RezaHasan

Call

কনে দেখা সেই আদিমকাল থেকে একটি প্রচলিত রেওয়াজ হয়ে আসছে। বিয়ের আগে কনেকে যাচাই-বাছাই করে নেবে এটা যেন নিয়ম হয়ে গেছে। কনে যত শিক্ষিত হোক না কেন, চাকরিজীবী হোক না কেন, তার চুল দেখা, নক দেখা, পা দেখা, পায়ের নিচে পানি দিয়ে হেঁটে দেখা, হাতের আঙুল দিয়ে পানি পড়ে কিনা, ভালো রান্না করতে পারে কিনা, কত রকম আচার ও নাশতা বানাতে পারে কিনা, শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত করবে কিনা ইত্যাদি। এগুলো অনেক আগে থেকে হয়ে আসা এক ধরনের কুসংস্কার। পা দেখা বা পায়ের ছাপ পরীক্ষা করা একেবারেই যে যুক্তিহীন সেটা বলা বাহুল্য। এটা হতে পারে মেয়েটি কিভাবে হাটছে, তার হাটার মধ্যে স্মার্টনেস আছে কিনা কিংবা পা ঘষে ঘষে হাটে কিনা। অনেকে পা এর পাতা সমান থাকে অর্থ্যাত বেশির ভাগ মানুষেরই পায়ের পাতার মধ্যবর্তী অংশটি মাটিতে পড়েনা কিন্তু এমনও আছে যাদের পায়ের পাতা একেবারে সমান এবং যার কারনে পায়ের ছাপ এ মধ্যবর্তী অংশটুকুও ছাপে ষ্পষ্ট হয়ে আসে। অনেকের গোড়ালীর অংশটুকু গোল না হয়ে সমান বা খাড়া হয়ে থাকে, এসব পা কে বলা হয় খড়ম পা। এই জাতীয় খড়ম পা এবং সমান পা সম্পর্কে গ্রাম-গঞ্জে কুসংস্কার আছে যে এরা ভাগ্যবতী বা লক্ষী হয়না কিংবা স্বামীর আয়ু নাকি এতে বিঘ্নিত হয়। এসব সংস্কারের কোনই যুক্তি নেই তবু মানুষ একটা বিশ্বাস থেকে অনেক আগে থেকেই এসব করে আসছে তবে অচিরেই এইসব অনাকাংখীত কুসংস্কারগুলো যুগের কারনেই বিলীন হয়ে যাবে আশা করি।