এই সম্পর্কে কুরআন হাদীস কী বলে

এই কথাটা সত্য কিনা, কুরআন হাদিসের আলোকে জানাবেন।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যারা জন্মগত ভাবে অন্ধ তারা ভালো  ভাবে আল্লাহতালার ইবাদত করলে জান্নাত পাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অন্ধ হলেই যে জান্নাতে যাবে এমন কথা ইসলামে কোথাও বলা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। শরিয়তের হুকুম শিশু এবং পাগল ছাড়া সবার উপরেই রয়েছে। চোখ  হল মানুষের গোনাহ প্রবেশের দ্বার। তাই অন্ধরা  চোখের গোনাহ থেকে নিরাপদ থাকে। একজন সাধারণ মুসলমানের উপর আল্লাহ্‌র যেসব হুকুম রয়েছে তেমনি একজন অন্ধের উপর একই হুকুম রয়েছে।

সুতারং, তার নেকআমলের উপরই জান্নাতের ফয়সলা হবে।যদিও আল্লাহ্‌ গাফুরুর রাহিম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

যারা জন্মগত অন্ধ তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে না। কেননা, অন্ধ ব্যক্তি শরিয়তের সব বিষয়ের মুকাল্লাফ এবং তাদের উপর শরীয়াতের বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়।

সুতরাং যদি সে মুকাল্লাফ শারিয়ত তসম্মতভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়, তাহলে তার উপর নামায, সিয়াম ফরয।

উদাহরণঃ একবার এক অন্ধ ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার এমন কেউ নেই, যে আমাকে হাত ধরে মসজিদে আনবে। অতঃপর লোকটি মসজিদে উপস্থিত হওয়া থেকে অব্যাহতি চান এবং ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি চান। রাসুলুল্লাহ তাকে ঘরে নামায পড়ার অনুমতি দিয়ে দেন। লোকটি রওনা করলে রাসুলুল্লাহ তাকে পুনরায় ডেকে পাঠান। লোকটি ফিরে আসেন। রাসুলুল্লাহ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কি আজান শুনতে পাও? লোকটি বললেন, ‘হ্যাঁ, শুনতে পাই।’ রাসুলুল্লাহ বললেন, তাহলে তুমি মসজিদে উপস্থিত হবে।

আর মুকাল্লাফ এর বৈশিষ্ট্য হল বালিগ (প্রাপ্তবয়স্ক),আক্বিল (বুদ্ধি-বিবেক সম্পন্ন) হওয়া। কারণ, ছোট শিশুর উপর কোনো তাকলীফ (শরিয়তের বিধি-বিধান) প্রযোজ্য হয় না।

অতএবঃ অন্ধ ব্যক্তি যদি বালিগ হওয়ার আগে মারা যায় সে বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। অন্যথায় নয়।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ