আমার ব্য়স ৪৭,৩মাস মাসিক বন্ধ,তলপেটে ডান দিকে হালকা ব্যথা,বমি বমি ও গরম লাগে,তলপেটে নাভির নীচে মাঝে মাঝে হালকা ব্যথা


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এটা মেনোপজের লক্ষণ। সাধারণত নারীদের ৪৫-৫০ বছর বয়সে মাসিক স্রাব বন্ধ হয়ে যায়। আর এসময় মাসিক অনিয়মিত ভাবে হয়ে থাকে । এটাই নরমাল প্রক্রিয়া। মেনোপজের আর একটি সাধারণ লক্ষণ- মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীরের ত্বক গরম ও রক্তিম হয়ে ওঠা। এ ছাড়া রাতের বেলা ঘেমে-নেয়ে দুর্বল শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া। তবে মেনোপজে আক্রান্ত সব নারীরই এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায় না। অনেক নারী মেনোপজ সমস্যাটি খুব সহজেই পাড়ি দেন। মেজাজ-মর্জির পরিবর্তন থেকে শুরু করে শরীরের জোড়াগুলোতে ব্যথা অনুভূত হওয়াও মেনোপজের লক্ষণগুলোর অন্তর্ভুক্ত। সব নারীই মেনোপজের লক্ষণ হিসেবে কথিত গরম ফ্লাশের অভিজ্ঞতা লাভ করেন না। হরমোনের ঘাটতির কারণে যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে আসে এই গুজবটি আংশিক সত্য। মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতির কারণে নারীদের যৌনাকাঙ্ক্ষা কিছুটা কমে আসে। এ ছাড়া মেনোপজের পর জননাঙ্গে পিচ্ছিল পদার্থের ঘাটতির কারণেও নারীদের যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে আসতে পারে। কারণ জননাঙ্গে পিচ্ছিল পদার্থের ঘাটতির ফলে যৌনমিলন বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে আসে। দৈহিক লক্ষণ ছাড়াও মানসিক কিছু লক্ষণেও মেনোপজের আভাস পাওয়া যায়। যেমন, মেজাজ খিটমিটে হওয়া, অবসাদ ও উদ্বেগ এবং এমনকি মস্তিষ্কে ঘোলাটে বা কুয়াশার মতো অনুভুতি হওয়া- ঠিকভাবে চিন্তা করতে বা সঠিক শব্দ চয়ন করতে না পারা। এছাড়া ঋতুস্রাব হালকা হয়ে আসে। সবার বেলায়ই যে এমনটা ঘটে তা ঠিক নয়। অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা যায় যে, পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে তাদের ঋতুস্রাব হালকা হয়ে আসে। থেমে থেমে দুই মাস - তিন মাস পর পর হয় । কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই মেনেপজের আগের সময়টুকু খুবই কঠিন ও বেদনাদায়ক হতে পারে। কারণ সে সময়টাতে তাদের ঋতুস্রাব অনেক ভারী এবং আরো যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। তাই ঘাবড়ানোর মত কিছু নেই আপনি গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ