Share with your friends
Sumya Akter

Call

MICR হলো Magnetic Ink Character Recognition। “MICR” শব্দটিকে কখনো কখনো “micker” বলা হয়। MICR চেক ব্যাংক লেনদেনের জন্য নিরাপদ এবং সময় সাশ্রয়ী। MICR চেকের ব্যবহার ব্যাংকের কার্যক্রমে গতিশীলতা নিয়ে আসে। মূলত MICR চেক ব্যাংক আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ার অন্যতম একটি অংশ।

• MICR চেক ১৯৫০ এর দশকের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রে সর্ব প্রথম উদ্ভব হয়। ১৯৫৯ সালের শেষের দিকে প্রথম MICR চেকের ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে এর প্রচলন শুরু হয় ২০১০ সালের ১ নভেম্বর থেকে। MICR চেকের প্রচলন বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে বিশেষ করে ব্যাংক ক্লিয়ারিং এর ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করেছে।

• MICR একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে চেকের বৈধতা যাচাই করা যায়। MICR চেকে চুম্বকীয় কালি (Magnetic Ink) ব্যবহার করা হয়। এ চেক স্ক্যান করার সময় এর চুম্বকীয় ডিজিট কম্পিউটার নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে পড়ে নেয় এবং ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করে।

Wikipedia-তে বলা হয়েছে-MICR code is a character-recognition technology used mainly by the banking industry to ease the processing and clearance of cheques and other documents.অর্থাৎ MICR চেক এবং অন্যান্য নথি প্রক্রিয়াকরণ এবং ক্লিয়ারিং এর জন্য ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃক ব্যবহৃত একটি অক্ষর-স্বীকৃতি প্রযুক্তি।

• MICR এনকোডিং কে সাধারণত MICR লাইন বলা হয়। চেকের নীচে সাধারণত ডকুমেন্ট-টাইপ ইঙ্গিতকারী, ব্যাংক কোড, ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, চেক নম্বর এবং একটি নিয়ন্ত্রণ সূচক বহন করে। প্রযুক্তিটি MICR পাঠকদেরকে তথ্য সংগ্রহ ডিভাইসে সরাসরি স্ক্যান করতে এবং তথ্য পড়তে দেয়। MICR এর ফন্ট E-13B ISO 1004 ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক মান হিসাবে গৃহীত হয়েছে। তবে কোন কোন দেশে CMC-7 ফন্ট ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই ফন্টগুলো সাধারণত চেক জালিয়াতি সনাক্ত করতে সাহায্য করে।

• কেউ যদি MICR চেকের ফটোকপি করে ব্যাংকে ক্লিয়ারিং-এর জন্য জমা দেয় তবে উক্ত চেক সহজেই জাল হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। ফটোকপি করা জাল চেকে চুম্বকীয় কালি (Magnetic Ink) থাকতে পারে না। এ চেকে ব্যবহৃত সংখ্যাভিত্তিক কোড মানুষ সহজেই পড়তে ও বুঝতে পারে। এ চেকের নিচের দিকে ৪ টি অংশে চুম্বকীয় কালি ডিজিট থাকে। এ চেকে ডিজিটের পাশাপাশি কিছু চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।– প্রথম অংশে থাকে চেক নম্বর যা ৭ ডিজিটের হয়ে থাকে।– দ্বিতীয় অংশে থাকে রাউটিং নং যা ৯ ডিজিটের হয়ে থাকে।– তৃতীয় অংশে থাকে হিসাব নম্বর যা ১৩ ডিজিটের হয়ে থাকে।– চতুর্থ অংশে থাকে ট্রানজ্যাকশন কোড যা ২ ডিজিটের হয়ে থাকে।– একটি MICR চেকে মোট ডিজিটের সংখ্যা (৭+৯+১৩+২)=৩১ টি।

• রাউটিং নম্বরে ব্যবহৃত হয় ৯ টি ডিজিট। যার প্রথম ৩ টি ডিজিট উক্ত ব্যাংকের, দ্বিতীয় ২ টি ডিজিট জেলার এবং শেষের ৪ টি ডিজিট উক্ত শাখার পরিচয় তুলে ধরে। চেক স্ক্যান করার সময় ৩১ টি ডিজিটের কোন একটি ডিজিট ভুল বা মিসিং হলে উক্ত চেক পাশ হবে না। রাউটিং নং-এ ব্যবহৃত হয় ৯ টি ডিজিটের কোন একটি ডিজিট ভুল হলে চেক সঠিক শাখায় না যেয়ে অন্য শাখায় চলে যেতে পারে। আবার অন্য ব্যাংকেও চলে যেতে পারে। তাই প্রতিটি পর্যায়ে সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে।

• উদাহরণ স্বরূপ, যদি আপনার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এ একটি অ্যাকাউন্ট থাকে তবে তার নয় সংখ্যার MICR কোড হবে 125101792 যেখানে-– প্রথম তিনটি সংখ্যা 125, ব্যাংক (IBBL) কোড;– পরবর্তী দুইটি সংখ্যা 10, জেলার (বগুড়া) কোড; এবং– শেষ চারটি সংখ্যা 1792, ব্যাংক শাখা (মহাস্থানগড়) কোড।

Talk Doctor Online in Bissoy App