শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর বা FET আসলে অনেক রকমের। যেমন MOSFET হতে পারে, JFET হতে পারে, আবার নিত্যনতুন অনেক রকম মোডিফাইড যেমন G4FET, MODFET, FINFET অনেক রকমই হতে পারে। MOSFET জিনিসটা মোটামুটি বহুল প্রচলিত আর ব্যাখ্যা করার জন্য সোজা, সেইটা বলি- ধরে নিচ্ছি, p-type, n-type, acceptor, donor এই টার্ম গুলার সাথে পরিচিত আমরা। এইটা ধরে নিলে, এখন MOSFET হতে পারে ২ রকমের- ক) n-p-n খ) p-n-p. দুইটাই একইভাবে কাজ করে প্রায়, তাই n-p-n টাই আগে বলি। সোজা বাংলায়, পানির কলের যেই কাজ MOSFET এর কাজ তার কাছাকাছি বলা যায়। ইলেক্ট্রন প্রবাহ করবে দুইপাশের দুইটা n এর মধ্যে, যেইটা থেকে ইলেক্ট্রন বের হবে, ঐটাকে বলা হয় সোর্স আর যেটায় ঢুকবে ঐটা ড্রেইন। আর মাঝখানে যেই p, ঐ অঞ্চলকে বলে চ্যানেল। এর উপরে থাকা গেইটের কাজ হচ্ছে ইলেক্ট্রন প্রবাহের যেই চ্যানেল বা রাস্তা ঐটাকে প্রয়োজন অনুযায়ী সংকীর্ণ বা প্রশস্ত করা, প্রকারান্তে প্রবাহটাকে নিয়ন্ত্রণ করা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে এইটা করে। image ডানের ছবিটা একটা npn বা শুধু n-MOSFET এর ছবি। দেখা যাচ্ছে গেইটের সাথে মাঝের p অঞ্চলের কোন প্রত্যক্ষ সংযোগ নাই, এইটা একরকম ক্যাপাসিটর হিসাবে কাজ করে। যদি গেইটে পজিটিভ ভোল্টেজ দেয়া হয় তাহলে সেটা p অঞ্চলের ইলেক্ট্রনগুলাকে আকর্ষণ করে ফলে সেইখানে hole এর পরিবর্তে electron জমা হয়। এই ব্যাপারটাকে বলে চ্যানেল ইনভার্সন, এর ফলে এরকম বলা যায় যে p অঞ্চলটা অনেকটা n অঞ্চলে পরিণত হয় এবং ফলশ্রুতিতে সোর্স থেকে ড্রেইনে ইলেক্ট্রন প্রবাহ সম্ভব হয়। এখন এইযে গেইটে কত ভোল্টেজ দিব এইটা তো আমার হাতে সো আমি ইচ্ছা মতন নিয়ন্ত্রণ করে কারেন্ট কন্ট্রোল করতে পারি। মোটামুটি এই হল ব্যাসিক। আরো অনেক কন্ডিশন আছে, কখন প্রবাহ শুরু হবে, কত পর্যন্ত হবে এইসব খুটিনাটি জানার জন্যে প্রশ্ন আরো স্পেসিফিক হলে ভালো হয়। JFET, FINFET, G4FET আরো যত দুনিয়ের FET আছে সবগুলাই অনেকটা এরকম একটা চ্যানেল থাকে আর ঐটাকে নিয়ন্ত্রণের ব্যাবস্থা থাকে নামের ভ্যারিএশন অনুযায়ী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ