শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
sheikh

Call

চিকিৎসা বিজ্ঞানে রক্তশুন্যতা বলতে প্রধানত রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবকে চিহ্নিত করা হয়। নানা কারনে রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব হতে পারে। গিমোগ্লোবিন অনুর একটি প্রধান উপাদান হল আয়রন (Fe) । তাই, খাদ্যে আয়রনের পরিমান কম হলে, কিনবা শরীর আয়রন শোষণ করতে না পারলে, রক্তশুন্যতা দেখা দিতে পারে। হিমোগ্লোবিন অনু আয়রন অংশটি বাদে বাকিটুকু প্রোটিন দিয়ে গঠিত। সেই প্রোটিন অংশটুকু তৈরীর জন্য যে জিনটি দায়ী তাতে কোন ত্রুটি থাকলে বা দেখা দিলেও রক্ত শুন্যতা হতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক নন-স্পেসিফিক ( যেমনঃ হরমোনাল ইম্ব্যালেন্স) কারন থাকতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ruhul

Call

বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী রক্তে প্রয়োজনীয় পরিমাণ হিমোগ্লোবিন এর চেয়ে কম হিমোগ্লোবিন থাকার অবস্থাকে রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া বলে।

প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ১৫.৫ ক্ট ২.৫ গ্রাম/ ১০০ মি.লি. এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার রক্তে এর মাত্রা ১৪ ক্ট ২.৫ গ্রাম/ ১০০ মি.লি.।

ক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া কোনো অসুখ নয়। এটি অসুখের পূর্ব লক্ষণ বা উপসর্গ মাত্র। রক্তশূন্যতা মানে রক্ত কমে যাওয়া নয় বরং রক্তের উপাদান লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলেই রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়ের অধিক মৃত্যুহারের অন্যতম কারণ এই ‘রক্তশূন্যতা’।

রক্তশূন্যতা বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৩০ ভাগ লোক জীবনের কোনো না কোনো সময়ে রক্তশূন্যতায় ভুগে থাকেন। এই স্বাস্থ্য সমস্যাটি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে অনেক বেশি। রক্তশূন্যতা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো : (ক) দেহে আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা (খ) থ্যালাসেমিয়া (গ) এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, (ঘ) অন্যান্য হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া, (ঙ) ব্লাডক্যান্সার বা লিউকোমিয়া

রক্তশূন্যতার কারণ:

 

বহুবিধ কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এগুলোর মধ্যে প্রধান ৩টি কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো।

 

ক) অস্থিমজ্জায় লোহিত কণিকা কম তৈরি হওয়া। এর কারণগুলো হলো-

 

ক.

১. অস্থিমজ্জার স্বল্পতা

২. লৌহ, ভিটামিন বি১২ অথবা ফলিক এসিডের অভাব (মাসিক, গর্ভধারণ, সন্তান প্রসব, দীর্ঘদিন রক্তক্ষরণ)

৩. দীর্ঘস্থায়ী জীবাণু সংক্রমণ, থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ বা লিভারের অসুখ, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ সেবন, কীটনাশক ওষুধের ব্যবহার, রঞ্জন রশ্মি বা তেজস্ক্রিয় রশ্মির প্রভাব ইত্যাদি।

 

খ) অতিরিক্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণগুলো হলো-

১. জন্মগতভাবে লোহিত কণিকাতে ত্রুটি যেমন: থ্যালাসেমিয়া

 

গ) অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এর কারণগুলো হলো-

১. সাময়িক ও দীর্ঘস্থায়ী রক্তরণ যেমন আঘাতজনিত কারণ।

২. পেপটিক আলসার, পাইল্স, বক্র কৃমির সংক্রমণ, ঘন ঘন গর্ভধারণ ও প্রসব, মহিলাদের মাসিকের সময় অধিক রক্তক্ষরণ ইত্যাদি।

                                         ডা. শাহজাদা সেলিম

 http://www.unmochon.com/2013/05/16/53624.html#.UsJlMNKnrKo

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ