শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

প্রথমত,নামায এমন একটি ইবাদত,যা “সকল” নবী-রাসূলগণ এবং তাঁদের উম্মাত পালন করতেন। যেমন কুরআনের সূরা মারইয়ামের ৫৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ ইসমাঈল আলাইহিস সালামের কথা উল্লেখ করেছেন এভাবে,

“তিনি তাঁর পরিবারবর্গকে নামায ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি তাঁর পালনকর্তার কাছে পছন্দনীয় ছিলেন।”

এখন প্রশ্ন হল,তাঁদের নামায কী রকম ছিল? ফরয কত রাকআত ছিল,আর নফলই বা কয় রাকআত ছিল?

এর উত্তর হল,ভাই,আমরা জানি না। কুরআন বা হাদীসের মাধ্যমে আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানানো হয় নাই।

দ্বিতীয়ত,উম্মাতে মুহাম্মাদীর জন্য ৫ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয় মিরাজের রাতে।

বুখারীর বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে আকাশের দিকে যাত্রা করা হয়। সেখানে প্রথম আকাশে আদম (আঃ) ,দ্বিতীয় আকাশে ঈসা(আঃ) ও ইয়াহইয়া(আঃ), তৃতীয় আকাশে ইউসুফ(আঃ), চতুর্থ আকাশে ইদরীস(আঃ), পঞ্চম আকাশে হারূন(আঃ), ষষ্ট আকাশে মূসা(আঃ) এবং সপ্তম আকাশে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর সাথে সাক্ষাত করেন। সেখানে তিনি বাইতুল মা‘মুর দেখতে পেলেন। সেখানে তাকে দুধ, মধু ও মদ এ তিনপ্রকার পানীয় দেয়া হয়। তিনি দুধ পছন্দ করে নেন। তখন জিবরীল (আঃ)বললেন যে, আপনি স্বাভাবিক বিষয় গ্রহণ করতে সমর্থ হলেন। তারপর তিনি সিদরাতুল মুন্তাহায় নীত হলেন। তারপর এত উচুতে গেলেন যে, কলমের লিখার খসখস আওয়াজ শুনতে পেলেন। এরপর আল্লাহ্ তার ও তার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করে দিলেন। এরপর মুসা আলাইহিস সালাম এর কাছে আসার পর তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সালাতের ব্যাপারে আল্লাহ্‌র কাছে কমানোর আবেদন করার পরামর্শ দিলেন। প্রথমে অর্ধেক, তারপর পাঁচ ওয়াক্ত পর্যন্ত কমানো হয়। অপর বর্ণনায়, প্রতিবারে পাঁচ, বর্ণনান্তরে দশ করে কমানোর পর সবশেষে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে এসে তা শেষ হয়। এরপর তিনি দুনিয়াতে ফেরত আসেন।

আশা করি আপনার উত্তরটা পেয়েছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ