Jobedali

Call

কিডনিতে কোনও রকম সংক্রমণ হলে শরীরে একের পর এক নানা জটিল সমস্যা বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই কিডনির সমস্যা বা অসুখকে ‘নিঃশব্দ ঘাতক’ বলেই ব্যাখ্যা করে থাকেন অনেক চিকিত্সক। কারণ কিডনির সমস্যা বা অসুখকের নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ হয় না। তবে কয়েকটি উপসর্গ যা দেখলে অত্যন্ত সাধারণ বলে মনে হলেও এগুলো লক্ষ্য করলে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া দরকার। আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কয়েকটি উপসর্গ সম্পর্কে যেগুলো কিডনির সমস্যা বা অসুখকের আগাম ইঙ্গিত হতে পারে-

মুখ ও চোখের কোল অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ওঠা

মুখ, চোখের কোল যদি হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ওঠে, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ কিডনির সমস্যা বা অসুখকের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।

বার বার প্রস্রাবের বেগ

আপনার বার বার প্রস্রাবের বেগ অনুভব করলে সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন! কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ত্বক অসময় হঠাৎ শুষ্ক হয়ে ওঠা

আপনার ত্বক কি অসময় হঠাৎ শুষ্ক হয়ে গেছে? তাহলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কিডনির সমস্যা বা অসুখকের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। কারণ কিডনি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর পদার্থগুলো শরীর থেকে ছেঁকে বের করে দেয়। তাই কিডনি বিকল হয়ে পড়লে শরীরে এই ক্ষতিকর পদার্থগুলো জমে গিয়ে আমাদের ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ করে দেয়।

কোমরের একটু উপরে ঘন ঘন ব্যথা অনুভব

পিঠের দিকে, কোমরের একটু উপরে যদি ঘন ঘন ব্যথা অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি।

পা বা পিঠের পেশিতে ঘন ঘন অস্বাভাবিক টান

যদি দেখেন, আপনার হাত, পা বা পিঠের পেশিতে ঘন ঘন অস্বাভাবিক টান বা খিঁচুনি ধরছে, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কিডনির সমস্যা বা অসুখকের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।

পায়ের পাতা হঠাৎই অস্বাভাবিক ফুলে যাওয়া

যদি দেখেন, আপনার গোড়ালি বা পায়ের পাতা হঠাৎই অস্বাভাবিক ফুলে যাচ্ছে, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কিডনির সমস্যা বা অসুখকের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।

প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা

কিডনির সমস্যা থাকলে একাধিকবার মূত্রথলিতে সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়াও প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথাও করতে পারে।

অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা

রক্তচাপের দ্রুত ওঠাপড়া, অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা, শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হওয়ার পেছনেও লুকিয়ে থাকতে পারে কিডনির সমস্যা।

ঘুমের ক্ষেত্রে সমস্যা

কিডনির সমস্যায় ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে রক্ত ভালভাবে পরিশ্রুত হতে পারে না। তাই ঘুমের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত

যদি দেখেন প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছে, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত চলে আসতে পারে।

উল্লেখিত উপসর্গগুলো লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অবশ্যই মূত্র (ইউরিন) পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। কোনও ত্রুটি থাকলে অবশ্যই নেফ্রোলজিস্ট বা কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Srabany

Call

কিডনি দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনি রোগ খুব নীরবে শরীরের ক্ষতি করে। খুব জটিল অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত লক্ষণগুলো ভালোভাবে প্রকাশও পায় না। তাই কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো আগে থেকেই জেনে রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্ট জানিয়েছে কিডনি রোগের লক্ষণগুলোর কথা।

১. প্রস্রাবে পরিবর্তন

কিডনি রোগের একটি বড় লক্ষণ হলো প্রস্রাবে পরিবর্তন হওয়া। কিডনির সমস্যা হলে প্রস্রাব বেশি হয় বা কম হয়। বিশেষত রাতে এই সমস্যা বাড়ে। প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়। অনেক সময় প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলেও প্রস্রাব হয় না।

২. প্রস্রাবের সময় ব্যথা
প্রস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া কিডনির সমস্যার আরেকটি লক্ষণ। মূলত প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া- এগুলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের লক্ষণ। যখন এটি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে তখন জ্বর হয় এবং পিঠের পেছনে ব্যথা করে।

৩.প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া

প্রস্রাবের সাথে রক্ত গেলে এটি খুবই ঝুঁকির বিষয়।এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ।

৪. দেহে ফোলা ভাব

কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য এবং বাড়তি পানি বের করে দেয়। কিডনিতে রোগ হলে এই বাড়তি পানি বের হতে সমস্যা হয়। বাড়তি পানি শরীরে ফোলাভাব তৈরি করে।

৫. মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়া

লোহিত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার কারণে মস্তিস্কে অক্সিজেন পরিবহন কমে যায়। এতে কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হয়।

৬. সবসময় শীত বোধ হওয়া

কিডনি রোগ হলে গরম আবহাওয়ার মধ্যেও শীত শীত অনুভব হয়। আর কিডনিতে সংক্রমণ হলে জ্বরও আসতে পারে।

৭. ত্বকে র‍্যাশ হওয়া

কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়লে রক্তে বর্জ্য পদার্থ বাড়তে থাকে। এটি ত্বকে চুলকানি এবং র‍্যাশ তৈরি করতে পারে।

৮. বমি বা বমি বমি ভাব

রক্তে বর্জ্যনীয় পদার্থ বেড়ে যাওয়ায় কিডনির রোগে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার সমস্যা হতে পারে।

৯. ছোটো ছোটো শ্বাস

কিডনি রোগে ফুসফুসে তরল পদার্থ জমা হয়। এ ছাড়া কিডনি রোগে শরীরে রক্তশূন্যতাও দেখা দেয়। এসব কারণে শ্বাসের সমস্যা হয়, তাই অনেকে ছোট ছোট করে শ্বাস নেন।

১০. পেছনে ব্যথা

কিছু কিছু কিডনি রোগে শরীরে ব্যথা হয়। পিঠের পাশে নিচের দিকে ব্যথা হয়। এটিও কিডনি রোগের একটি অন্যতম লক্ষণ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ