কোন ব্যক্তি যদি শাওয়াল মাসে ওমরার ইহরাম বেঁধে ওমরা পূর্ণ করে। কিন্তু সে সময় সে হজ্জের নিয়ত করেনি। কিন্তু হজ্জের সময় তার হজ্জ করার সুযোগ হল। সে কি তামাত্তুকারী গণ্য হবে?

তার হজ্জ বিশুদ্ধ। কেননা সে হজ্জের কোন রুকন পরিত্যাগ করেনি। কিন্তু সে তিনটি ওয়াজিব পরিত্যাগ করেছে- যদি ১২ তারিখের রাত মিনায় না কাটিয়ে থাকে। প্রথম ওয়াজিবঃ ১২ তারিখের রাত মিনায় কাটানো। দ্বিতীয়...

তাকে কোন কাফ্‌ফারা দিতে হবে না। কেননা তামাত্তুকারী ওমরার ইহরাম বাঁধার পর ওমরা পূর্ণ করে যদি হজ্জের ইচ্ছা পরিত্যাগ করে তাতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা দু’টি কাজ আলাদা আলাদা...

এ ব্যক্তি ওমরায় চুল ছোট করা পরিত্যাগ করেছে। যা ওমরার একটি রুকন। বিদ্বানদের মতে ওয়াজিব পরিত্যাগ করলে দম তথা কুরবানী ওয়াজিব হবে। তা মক্কায় যবেহ করে সেখানকার ফকীরদের মাঝে বন্টন...

হজ্জ পালনকারী কি ভুল করেছেন তা নির্দিষ্টভাবে অবশ্যই জানতে হবে। যদি কোন ওয়াজিব পরিত্যাগ করে থাকে, তবে ফিদ্‌ইয়া হিসেবে মক্কাতে একটি কুরবানী করতে হবে। মক্কা ছাড়া অন্য কোথাও প্রদান করলে...

বিষয়টি যদি এরূপই হয় যেমন প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হজ্জের তওয়াফ না করেই নারী ঋতুবতী হয়ে গেছে। পবিত্র হয়ে তওয়াফ করার জন্য মক্কায় থেকে যাওয়াটাও তার জন্য দুঃসাধ্য অথবা...

হ্যাঁ, তামাত্তুকারী ওমরা আদায় করার পর নিজ দেশে ফেরত গিয়ে আবার সেই বছর হজ্জের জন্য মক্কা সফর করলে সে ইফরাদকারী হিসেবে গণ্য হবে। কেননা নিজ পরিবারের কাছে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে হজ্জ...

যখন কিনা এ ব্যক্তি হজ্জের মাসে ওমরা সম্পাদন করে এবছরেই হজ্জ আদায় করার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করেছে, তখন সে তামাত্তুকারী হিসেবে গণ্য হবে। কেননা ওমরা ও হজ্জের মধ্যবর্তী কোন সফর...

এ মাসআলাটির দু’টি অবস্থাঃ প্রথমঃ লোকটি ওমরার নিয়ত না করে অন্য কোন উদ্দেশ্যে বা কাজে জেদ্দা সফর করেছে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ওমরা করার ইচ্ছা হয়েছে, তবে সে জেদ্দা থেকেই ইহরাম...

সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকবে, অতঃপর ওমরা আদায় করবে। কিন্তু যদি ইহরাম বাঁধার সময় শর্ত করে থাকে, তবে ইহরাম খুলে ফেলবে, তাকে কোন জরিমানা দিতে হবে না। ওমরা...

নিজে হজ্ব না করে অন্যের জন্য হজ্ব করা যায়না। আগে নিজের হজ্ব পালন করতে হয়। *এই তথ্যের সঠিক সোর্স আমার কাছে নাই তবে কথাটা ঠিক এটা জানি।