শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shalahin

Call

ঝাল মুখের ভিতরে খাদ্যের স্বাদ উপলব্ধিকারী কোষগুলোর মধ্যে সাড়া জাগিয়ে খাবারের সুবাস গ্রহণে উজ্জীবিত করে তোলে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে মরিচ খাওয়ার পর জ্বালা শুরু হওয়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কে সাড়া পড়ে যায়। ক্যাপসেইসিন যখন স্নায়ুর শেষ প্রান্ত জ্বিহ্বা ও মুখের সংস্পর্শে আসে তখন ব্যাথার সংবাদ বহনকারী দূত যাদেরকে নিউট্রোট্রান্সমিটার বলা হয় তারা – আগুন! আগুন! এই সম্ভাব্য দুঃসংবাদ বহন করে মস্তিষ্কে পাঠিয়ে দেয়। ফলে মস্তিষ্ক সতর্কতা অবলম্বন করে এবং দেহকে সাবধান করে দেয়। হৃদকম্পন বাড়তে থাকে, মুখে লালা তৈরি হয়, নাক থেকে পানি নির্গত হতে শুরু করে এবং মাথা, কপাল ও চোয়াল থেকে ঘামের স্রোত বইতে থাকে। দেহ যখন রাসায়নিক পদার্থ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সচেষ্ট এবং মস্তিষ্ক ভাবতে থাকে যে দেহ আক্রান্ত বা ক্ষত হয়েছে, তখন প্রাকৃতিক ব্যথানাশক এন্ডরফিন্স নিঃসরিত হতে থাকে। যেহেতু মরিচ প্রকৃতপক্ষে কোনো ক্ষতি করে না, কামড় দেয়ার সাথে ওপিয়াম সেবনের মত মস্তিষ্কে সাড়া পড়ে যায়। পরবর্তী কামড়ে মস্তিষ্ক ব্যথায় ফেটে যাচ্ছে বলে অনুভব করে আরো এন্ডরফিন্স নিঃসরিত করে দেয়। এ থেকে বোঝা যায় যে অনেক মরিচ ভক্ত ধীরে ধীরে কেন তাদের খাদ্যে ঝালের মাত্রা বৃদ্ধি করেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ