নিজের লক্ষে যেতে হবে, আবেগ বৃষ্টির মতো এসে বাধা দেয়! আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

হ্যা আবেগ উপশম করা যায়। আপনি আপনার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ঠিক রাখুন। তাড়লেই আবেগ উপশম করতে পারবেন। আপনি যদি আপনার লক্ষ্য ঠিক রাখে না পারেন, তাহলেতো আবেগের কারণে আপনার মোটিভ নষ্ট হবেই। নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক রাখুন, নিজেকে শক্ত করুন, যতই বাধা আসুন। সব বাধাকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে চলুন। তাহলেই সফলতা পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সফলতার জন্যে যে মানসিক শক্তির প্রয়োজন তা অর্জন করতে হয়।

চিন্তাধারা ইতিবাচকভাবে গড়ে তুলতে হয়। এর সঙ্গে ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো থেকে দূরে থাকাও জরুরি।

তারাই সবচেয়ে শক্তিশালী যাদেরকে আমরা যুদ্ধ করতে দেখি না।

কিন্তু শেষ অবধি তারাই বিজয়ী হন।

নিজের আবেগ বশে আনতে আপনি এই কথা গুলো অনুসরণ 

করেন


১. চাপের মধ্যেও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে স্থিত থাকতে হয়। আর তা করতে হলে আবেগের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।


২. গোটা পৃথিবী বিরুদ্ধে চলে গেলেও আপনি অটল থাকবেন মানসিক শক্তির দ্বারা। আর এ জন্যে কি অর্জন করতে হবে তার সম্পর্কে পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে।


৩. যদি পরিবর্তন একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে, তবে যখন তখন এর জন্যে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা জরুরি। এতে করে উন্নতির গতি থেমে থাকবে না।


৪. যেকোনো কিছু থেকে দূরে থাকার অভ্যাস থাকতে হবে। আবার যখন ফিরে আসবেন তখন আগের চেয়ে বেশি উদ্দীপনা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। এ ক্ষেত্রে কল্পনায় গা ভাসিয়ে সময় নষ্ট করলে চলবে না।


৫. স্ট্রেসপূর্ণ পরিস্থিতিতেও একই পারফরমেন্স করে যাওয়ার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে।


৬. জীবন এবং পেশার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রতিদিনের চাহিদা, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘঠনা এবং দুর্ঘটনার পর ভেঙে পড়লে চলবে না।


৭. যা করছেন তার দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল সম্পর্কে ভাবার চেষ্টা করুন।


৮. বাস্তবতা অনুধাবন করতে সহায়তা করে ব্যর্থতা, ভুল এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এসব বিষয় থেকে শিক্ষা নিয়ে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠুন।


৯. অন্যকে খুশি করার বিষয়ে খুব বেশি ব্যস্ত থাকবেন না। আপনি সবাইকে খুশি রাখতে পারবেন না। তাই আপনি খুশি থাকতে পারছেন কিনা তা দেখুন।


১০. কোনো কাজের দ্রুত ফলাফল আশা করবেন না। আবার এমনভাবে কাজ করতে থাকবেন না যে, তাতে ভুল হতে পারে।


১১. নিজের ক্ষমতা অন্যের হাতে যেন চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। নিজের কর্মসূচির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখবেন। আপনার মানসিক শক্তিই হবে যোগ্যতা।


১২. যে বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই তা নিয়ে অভিযোগ তুলবেন না। কিন্তু নিজের কথা, চালচলন এবং কার্যকলাপে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখুন।


১৩. ব্যর্থতা মেনে নিন। একে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ বলে মনে করুন।


১৪. সব সময় ইতিবাচক মানসিকতা রাখুন। নেতিবাচক মানুষের সঙ্গে থাকলেও নিজের ওপর আস্থা হারাবেন না। ভেতরের শক্তিটাকে দুর্বল হতে দেবেন না।


১৫. অন্যের সফলতায় হিংসা করবেন না। বরং আপনার যা আছে তা নিয়ে তুষ্ট থাকুন। কি অর্জন করতে চান তার প্রতি মনোযোগ দিন।


১৬. কখনো পথ থেকে সরে দাঁড়াবেন না। আর কখনোই হাল ছাড়বেন না।


১৭. যখন কোনো উপায় নেই, তখন মনের কথা শুনুন। নিজের ওপর আস্থা থাকলে মনের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবেন।


১৮. অসময় এবং পেশাজীবনে পতনের পরও নিজের গুণগত মান বজায় রাখবেন। এ ক্ষেত্রে কখনোই রুচিবোধ এবং কর্মআদর্শ থেকে সরে আসবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ