কোর: কম্পিউটারে আমরা যা কিছু করি; যেমন: লেখা, ভিডিও দেখা, ইন্টারনেট ব্যবহার করা ইত্যাদি –এ সবই হচ্ছে কিছু সংখ্যার যোগফল বা বিয়োগফল। আমরা যখন কোন কাজ করার জন্য কম্পিউটারে কোন Command দেই- প্রসেসরের তখন তা দু‘টি সংখ্যা হিসেবে (০, ১) হিসেবে গ্রহণ করে, তার যোগ-বিয়োগ করে আমাদের কমান্ডকৃত ফলাফল প্রদান করে। প্রসেসরের যে অংশ এই গণনার কাজটি করে, সেটিকেই কোর বলে।
মাল্টি-কোর: মাল্টি-কোর হলো দু‘টি বা তার বেশি প্রসেসিং কোর ধারণ করে এমন CPU কে বোঝায়। একাধিক কোর ব্যবহার করে, সিপিইউ‘র Clock Speed বৃদ্ধি, উন্নত কর্মক্ষমতা, কম বিদ্যুত ব্যবহার এবং একাধিক কাজ আরও দক্ষভাবে এবং একযোগে করতে পারে।
ডুয়েল কোর: ডুয়েল কোর প্রসেসর হলো যে সিপিইউ –তে দু‘টি প্রসেসর থাকে। প্রতিটি প্রসেসরের একটি নিজস্ব ক্যাশ এবং কন্ট্রোলার থাকে, যখন কোন হিসাবের করার প্রয়োজন হয় তখন তারা একটি সিঙ্গেল প্রসেসর হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। দুটি প্রসেসর একত্রে সংযুক্ত করা থাকে তখন তারা যে কোন কাজ একটি সিঙ্গেল প্রসেসরের চেয়ে দ্বিগুন গতিতে সম্পাদন করতে পারে।
কোয়াড কোর: যে প্রসেসরে চারটি কোর থাকে সেই প্রসেসর কে কোয়াড কোর প্রসেসর বলে। উল্লেখ্য- এই প্রসেসর আগের একটি কোর-এর প্রসেসর থেকে চারগুন বেশি দ্রুত কাজ করবে না, বরং এটি আরও তিনটি কাজ একই সময়ে করতে পারবে।
Core i3, i5, i7: কোর i এর সংখ্যা যত বাড়বে প্রসেসরের ক্যাশ মেমোরী, ট্রানজিস্টার সংখ্যা এবং ক্লক স্পীড বাড়বে। সাথে কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। হাই রেজুলেশনের গেমিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনিমেশন ইত্যাদি কাজ দ্রুত এবং নিঁখুত ভাবে করতে- ‘‘কোর- আই’’ সংখ্যা বেশি ওয়ালা কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। দামও বেশি।