মানুষ কি মানুষ পৃথিবীর জীব নাকি ভিনগ্রহের প্রাণী ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
mahfuz08

Call

মার্কিন পরিবেশবিদ অ্যালিস সিলভারের লেখা "হিউম্যানস আর নট ফ্রম আর্থ: অ্যা সায়েন্টিফিক ইভোলিউশন অব দ্য এভিডেন্স" বইয়ে দাবি করেছেন, মানুষ পৃথিবীর জীবই নয় বরং ভিনগ্রহের প্রাণী৷ বহু বছর আগে ভিনগ্রহের কিছু প্রাণী পৃথিবীতে এসেছিল৷ তাদের সঙ্গেই নাকি পৃথিবীতে আসে মানুষ৷ জনাকয়েক মানুষ এ গ্রহে রেখে বাকিরা নিজেদের গ্রহে ফিরে যায়৷ শুনে অবাস্তব মনে হলেও অ্যালিস তার দাবির ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী৷ এর স্বপক্ষে একাধিক প্রমাণও দিয়েছেন তিনি৷ অ্যালিসের দাবি, কম মাধ্যাকর্ষণ শক্তিবিশিষ্ট কোনও গ্রহেই জন্ম মানুষের৷ তাই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না তারা৷ অধিকাংশ মানুষই তাই পিঠ ও কোমর ব্যথায় ভোগে৷ তিনি মনে করেন, ভিনগ্রহের উন্নত প্রজাতিকে পৃথিবীতে আনা হয়েছিল, তাই মানুষই এই গ্রহের সবচেয়ে উন্নত জীব৷ কিন্ত্ত পৃথিবীর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি তারা৷ সূর্যের আলোয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ প্রকৃতির বুকে স্বাভাবিক ভাবে যে সমস্ত খাবার-দাবার পাওয়া যায়, তা মানুষের পছন্দ হয় না৷ তাই খুব সহজেই ক্রনিক রোগে আক্রান্তও হয়ে পড়ে৷ এ প্রসঙ্গে শিশুর জন্মের উদাহরণও দিয়েছেন অ্যালিস৷ তিনি বলেন, ‘মানব শিশুর জন্মের সময় মাথাটা এতই বড় হয় যে অনেক সময় মায়েদের প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়৷ কখনও আবার মা ও শিশুর প্রাণহানিও ঘটে থাকে৷’ অ্যালিসের দাবি, পৃথিবীর আর কোনও প্রজাতির প্রাণীর ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় না৷ টিকটিকির মতো বেশ কিছু সরীসৃপ দিনের পর দিন রোদে থাকলেও তাদের ত্বকে কোনও ক্ষতি হয় না৷ অথচ মানুষ কয়েক দিন টানা ‘সানবাথ’ (সূর্যস্নান) নিলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়৷ এমনকি মানুষের বডিক্লক দিনে ২৫ ঘণ্টার ভিত্তিতে তৈরি৷ পৃথিবীর সময়ের হিসেবের সঙ্গে তা মেলে না বলেই প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে মানুষ৷ মানবজাতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলেও এমন ভুরি ভুরি প্রমাণ মিলবে বলে দাবি করেন অ্যালিস৷ কিন্তু উন্নত প্রজাতির মানুষকে তবে হঠাৎ কম উন্নত গ্রহে এনে ছেড়ে দেয়া হলো কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যালিস বলেন, ‘পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব অনেকটাই দ্বীপান্তরে নির্বাসনের মতো৷ ভিনগ্রহের প্রাণীদের কাছে পৃথিবী অনেকটা জেলখানার মতো৷ প্রকৃতিগত ভাবে মানুষ খুবই হিংস্র৷ তাই সঠিক আচার-আচরণ শিখতেই পৃথিবীতে নির্বাসনে পাঠানো হয় তাদের৷’ সূত্র : টিউনার পেজে এটি পোস্ট এক ব্লগার লিখেছেন। লিন্ক : http://www.tunerpage.com/archives/302510 ভাই আমরা মুসলিমরা এটাকে হুবুহু বিশ্বাস করবো না। একটু ভিন্ন ভাবে ইসলামি কয়দায় পরিবর্তন করে বিশ্বাস করুন। আপনি দেখবেন ইসলাম বিদ্বেষীরা প্রশ্ন করে, মানুষ যদি বেহেশত থেকে আসে, তবে পৃথিবীতে যেসব উপাদান আছে সেগুলো ছাড়া অন্য কোনো উপাদান মানুষের মধ্যে পাওয়া যায় না কেন ? এর সোজা উত্তর আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীর মাটি থেকেই তৈরি করেছিলেন। আর অ্যালিস সিলভার যখন তার নতুন বই ‘হিউম্যানস আর নট ফ্রম আর্থ: অ্যা সায়েন্টিফিক ইভোলিউশন অব দ্য এভিডেন্স’ বইয়ে দাবি করেছেন, মানুষ পৃথিবীর জীবই নয় বরং ভিনগ্রহের প্রাণী৷ তখন আমরা এর ব্যাখ্যা করতে পারি, মানুষ পৃথিবীর মাটি দিয়ে তৈরি হলেও এই পৃথিবীতে তৈরি হয়নি। আল্লাহ হযরত আদম (আঃ) কে অন্য কোন খানে অথবা জান্নাতে তৈরি করেছিলেন, এবং তার থেকে হাওয়া (আঃ) কেও তৈরি করেছিলেন। তারপর আল্লাহ তাদেরকে কে কিছু কাল জান্নাতে বসবাস করালেন। এরপরে, শয়তান তাদেরকে প্রতরনা করে নিষিদ্ধ ফল খাওয়ালো, ফলে আল্লাহ তাদেরকে এবং শয়তানকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিলেন। এই জন্যই মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণিদের থেকে অনেকটা ব্যাতিক্রম। কারণ তারা পৃথিবীর বাইরের প্রাণি। কাজেই অ্যালিস সিলভার সাহেব যদি স্বীকার করে মানুষ আগে থেকে পৃথিবীর বাসিন্দা ছিলোনা, বরং অন্য কোন খান থেকে এসেছে, তবে এইটুকু মেনে নিতে কোনো দিধা নেই। আসলে এই অন্য কোন খান জায়গাটা হলো জান্নাত। তার নতুন দাবির ফলে, ডারউইনবাদ অর্থাৎ বানর থেকে মানুষ এসেছে, এই মিথ্যা দাবি বাতিল হয়ে যায়। অবশ্য অ্যালিস সিলভার সাহেব যখন আর একটু বাড়তি দাবি করে, কেউ মানুষকে পৃথিবীতে এনে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছিলো। তবে এই কেউটা কিন্তু মানুষ বা অন্য কোনো উন্নত প্রাণি নয় বরং তারা হলো ফেরেশতা। যেমনটা মেরাজের ক্ষেত্র হয়েছিলো, অর্থাৎ ফেরেশতা জিব্রাইল (আঃ) হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে আসমানে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং ফেরত এনেছিলেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ