(পুরো লেখাটি পরে আমাকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ রইলো)

আমি কেমন মানুষ আমি জানি না। আমার যখন কোনো জিনিস বা বস্তু পছন্দ হয়, তখন ওই বস্তুটি না পাওয়া পর্যন্ত ওই বস্তুটির প্রতি আমার এত্তোটা আকর্ষন থাকে যে, আমার খাওয়া দাওয়া, ঘুম সব অনিয়ম হয়ে যায়।

কিন্তু যখনই কাঙ্ক্ষিত সেই বস্তুটি আমি পেয়ে যাই তখন পাওয়া মাত্রই সেটি আমার কাছে মুল্যহীন হয়ে যায়। দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে করে.


এবার আসি আমার ডিপ্রেশনের গল্পে। আমি বাবা মার একমাত্র ছেলে। গ্রামে জন্মেছি এবং গ্রামেই বেড়ে উঠেছি। তো সেই হিসেবে আমার বাবা মা ও তেমন শিক্ষিত নন। গ্রামের আট দশটা মানুষের মতোনই সাধারন মানুষ। 

কিন্তু আমি উনাদের সহ্য করতে পারতাম না। উনাদের ব্যাবহার, উনাদের কথা বার্তা, এ সব কিছুই ছিলো আমার সহ্য সীমার বাইরে।

আমার মা আমাকে গালি ছাড়া কথাই বলতেন না। মাঝে মাঝে এমন ব্যাবহার করতেন তখন নিজেকে রাস্তার কুকুর থেকেও নিকৃষ্ট মনে হতো।

অথচ আমার বাবা মার কাছে সেইসব ছিলো খুব সাধারন ব্যাপার। ফ্যামিলির এমন আচরনের কারণে আমি আস্তে আস্তে ডিপ্রেশনে পড়ে যাই। একা হয়ে যাই প্রচুর। 

কিন্তু আমার বাবা মা কখনোই সেসব বুঝতেন না।তখন বয়স কম ছিলো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ডিপ্রেশন টা আরো মারাত্মক আকার ধারন করে।


আমার ডিপ্রেশনটা ফ্যামিলি থেকে শুরু হলেও একটা সময় সেটা আর ফ্যামিলির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। সামান্য থেকে সামান্যতম কিছু হলেই ডিপ্রেশনে চলে যেতাম।


তারপর জীবনে প্রেম আসে। একটা মেয়েকে প্রচুর করে চাইতাম মনে মনে। তাকে পছন্দ করতাম অনেক। তাকে সেসব বলার পর সে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু তার ঠিক এক বছর পরেই সে নিজ থেকে আমার লাইফে ব্যাক করে। কিন্তু তখন সে আমার কাছে মূল্যহীন হয়ে যায়।

যেমনটা লেখার শুরুতেই বলেছিলাম।

হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে ভালোবাসতে পারছিলাম না। কিন্তু তার সাথে সম্পর্ক কন্টিনিউ করে যেতে থাকলাম। মেয়েটা আমাকে পাগলের মতোন ভালোবাসতো। 

একদিন কোনো কিছু না ভেবেই তার সাথে আমি ব্রেকাপ করে ফেলি। কারণ আমি চাইছিলাম না সে আর আমার জীবনে থাকুক। তারপর সে অনেক অনেক কান্না করেছিলো আমি যাতে এমনটা না করি।


তার কিছুদিন পর সে আমাকে ফোন দিয়ে আমার খোজ খবর জানতে চায়। পরে আমি তাকে ফোন ব্যাক করলে সে আমাকে এভয়েড করতে শুরু করে।  সে ডিরেক্ট বলে দেয় যে আমি যাতে তাকে আর কোনোদিন কল বা মেসেজ না দেই। বিষয়টা আমার ইগোতে হার্ট করে। তারপর আমি তাকে পুনঃরায় রিলেশনে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠি।


কিন্তু সে আর আসতে চায় না। তার সাথে রিলেশন করা থেকে শুরু করে আমার ব্রেকাপ করা পর্যন্ত আমি বুঝতে পারিনি যে আমি তাকে ভালোবাসি নাকি পছন্দ করি। কিন্তু যখন সে আমাকে এভয়েড করতে শুরু করে তার পর থেকে আমি পাগলের মতোন হয়ে যাই। তখন আমি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারি যে আমি তাকে ভালোবাসি. এবং শুধু ভালোবাসি না চরম আকারের ভালোবাসি। কিন্তু সে আর কোনোদিন ফিরবে না আমার জীবনে।


সে চলে যাওয়ার পর থেকেই ডিপ্রেশনে পড়ে যাই আবার। আজ পাঁচ মাস হতে চললো ডিপ্রেশনের মধ্যে আছি। এর মাঝে দুইবার সুইসাইড করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মনে ক্ষীন একটা আশা ছিলো যে ওর সাথে আমার আবার সব ঠিক হয়ে যাবে।  কিন্তু সে তার ফাইনাল কথা আমাকে জানিয়ে দিয়েছে যে আমার জন্য তার মনে আর কোনো স্থান নেই।


এখন আমার জীবনটা মূল্যহীন মনে হচ্ছে। সারাক্ষন ভেতর থেকে কে যেনো বলতে থাকে যে 'তুই মরে গেলেই শান্তি তে থাকবি'। প্রতিটা মুহুর্তে মাথায় খালি সুইসাইডের কথা ঘুরতে থাকে। দুইবার সুইসাইড করতে গিয়ে ফিরে এসেছি।

কিন্তু আমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে এইভাবে আমি আর বেশি দিন বাাঁচতে পারবো না। কেনো যেনো মনে হচ্ছে  এইবার আমার সুইসাইড করা উচিত।


পাঠক গনের কাছে দুঃখিত লেখাটা এত্তো বড় করার জন্য।

আমি বেঁচে থাকার জন্য আমার সব টুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু আমি আর পারছি না।

আমি বাঁচতে চাই। 

প্লিজ্জ আমাকে কেউ সাহায্য করুন।



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
MD FULMIA

Call

সুইসাইড করা মহা পাপ,,,, এধরনের চিন্তা ভাবনা মাথায় আনবেন না।

মানুষের জীবনে সমস্যা থাকেই,  আমরা কেউই সকল দিক থেকে পরিপূর্ণ না।

আমার মনে হয়, আপনার সমস্যাটির জন্য পরিবার এবং আপনার চারপাশের পরিবেশ ই দায়ী।।।

যা-ই হোক,,, সমস্যা সারাজীবন থাকেনা,,  একটু চেষ্টা করলেই এরকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব,,,

এর জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে,,,,

১,, বেকার না থেকে যেকোনো কাজে নিজেকে ব্যাস্ত রাখুন, তাহলে ডিপ্রেশন করার সময় পাবেন না।

২,, নিজ ধর্মীয় কাজে মনোযোগী হোন।

৩,, কোনো প্রকার খারাপ চিন্তা আসলেই ধর্মীয় বই পড়ুন

৪,,প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিয়ে করতে পারেন, এতে আপনার মানসিক এবং শারীরিক তৃপ্তি আসবে।

৫,, বাবা মা যেমনই থাকে ওনাদের সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করুন,  দেখবেন ওনারাও বদলে যাবে

৬,, জেদ করবেন না, সব সময় সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ