মেঘ ঘনীভূত জলীয়বাষ্প, বাতাসের প্রভাবে শীতল হয়ে এগুলো জলকণায় পরিণত হয় এবং বৃষ্টি হিসেবে পতিত হয়।
আপনি যে শিলাবৃষ্টির কথা বলছেন সেখানে শিলাখণ্ড কিন্তু মেঘ থেকে সৃষ্টি হয়না।
শিলা সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়াটা একটু জটিল, সহজভাবে বললে বৃষ্টির সময় অপেক্ষাকৃত উষ্ণ বায়ু উপরের দিকে উঠতে থাকে একই সাথে শীতল বায়ু নিচের দিকে নামতে থাকে। উর্ধ্বমুখী বায়ু যখন প্রচণ্ড বেগ প্রাপ্ত হয় (প্রায় ৬০ মাইল/ঘন্টা) তখন এটি এমন অবস্থায় পৌঁছে যায় যেখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে। ফলে কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বরফকণা সৃষ্টি হয়, এগুলো আবার নিম্নমুখী বায়ুর প্রভাবে কিছুটা নিচের দিকে নেমে আসে। এসময় পার্শ্ববর্তী জলকণাগুলো এই বরফকণার সংস্পর্শে এসে একটি আস্তরণ তৈরি করে এবং অপেক্ষাকৃত বড় বরফকণা গঠন করে। এটি পুনরায় উর্ধ্বমুখী বায়ুর প্রভাবে উপরে ওঠে এবং প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে। এভাবে প্রত্যেকবার এটি একটি নতুন স্তর গঠন করতে থাকে এবং একটি বড় শীলাখণ্ডে পরিণত হয়। শীলাখণ্ড মাঝ বরাবর কাটলে এই স্তরগুলো দেখা যায়।
যখন খণ্ডগুলো যথেষ্ট ভারী হয় তখন উর্ধ্বমুখী বায়ু এদের আর উপরে ওঠাতে পারেনা, ফলে এরা ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়।