শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মোনালিসার চিত্রটি মুলত, মোনালিসা'র চোখ আর মোনালিসার হাঁসির জন্যই বিখ্যাত। তাছাড়া মোনালিসা বিখ্যাত হবার কারণ হলোঃ স্বয়ং "লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি"- তার এই বিখ্যাতশিল্পকর্ম নিয়ে হাঁটাহাঁটি করতো আর সবাইকে বলতো,"এটা আমার সবচাইতে সেরা শিল্পকর্ম।" মোনালিসাকে এমনভাবে আঁকা হয়ছে যেন ডানদিকের তুলনায় বাম দিকে একটু বড় দেখায়। ঐতিহাসিকভাবেই নার-পুরুষের অবস্থনগত দিকটা হলো-বামদিক নারীর। ভিঞ্চি ছিলেন নারীবাদের এক বড় ভক্ত। তাই তিনি মোনালিসাকে এঁকছেন এমনভাবে যাতে বামদিকটা বড় দেখায়। তাছাড়া কম্পিউটার বিশ্লষণে দেখা গেছে মোনালিস'র সাথে দা ভঞ্চির আত্মপ্রতিকৃতি'র সাথে অনেকটা মিলে যায়। তাই আমরা বলতে পারি মোনালিসা না ছেলে না মেয়ে। উভয়লঙ্গের ব্যাপারে ভিঞ্চি যথেষ্ট ক্লু রেখে গেছেন।মিশরীয় এক দেবতার নাম ছি্ল আমন আর এক দেবীর নাম ছিল আইসিস যাকে ডাকা হতো লিসা. দুইটি নাম যোগ করে হয় আমনলিসা। একে ইংরেজীতে এনাগ্রাম করে অর্থাৎ ব্ণগুলোকে সাজালে হয় মোনালিসা। মোনালিসার চেহারাই শুধু উভয়লঙ্গের নয়, এর নামটাও স্বর্গীয় ঐক্য প্রকাশ করছে। এজন্যই মোনালিসা এত বিখ্যাত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মিসরীয় এক দেবতার নাম ছিল আমন আর এক দেবীর নাম ছিল আইসিস যাকে ডাকা হতো লিসা- দুটি নাম যোগ করে হয় আমনলিসা। একে ইংরেজীতে এনাগ্রাম করলে অর্থ দাঁড়ায় মোনালিসা। মোনালিসার চেহারাই শুধু উভয় লিঙ্গের নয়, এর নামটাও স্বর্গীয় ঐক্য প্রকাশ করছে। এজন্যই মোনালিসা এত রহস্যময়ী। মোনালিসা তার চোখ ও তার হাসির জন্য যতটা না বিখ্যাত তারচেয়ে বেশি তার সরল অভিব্যক্তির মাঝে লুকিয়ে থাকা অনেক জটিল না জানা বিষয়ের জন্য। মূলত মোনালিসা থেকে আরও অনেক সুন্দর শিল্পকর্ম আছে যা আরও রহস্যময় কিন্তু মোনালিসাকে রহস্যে অতিক্রম করতে পারে না কোনটাই। মোনালিসাকে এমনভাবে আঁকা হয়েছে যেন ডানদিকের তুলনায় বাম দিকে একটু বড় দেখায়। ঐতিহাসিকভাবেই নারী-পুরুষের অবস্থানগত দিকটা হলো-বামদিক নারীর। ভিঞ্চি ছিলেন নারীবাদের এক বড় ভক্ত। তাই তিনি মোনালিসাকে এঁকেছেন এমনভাবে যাতে বামদিকটা বড় দেখায়। আর মোনালিসার গায়ে কোন অলংকারের বালাই নেই কিন্তু তবু সে এতো আকর্ষণীয়। লিওনার্দোর মোনালিসাও তেমনি চিরায়ত প্রেমিকা বা নারীর প্রতীক। ব্যালকনিতে দাঁড়ানো স্মিত হাসি যাতে সুখ আর বেদনার অনন্য মিশেল চিত্রটিকে রক্তমাংসের মানুষের মতো জীবন্ত করে তুলেছে আর তার পিছনে ইতালির তাসকানি অঞ্চলের সমৃদ্ধ প্রকৃতি ও মোনালিসার অভিব্যক্তি ছবিটিকে করেছে নানামাত্রিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। পৃথিবীতে এমন আরও বিখ্যাত চিত্র থাকলেও মোনালিসা অবিশ্বাস্যভাবে যেন এক জীবন্ত মানুষের মতো বেঁচে আছে শত শত বছর ধরে প্রশংসা বা সমালোচনার মূলবিন্দু হয়ে। চিত্রটিতে ইতালির তাসকানি অঞ্চলের অপূর্ব নিসর্গ আর একটি পড়ন্ত বিকেল অমর হয়ে রয়েছে। আলো ছায়ার খেলা এক নারীকে করেছে আরও রহস্যময়ী। শুধু মোনালিসার চেহারার অদ্ভুত অভিব্যক্তি নয় এই বিশ্বখ্যাত চিত্রের নারীটির অজানা উৎস এটিকে আরও বেশি রহস্যময় করে তুলেছে যার সত্য ভেদ করা যায়নি কয়েক শ’ বছর ধরে। শিল্পকর্মটি ফ্রান্সের ল্যুভ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ইতিহাসবিদদের মতে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৫০৩ থেকে ১৫০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে একটি পাইন কাঠের টুকরোর ওপর মোনালিসার এই ছবিটি আঁকেন। সর্বাধিক প্রচলিত মতটি হলো, ফোরেন্সের এক সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী তার স্ত্রী লিসা দেল জিওকন্দের প্রতিকৃতি আঁকার জন্য ভিঞ্চিকে দায়িত্ব দেন। আবার কেউ বলেন ভিঞ্চি নিজের স্ত্রীকে অনুকরণ করেই সৃষ্টি করেছিলেন এই অমর সৃষ্টি। এই সৃষ্টির পুরোটাই যেন রহস্যের জালে বন্দী। 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ