শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
LabuIslam

Call

এখন হরহামেশাই দেখা যায় কমবয়সী একজন তরুণ প্রেম করছেন বয়সে অনেকটা বড় কোন বিবাহিত নারীর সঙ্গে। আজকাল এ বিষয়টি খুব দেখা যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা পরকীয়া ধরে নেয়া হয়। ভালোবাসার ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধাই মানে না এটা সত্য। বয়সে বড়, ডিভোর্সি কিংবা বিধবা একজন নারীর সাথে কোন তরুণের প্রেমের সম্পর্ক সমাজ সমালোচনার চোখে দেখলেও আসলে তেমন অন্যায় নেই তাতে। কিন্তু প্রেমটা যখন বয়স্কা বিবাহিত নারীর সাথে হয়? অবশ্যই নৈতিকতার একটা প্রশ্ন চলেই আসে। স্বামী- সন্তান থাকা সত্ত্বেও যখন প্রেম নিবেদন করছে একজন কমবয়সী তরুণ, নারী হয়তো নিজেকে সংবরণ করতে পারছেন না। কিন্তু একটি তরুণ কেন প্রেমে পড়ে এমন একজনের, যেখানে চাইলেই সে কোনো তরুণীর সঙ্গে প্রেম করতে পারে- অনেক তরুণই কিশোর বয়স থেকে বয়সে একটু বড় নারীদের নিয়ে ফ্যান্টাসিতে ভুগে থাকেন। দেখা যায় খুব কম বয়সে কোন আপা বা আনটির প্রেমে পড়ে যায়। সেই প্রেমে সফল হতে না পেরে ফ্যান্টাসির পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকে। আর তাতে ইন্ধন যোগায় পর্নোগ্রাফির মতো অসুস্থ বিষয়টাও। কিশোর থেকে তরুণ হতে হতে ছেলেটির ফ্যান্টাসির পরিধিটা আরও বাড়ে। তার তখন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিবাহিতা নারীদেরকে আক্ষরিক অর্থেই বেশী আকর্ষণীয় মনে হয়। সত্যিকারের ভালোবাসার কোন বয়স, ধর্ম, জাত, হিসাব-নিকাশ নেই। এমন ভালোবাসা যে কারো জীবনে হতে পারে আর যখন-তখন হতে পারে। আজকাল সত্যিকারের ভালোবাসার দেখা পাওয়া দুর্লভ হলেও এটা হতেই পারে যে শত পার্থক্য সত্ত্বেও মানুষ দুজন আসলেই নিজেদের গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলেন। এক্ষেত্রে নৈতিকতার প্রশ্নটা উঠতেই পারে। তবে জবাবটাও আপেক্ষিক, জীবন থেকে জীবনে বদলে যায়। আমাদের সমাজে ছোটবেলা থেকেই নায়িকা, বিশেষ করে বলিউডের নায়িকাদের দেখে বড় হয় কিশোর-তরুণরা। আর সেই বয়স থেকে বয়সে বড় নায়িকাদের প্রতি তীব্র আকর্ষণ জন্মে যায়। সেই আকর্ষণের আবেদন পূরণ করতেই বয়স্কা বিবাহিতা নারীদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায় তাঁরা। একজন বয়সে বড় বিবাহিতা নারী নিঃসন্দেহে আকাঙ্ক্ষিত সব দিক থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। আর এই বাড়তি অভিজ্ঞতার খোঁজে অনেক ছেলেই মনে করে প্রথম আকাঙ্ক্ষার সাথী হিসাবে একজন বিবাহিতা নারীই ভালো। বয়সে বড় হলেও এক্ষেত্রে অসুবিধা হয় না কোনো। এই অসুস্থ চিন্তা থেকে এমন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বেশিরভাগ তরুণ। সব ক্ষেত্রে যে একেবারে পুরুষেরই দোষ, তা কিন্তু নয়। অনেক ক্ষেত্রেই নারী নিজের দুঃখের কথা শুনিয়ে কিংবা নানান রকম ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে তরুণটিকে ফাঁদে আটকে ফেলে। এবং এমন অনেক ক্ষেত্রেই ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে বোঝার পরও তরুণটির কিছুই করার থাকে না। একজন বয়সে বড় বিবাহিতা নারীর সাথে প্রেম ও যৌন সম্পর্কে জড়ানোর সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে, দায়িত্ব নেয়ার কোন দায় থাকে না। যতদিন ইচ্ছা প্রেম হলো, ইচ্ছা না হলেই স্বামী-সন্তানের দোহাই দিয়ে ছেলেটি সরে যেতে পারে। খুব কম ক্ষেত্রেই এমন সম্পর্ক পরিণতির দিকে যায় বা ছেলেটি সাহস দেখায় আরেকজনের স্ত্রীকে বিয়ে করার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
SalamMiazy

Call

আসলে আমার মনে হয় এর পেছনে কয়েকটি কারন হতে পারে। তার মধ্যে প্রথমত , বিবাহীত নারীরা একটু খোলামেলা চলতে পছন্দ করে।এই চলাচল তরুন সমাজ কে আকর্ষণ করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

লক্ষ লক্ষ অবিবাহিত ও সুন্দরী তরুণী বিস্মিত হন এই ভেবে যে কেন ছেলেরা তাদের চেয়ে মধ্যবয়স্ক নারীদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। দিন দিন এই ধরনের সম্পর্কের মাত্রা বেড়েই চলেছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। মধ্যবয়স্ক নারীর মধ্যে শারীরিক ও চারিত্রিক বহু আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট আছে। আর এগুলো তারা সুন্দরভাবে মেলেও ধরতে পারেন। ছেলেরা এই লুকায়িত সৌন্দর্যই খুঁজে বেড়ায় এবং এতে মুগ্ধ হয়। সবচেয়ে বড় কথা সুন্দরী, অবিবাহিত তরুণীরা যত আকর্ষণীয় হোক না কেন একজন মধ্যবয়স্ক নারীর পূর্ণতার কাছে অনেক ক্ষেত্রেই আনাড়ি তারা। নিষিদ্ধের প্রতি তরুণদের এ আকর্ষণ চিরন্তন। এখন অনেক ছেলে মধ্যবয়স্ক নারীকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় অনেকটাই উন্মুখ। এ ব্যাপারটা প্রকাশেও তারা কোন রাখঢাক রাখছে না। এই হার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। কিন্তু কেন? বিশেষজ্ঞরা কিছু কারণ খুজেঁ বের করেছেন। আত্মবিশ্বাস একজন মধ্যবয়স্ক নারী এটা ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারেন যে তারা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি নিজের সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন। আর তাই তার ভেতরটা আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকে। এই ভারসাম্য ও আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবই তাকে ভেতর থেকে তীব্র আবেদনময়ী ও আকর্ষণীয় করে তোলে। আত্মবিশ্বাসী নারীরাই পুরুষের কাছে কাম্য। আত্মবিশ্বাসী নারীরা ছকবাঁধা নিয়মে চলতে পছন্দ করে, তারা নিজের জগতে কখনও সন্ত্রস্ত হয় না। নারীর এই দৃঢ় রূপ ও আবেদনময়ী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ছেলেরা মুগ্ধ হয়। তাই ক্রমশ: পুরুষ একজন মধ্যবয়স্ক নারীর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। এই ধরনের নারীর সাথে সময় ব্যয় করা করা খুবই সহজ, তার চাওয়া থাকে খুব কম। তার সঙ্গ উপভোগ্য এবং জীবন সম্পর্কে টলটলে জলের মত স্বচ্ছ ধারনা রয়েছে তার। তাদের আত্মবিশ্বাস পুরুষের মাঝে সঞ্চারিত হয় কম নাটকীয়তা ও অবাধ আনন্দের সাথে। দায়িত্বশীলতা একজন মধ্যবয়স্ক নারী নিজেকে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। নিজে কী চান সেটা তারা ভালো করেই জানেন তাই তাদের লক্ষ্য স্থির ও স্বচ্ছ থাকে। মধ্যবয়স্ক নারীই পারে একজন মানুষকে জীবনের আঁকাবাঁকা পথ চেনাতে, আস্থা তৈরি করতে, ওপরে উঠার প্রবল ইচ্ছাশক্তি তৈরি করতে এমনকি প্রবল আত্মসম্মানবোধ তৈরি করতে। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি একটি মানুষকে কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে নয়, জীবনের অমোঘ বাস্তবতা শেখাতে পারেন। এটি একজন তরুণের কাছে নির্ভরতার জায়গা। স্বাধীনতা সাধারণত অধিকাংশ মধ্যবয়স্ক নারী কোন ভনিতা ছাড়াই পুরোপুরি খুশি থাকে। একজন পুরুষকে তার আবশ্যিক করে তোলার কোন দরকার পড়ে না। তিনি কখনোই তার ওপর নির্ভর করেন না, এমনকি তার নিজের ডিনার অথবা কফির বিল নিজেই দেয়ার মানসিকতা রাখেন। আপনি কি কোন জটিল মানসিক গেম আপনার প্রিয়জনের সাথে খেলতে পারবেন? ভালো করে চিন্তা করে দেখুন। মধ্যবয়স্কা নারীরা কখনোই কোন গেম খেলতে যান না কারন তাঁরা ভালো করে জানেন তাঁদের কী প্রয়োজন। মানসিক এবং আর্থিক স্বাধীনতা একটি মানুষের জীবনের গুরুত্বপুর্ণ অর্জন। সততা একজন মধ্যবয়স্ক নারী পুরুষকে বিশ্বাস এবং সততার স্তরগুলো ভালোভাবে শিখিয়ে নিতে পারেন। প্রেম, ভালোবাসা, বিয়ে যে কোনো ধরনের সম্পর্কেই শ্রদ্ধা একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাপার। মধ্যবয়স্ক নারী তার দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। তার মধ্যে সততা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধ প্রবল থাকে। একজন মধ্যবয়স্ক নারী কখনোই একাধিক পুরুষের প্রতি কামনা রাখেন না। যে পুরুষটি অন্য একাধিক নারীদের সাথে ডেট করছে তার প্রতি এ নারীরা কখনোই আগ্রহ প্রকাশ করেন না। অভিজ্ঞতা একজন মধ্যবয়স্ক নারী জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাই তার অভিজ্ঞতাও অনেক। জীবনের ছোটখাট সবধরনের সম্পর্কের অভিনয় তিনি নিখুঁতভাবে বিবেচনা করতে পারেন । এটা কীভাবে সমাধান করা যায় যায় সেটাও তিনি ভালো জানেন। মধ্যবয়স্ক নারী যথাসময়ে আবেগী হয়ে ওঠেন এবং পুরুষটির সাথে সত্যিকার গাঢ় সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রিয় মানুষটির কাছে নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেন যাতে সেই মানুষটি তাকে সহজভাবে পড়তে পারে। ফলে তিনি একজন ভালো মানুষ, একজন ভালো বন্ধু, এমনকি দীর্ঘ চলার পথে ভালো একজন সঙ্গী হতে পারেন। পারস্পরিক বোঝাপড়া একে অপরের মধ্যে যদি বোঝাপড়া ভালো না হয় তাহলে সম্পর্কের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়। তীব্র আগ্রহ মুখ থুবড়ে পড়ে। সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অর্থময় বোঝপড়া সম্পর্ককে আনন্দময় করে তোলে। আর এটা গড়ে ওঠে মধ্যবয়স্ক নারীর জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ারের মাধ্যমে। পারস্পরিক কথোপকথন জীবনের গল্পকে থামিয়ে দিবে না, বরং জীবনের গতিকে বাড়িয়ে দেবে। পরস্পরকে ভালো করে বুঝে ওঠার পথ তৈরি করে দেবে। যে পুরুষটি শুধু সেক্স এবং একটু মুগ্ধতার চোখে তাকানোর জন্য অপেক্ষা করতো সেই পুরুষটির মধ্যেও এই নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জেগে ওঠে। নিবিড় যৌন সম্পর্ক বিছানায় একজন মধ্যবয়স্ক নারী যথেষ্ট অভিজ্ঞ, সে তার চরম মুহূর্তের চাওয়া পুরুষটিকে বলতে দ্বিধা করে না। তৃপ্তিময় যৌনতায় তিনি সব ধরনের অনিরাপদ ভীতিকর ব্যাপারগুলোর উর্ধ্বে থাকেন। এই খোলামেলা সততাই দুজনকে সুখের চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমরা যদি কাউকে `সেক্সুয়ালি স্যাটিসফাইড` বলি সেটা অবিশ্বাস্যভাবে সেই ব্যক্তিকে আত্মবিশ্বাসী ও ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে। মধ্যবয়স্ক নারীর এই ধরনের গুনাবলী একজন পুরুষকে সহজেই সন্তুষ্ট করে। অন্যান্য বড় কারণ ছাড়াও এই কারণে মধ্যবয়স্ক নারীর প্রতি পুরুষেরা বেশি আকৃষ্ট হয়। এ নারীরা বিছানায় অত্যাধিক প্লেফুল, রোমাঞ্চকর হন। পুরুষটির মাঝে নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে পারেন। মধ্যবয়স্ক নারীর মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা তাকে তার সঙ্গীর সাথে গভীরভাবে যুক্ত করে। এখন পুরো ব্যাপারটাই সেইসব পুরুষদের হাতে যারা উদারমনষ্ক, আত্মবিশ্বাসী, আবেদনময়ী এবং স্বনির্ভরশীল নারীদের নিকট হতে শিখতে দ্বিধাবোধ করে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ