শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ হলোঃ- আল্লাহ سبحانه وتعالى তাঁর সকল কর্মে একক, অদ্বিতীয় ও সম্পূর্ণরূপে অংশীদারহীন, একথা নিজের ‘আক্বীদা- বিশ্বাস, কথা ও কাজে প্রমাণ করা । আল্লাহ سبحانه وتعالى তাঁর সকল কাজে, যেমন- সৃষ্টি করা, হুক্‌ম প্রদান, রিযক্ব দান, জীবন ও মৃত্যূদান, সমগ্র জগতের রাজত্ব ও পরিচালনা ইত্যাদিতে একক, অদ্বিতীয় ও সম্পূর্ণরূপে অংশীদারহীন, একথা সর্বতোভাবে বিশ্বাস ও স্বীকার করা। অর্থাৎ এই বিশ্বাস পোষণ করা যে, আল্লাহ্ سبحانه وتعالى সমগ্র জগতের সকল কিছুর একক ও একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, রিযক্ব দাতা, মালিক, অধিপতি এবং সকল বিষয়ের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকারী। তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যানও খন্ডনকারী কেউ নেই। তাঁর নির্দেশ বা ফায়সালাই হলো চুড়ান্ত, এর পরে আর কোন নির্দেশ বা ফায়সালা হতে পারে না। তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ্‌র প্রমাণ হলো আল্লাহ্‌র (undefined) এ বাণী:- إن ربكم الله الذي خلق السموت والأرض فى ستة أيام ثم استوى على العرش يغشى الليل النهار يطلبه حثيثا والشمس والقمر والنجوم مسخرت بأمره ألا له الخلق والأمر تبارك الله رب العلمين অর্থাৎ:- নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক হলেন আল্লাহ! যিনি আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি ‘আরশের উপর আসীন হয়েছেন। তিনি রাতকে দিনের উপর সমাচ্ছন্ন করে দেন, যাতে রাত দ্রুত গতিতে দিনের অনুসরণ করে চলে। আর তিনি সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও তারকারাজি। সবই তার নির্দেশে পরিচালিত। জেনে রেখো, সৃষ্টি আর হুক্‌ম প্রদানের মালিক তিনিই। চির মঙ্গলময় মহান আল্লাহ, তিনিই সর্বজগতের রাব। (ছূরা আল আ‘রাফ-৫৪) পূর্ববর্তী যুগের মুশরিকরাও তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ্‌তে বিশ্বাসী ছিল, কিন্তু এই বিশ্বাস ও স্বীকারোক্তি তাদেরকে ইছলামে প্রবেশ করাতে পারেনি। কারণ, তারা এ তাওহীদের (তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ্‌র) অপরিহার্য বিষয়-তাওহীদুল উলূহিয়্যাহকে অস্বীকার করত। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ سبحانه وتعالى ইরশাদ করেছেন:- ولئن سألتهم من خلق السموت والأرض ليقولن خلقهن العزيز العليم অর্থাৎ:- আর আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, আকাশ ও জমিন কে সৃষ্টি করেছেন, তাহলে তারা অবশ্যই বলবে এগুলোকে সৃষ্টি করেছেন মহাপরাক্রমশালী ও সর্বজ্ঞানী আল্লাহ্। (ছূরা আয্-যুখরুফ ৯) অন্য আয়াতে আল্লাহ্ عزو جل ইরশাদ করেছেন:- ولئن سألتهم من خلقهم ليقولن الله فانى تؤفكون অর্থাৎ:- আর আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছে, তাহলে তারা অবশ্যই বলবে-আল্লাহ্। তাহলে তোমরা কোথায় ফিরে যাচ্ছ। (ছূরা আয্‌যুখরুফ-৮৭) রুবূবিয়্যাহ্‌তে আল্লাহ্‌র () এককত্বের যৌক্তিক (বুদ্ধিভিত্তিক) ও নক্বলী (তাথ্যিক তথা ক্বোরআন ও ছুন্নাহ্ ভিত্তিক) অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। তাছাড়া সৃষ্টি-ই (সৃষ্টবস্তুই) তো হলো সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। শিল্পের মধ্যেই তো রয়েছে তার শিল্পির অস্তিত্বের প্রমাণ। কেননা কোন বস্তুই তো নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করতে পারে না বরং তার জন্য একজন উদ্ভাবক বা অস্তিত্ব প্রদানকারী; সৃষ্টিকর্তার অবশ্যই প্রয়োজন হয়। আর সেই উদ্ভাবক, অস্তিত্ব প্রদানকারী তথা সৃষ্টিকর্তাই হলেন মহান আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীন। তাইতো আল্লাহ্ سبحانه وتعالى ইরশাদ করেছেন:- أم خلقوا من غيرشئ أم هم الخالقون অর্থাৎ:- তারা কি কোন কিছু ছাড়া এমনিতেই সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই (নিজেদের) স্রষ্টা। আল্লাহ سبحانه وتعالى আরো ইরশাদ করেছেন:- وفى الأرض آيات للمؤقنين, وفى أنفسكم أفلا تبصرون, وفى السمآء رزقكم وما توعدون অর্থাৎ:- বিশ্বাসীদের জন্য ভূমন্ডলে অনেক নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও, তাহলে কেন তোমরা তা দেখ না? এবং আকাশে রয়েছে তোমাদের রিযক্ব এবং যা তোমাদেরকে অঙ্গীকার দেয়া হয়েছে। (ছূরা আয্যারিয়াত- ২০-২২) এছাড়াও আরো অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে, যেগুলো আল্লাহ্‌র (سبحانه وتعالى) অস্তিত্ব ও তাঁর শক্তির পরিপূর্ণতা ও সর্বব্যাপীতা প্রমাণ করে। প্রতিটি বস্তুতেই রয়েছে তাঁর (আল্লাহ্‌র) নির্দশন, যা তাঁর একত্ব প্রমাণিত করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ