প্রোবায়োটিক বলতেই সবাই গ্যাসট্রোএনটেরোলজির কথা বলে ওঠেন। তবে এখন গবেষণায় গ্যাসট্রো ছাড়াও অন্যান্য অনেকক্ষেত্রেই প্রোবায়োটিকের সুফল সম্বন্ধে বলা হচ্ছে। প্রথমেই ইমিউনিটির কথা আসবে। আসলে ইমিউনিটি হল সেই বস্তু যা বিভিন্ন জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই কোনও ব্যক্তির ইমিউনিটি কম থাকলে অ্যালার্জি, অটোইমিউন ডিজিজ (যেমন—রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস,আলসারেটিভ কোলাইটিস, ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন ইত্যাদি) এবং বিভিন্ন রকমের ইনফেকশনে (যেমন—ডায়ারিয়া, এইচ পাইলরি ইত্যাদি) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকগুণ বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ইমিউন সিস্টেম ভালো রাখার নেপথ্যেও প্রোবায়োটিকের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাই ইমিউনিটি বাড়ানোর প্রশ্নে এখন অনেককেই প্রোবায়োটিক দেওয়া যেতে পারে। শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভালো থাকলে আপনা থেকেই রোগভোগ কমে। পাশপাশি রিপ্রোডাকটিভ ট্র্যাক্ট, লিপিড প্রোফাইলের সমস্যা, দাঁতের ক্ষয়, ফুসফুসের সমস্যা এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও প্রোবায়োটিকের ভূমিকা রয়েছে বলে গবেষণায় উঠে আসছে।