সহবাস করার ৩ দিন পর, ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছিল, কিন্তু ট্যাবলেট খাওয়ানোয় নিদ্রিষ্ঠ যে সময়ে মাসিক হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না। 

এবং বমি বমি ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে,  খাবার ঠিক ঠাক মতো খাইতে পারছে না, নিচ পেটে হালকা ব্যাথাও হচ্ছে, মাথা ব্যাথাও হচ্ছে।

অভারঅল, এটা নিয়ে দুচিন্তায় আরও অসুস্থ অনুভব করতেছে।

এখন কিভাবে এবং কোন ট্যাবলেট খাওয়ানো যতে পারে? কোন রিস্ক ছাড়াই কিভাবে সমস্যাটাকে সমাধান করা যেতে পারে?

দয়া করে, অভিজ্ঞ কেউ আমাকে পরামর্শ দিন। 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

ধন্যবাদ। আপনি মিলনের ৩ দিন পর পিল খেয়েছেন কিন্তু কি পিল খেয়েছেন, বা পিলের নাম কি তা জানান নি। তবে আপনি অপেক্ষা করুন আপনার মিন্স হলেই বুঝবেন আপনি প্রেগন্যান্ট না।

তবে হ্যা আপনার উক্ত যে উপসর্গ গুলো দেখা যাচ্ছে তা মুলত পিলের সাইট ইফেক্ট। কাজেই অপেক্ষা করুন। আসা করি বুঝতে পারছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মাঝে মাঝে এ রকম হয়। আপনি কীট দিয়ে টেষ্ট করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এ ধরণের পিল খেলে অনেক সময় মাসিক অনিয়মিত হয়। আর কিছুদিন অপেক্ষা করে আপনি কীট দিয়ে পরীক্ষা করে আপনি বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবেন। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
ppzz12

Call

আপনি আরও কিছুদিন অপেক্ষা করুন আপনার মিন্স হলেই বুঝবেন আপনি হয়ত প্রেগনেন্ট হন নি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

জিনিয়া সরকার: অবাধ মিলনের পর গর্ভনিরোধক বড়ি খেয়ে ঘটে যায় চরম বিপদ৷ পরিণতি কখনও মৃত্যু বা পরবর্তী সময় সন্তানধারণে সমস্যা৷ বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত– আনওয়ান্টেড প্রেগন্যান্সির মোকাবিলায় কোন পথে হাঁটবেন?

এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন:
বিবাহিত, অবিবাহিত কিংবা সন্তান আছে– যে কোনও অবস্থায় কোনও প্রোটেকশন ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুললে সন্তান আসার সম্ভাবনা বেশি৷ সে ক্ষেত্রে সন্তান না আনার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তাই হল এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন৷

কী কী পদ্ধতি:
• বিবাহিত মহিলা, সন্তান আছে অথবা সন্তান একবার নষ্ট করেছেন- এই অবস্থায় কেউ যদি এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন চান, সেক্ষেত্রে ভাল কাজ দেয় কপার-টি৷ কপার-টি থাকলে ৩-১০ বছর পর্যন্ত নিরাপদ থাকা যায়৷ প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০ শতাংশই এড়ানো যায়৷ বিশেষজ্ঞর কথায় এই ধরনের কন্ট্রাসেপশনের সাফল্যের হার লাইগেশন অর্থাৎ বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশনের সমান৷
• অবিবাহিত হলে কন্ট্রাসেপশনের জন্য কপার-টি ব্যবহারের অনুমতি নেই৷ এক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা গর্ভরোধক বড়ি বা এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন পিল৷ ১.৫ মিলিগ্রাম মাত্রার এই ট্যাবলেট দেওয়া হয়৷ কোনও প্রোটেকশন ছাড়া মিলিত হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ধরনের ট্যাবলেট খেয়ে নিতে হবে৷ যত তাড়াতাড়ি খাবেন, ওষুধের কাজ তত ভাল হবে৷ মিলিত হওয়ার ৬-১২ ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে নিলে উপকার বেশি৷ দেরি যত হবে, তত ওষুধের কাজ কম হবে৷ তাই কোনও সুরক্ষা না নিয়ে শারীরিকভাবে মিলিত হওয়ার কথা মনে করলে এই ধরনের কন্ট্রাসেপশন পিল সঙ্গে রাখা উচিত৷
• তবে সবচেয়ে নিরাপদ সুরক্ষা হল কন্ডোম৷ এতে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না৷ এডস জাতীয় রোগের হাত থেকেও নিরাপদ থাকা সম্ভব৷ একের বেশি পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থাকলে কন্ডোমই শ্রেয়৷ এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিলে ভরসা নয়৷

এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিলে ক্ষতি!
অসুরক্ষিতভাবে মিলিত হওয়ার পর এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল খেয়ে নিলেই সন্তান হবে না বা প্রেগন্যান্সি এলেও তা নষ্ট হয়ে যাবে- এই ধারণা ভুল৷ এক্ষেত্রে মিলনের পর ডিম্বাণু নিষিক্ত হবে, ভ্রূণ তৈরিও হবে৷ ভ্রূণ যে জায়গায় থাকে, তার নাম এন্ডোমেট্রিয়াম৷ এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল এই এন্ডোমেট্রিয়াম তৈরি হতে দেয় না৷ ফলে ভ্রূণ থাকার জায়গা পায় না (আউট অফ ফেজ এন্ড্রোমেট্রিয়াম)৷ এই পিল ব্যবহারে আরও একটি সমস্যা হল তা ফ্যালোপিয়ান টিউবের সঞ্চালন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়৷ ফলে নিষিক্ত ডিম্বাণু টিউবে আটকে সেখানেই বাড়তে শুরু করে৷ এর পর টিউবের মধ্যেই সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়ে পেটের ভিতরে ব্লিডিং শুরু হয়ে যায়৷ অতিরিক্ত পেটের যন্ত্রণা হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে অপারেশন করার প্রয়োজন হয়৷ এই অপারেশনের নাম একটোপিক প্রেগন্যান্সি অপারেশন৷ এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সন্তান আসার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়, নানা দুর্ঘটনাও ঘটে৷ অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল ভালর চেয়ে খারাপ করে বেশি৷

প্রেগন্যান্ট বুঝবেন কীভাবে?
অসুরক্ষিতভাবে মিলনের পর নিজে থেকেই সচেতন হন৷ ঋতুস্রাবের সময় ৫-৭ দিন পিছিয়ে গেলেই অবশ্যই প্রেগকলার টেস্ট করে নিন৷ প্রয়োজনে ইউরিন টেস্ট করে দেখে নিন৷ সময় পিছিয়ে গেলে সাতদিন অন্তর অন্তর টেস্ট করে দেখা উচিত প্রেগন্যান্সি এসেছে কি না! ঋতুস্রাব সঠিক সময়ে না হলে, টেস্ট করে যদি কিছু না-ও পাওয়া যায়, তাহলেও অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন৷ গা বমি ভাব, মাথা ঘোরা, কিছু খেতে ইচ্ছা না করা প্রেগন্যান্সির লক্ষণ৷ অনেক ক্ষেত্রেই কোনও লক্ষণ না-ও দেখা দিতে পারে৷

ওষুধ দিয়ে গর্ভপাত নয়:
ওষুধের মাধ্যমে গর্ভপাত করানো হয়- এই প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দেবেন না৷ বিশেষজ্ঞের মতামত, এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়া উচিত৷ এই ধরনের ওষুধ অভ্যন্তরীণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে গর্ভস্থ শিশুর প্রাণনাশের চেষ্টা করে৷ যা বিপদ আরও বাড়ায়৷ সন্তান পেটের মধ্যে নষ্ট হয়ে তা প্রাকৃতিক নিয়মে বেরিয়ে এলে ক্ষতি কম৷ কিন্তু ওষুধ খেয়ে সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা করলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্তান নষ্ট হয়ে আর বেরতে পারে না, ইউটেরাসের মধ্যেই রয়ে যায়৷ এতে বিপদ আরও বাড়ে৷ রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷
তাই ওষুধ দিয়ে গর্ভপাত করতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে, আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্ট দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিন৷ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নির্দিষ্ট ওষুধ খেতে হবে৷ নিজে নিজে কিনে এই ওষুধ ব্যবহার করবেন না৷ ওষুধ খেয়ে গর্ভপাতে পরবর্তীকালে প্রেগন্যান্ট হতে অনেক সমস্যা হয়৷

আনওয়ান্টেড? ভরসা এমভিএ!
পরিকল্পনা ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অনেকেই গর্ভপাত করার কথা ভাবেন৷ অ্যাবরশনের জন্য আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে সবচেয়ে উন্নত পদ্ধতি হল এমভিএ (ম্যানুয়াল ভ্যাকুয়াম অ্যাসপিরেশন)৷ এই পদ্ধতিতে প্রেগন্যান্সি নষ্ট করলে সমস্ত দিক সুরক্ষিত থাকে৷ ভবিষ্যতে সন্তান হতে কোনও সমস্যা হয় না৷ গর্ভপাতের অন্য পদ্ধতিতে যে কষ্ট, তার চেয়ে এই পদ্ধতিতে কষ্ট অনেক কম হয়৷ এই পদ্ধতিতে রক্তক্ষরণ কম হয়, জরায়ুর ভিতরে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে৷ প্রেগন্যান্সির ৮-১০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করাতে চাইলে সবচেয়ে ভাল উপায় এমভিএ৷ সার্জারি বা এমভিএ করার পর ৭-১০দিন যৌনসঙ্গম করা যাবে না৷ ওষুধ খেতে হবে৷ একমাস পর ঋতুস্রাব শুরু হলে ডাক্তারের কাছে চেকআপ করানো জরুরি৷
এমভিএ পদ্ধতির খরচ নির্ভর করে কোথায় অপারেশন করা হচ্ছে তার উপর৷ এই এমভিএ ইনস্ট্রুমেন্ট সমস্ত হাসপাতালে থাকে না৷ তাই গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে নিন, এমভিএ পদ্ধতিতেই করা হবে কি না! একমাত্র এমভিএ-ই ডেকেয়ার সার্জারির মতো যে কোনও জায়গায় করা যেতে পারে৷ এর জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থা লাগে না৷

আরও জানতে বিশিষ্ট গাইনোকলজিস্ট এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন|

ধন্যবাদ...

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ