা। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) হাসান ও হুসাইন (রাঃ)কে ঝাড়-ফুঁক করতেন। তিনি বলতেন, ﺃُﻋِﻴْﺬُﻛُﻤﺎَ ﺑِﻜَﻠِﻤﺎَﺕِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍﻟﺘﺎَّﻣَّﺔِ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻴْﻄﺎَﻥٍ ﻭَﻫﺎَﻣَّﺔٍ ﻭَﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﻋَﻴْﻦٍ ﻻَﻣَّﺔٍ “আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণী সমূহের মাধ্যমে আমি তোমাদের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করছি সকল প্রকার শয়তান থেকে, বিষধর প্রাণীর অনিষ্ট থেকে এবং সকল প্রকার বদ নযর থেকে।” (বুখারী) চ) সূর্যাস্তের সময় শিশুদেরকে বাড়ীর বাইরে যেতে বাধা দেয়া। নবী (ছাঃ) বলেন, “যখন সন্ধা হয় তখন তোমাদের শিশুদেরকে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত রাখ। কেননা এই সময়ে শয়তানের দল বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। যখন রাতের একটি প্রহর অতিবাহিত হবে তখন (শিশুদেরকে) ছেড়ে দিতে বাধা নেই।” (বুখারী ও মুসলিম) ছ) বাসস্থানকে ক্রুশ, মূর্তি, প্রাণীর ছবি, কুকুর থেকে পবিত্র করা। কেননা এসব বস্তু যে গৃহে থাকে সেখানে ফেরেস্তা প্রবেশ করে না। এমনিভাবে গান-বাদ্যের সরঞ্জাম থেকেও গৃহকে পবিত্র রাখা। চিকিৎসাঃ ইমাম ইবনুল ক্বাইয়েম বলেন, যাদু-টোনা ইত্যাদির ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারী চিকিৎসা হল এলাহী চিকিৎসা। বরং প্রকৃতপক্ষে তাই হল, আসল উপকারী চিকিৎসা। তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:- যাদুকৃত ব্যক্তির চিকিৎসা: ১) প্রথম পন্থ : যে সমস্ত বস্তু দ্বারা যাদু করা হয়েছে তা সম্ভব হলে বের করা এবং নষ্ট করে ফেলা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

১। বদনজর বা কুদৃষ্টির আশঙ্কা হলে করণীয় : কল্যাণ ও প্রাচুর্যের দু‘আ করবে। হাদীস : আবূ উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা সাহল বিন হুনাইফ রাযি. একদা কলকল রবে বয়ে চলা এক জলাধারে গোসল করতে গেলেন। এরপর নিজের পরিধেয় বস্ত্র খুললেন। এদিকে আমের ইবনে রবী‘আ রাযি. এ দৃশ্য অবলোকন করছিলেন। সাহল রাযি. একজন শুভ্র উজ্জ্বল দেহের অধিকারী ও সুন্দর তকের ধারক ছিলেন। আমের রাযি. তাকে বললেন, আজকের মত তোমাকে আর কখনো দেখিনি। তখন তার দেহ অনাবৃত ছিল। এ কথা বলার সাথে সাথেই সাহল রাযি. সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন। তার অসুস্থতা বেড়ে গেল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সংবাদ দেয়া হলো, সাহল রাযি. অসুস্থ হয়ে পড়ে গেছেন। আল্লাহর রাসূল! সে আপনার নিকট আসতে সক্ষম নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ শুনে তার নিকট আসলেন। সাহল রাযি. আমের রাযি. এর কারণে যা ঘটেছে তার বিবরণ দিলেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কেন তোমাদের ভাইকে হত্যা করো? তোমরা কেন বরকত ও মঙ্গলের দু‘আ করো না? জেনে রেখো, চোখ লাগা সত্য। (আমের!) তুমি সাহলের উদ্দেশে গোসল করো। আমের রাযি. গোসল সম্পন্ন করলে তাঁর গোসলের পানি তার দেহে ঢেলে দেয়া হয়। ফলে সাহল রাযি. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে চলা শুরু করেন। তখন কোনো সমস্যা অনুভূত হলো না। (মুআত্তা মালেক; হাদীস ৩৪৫৯)। ২। কুদৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকার দু‘আ : اَعُوْذُ بِكَلِمٰتِ اللهِ التَّآمَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَآمَّةٍ وَّمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَّآمَّةٍ. অর্থ : সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও কুদৃষ্টি হতে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় কামনা করছি। (সহীহ বুখারী; হাদীস ৩৩৭১)। ৩। ইয়া বাররু অর্থ হে পরম দানশীল ! উল্লেখ, আরবী দুআ নিকটস্থ মসজিদের ইমাম বা আলেম থেকে শিখে নিবেন। কারণ বাংলা থেকে আরবী পড়া হলে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ