আমার দাদা অবৈধভাবে সম্পত্তি গড়েছে, আমার বাবা উত্তরাধিকার সূত্রে সে সম্পত্তি পেয়েছে, এখন আমার জন্য উক্ত অবৈধ সম্পদ ভোগ করা কী হালাল?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
sohelmahmud

Call

কোন ব্যক্তি মৃত্যু বরণকালে তার অবৈধভাবে কামান সম্পদ রেখে গেলে তার উত্তরাধিকারীগণের জন্য যা করণীয় সে সম্পর্কে নিচে আলোকপাত করা হলো-

অবৈদ সম্পদ দু ধরনের-

এক. ইসলামী শরীয়ত কর্তৃক অবৈধ তবে তা  দাতার সন্তুষ্টি চিত্তে নেয়া হয়েছে। যেমন: নাচ, গান ইত্যাদির মাধ্যমে অর্জিত উপার্জন।

দুই. ইসলামী শরীয়ত কর্তৃক অবৈধ এবং তার দাতারও সন্তুষ্টি নেই। বরং অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন: চুরি-ডাকাতির মাধ্যমে অর্জিত কামায়।

প্রথম প্রকার সম্পদের বিধান হলো- সেগুলো সাওয়াবের নিয়ত করা ব্যতীত কোন জাকাত ভোগে সক্ষম ব্যক্তিকে সদকা করে দিতে হবে।

দ্বিতীয় প্রকার সম্পদের বিধান হলো- সেগুলো মূল মালিকের কাছে, মূল মালিক না পাওয়া গেলে তা উত্তরাধিকারীগণের নিকট পৌঁছে দিতে হবে। যদি এটি সম্ভবপর না হয়। তাহলে মূল মালিকের নামে সদকা করে দিতে হবে।

উল্লেখ্য,  ইসলামে হালাল কামায় রুজগার এবং হালাল সম্পদের গুরত্ব অপরিসীম। বান্দার জান্নাত লাভ, ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি অনেকাংশে এর উপর নির্ভরশীল। হাসীস শরীফে এসেছে। নবী সা. ইরশাদ করেন, হারাম সম্পদ দ্বারা প্রতি পালিত শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না। অন্য হাদীসে আছে, বান্দার দুআও  হারাম ভক্ষণের কারণে তথা হারাম সম্পদের কারণে আটকে যায়, কবূল হয় না। তাছাড়া বান্দার হক অনেক বড় মারত্মক বিষয়। কারণ  হক সম্পর্কীত পাপের ক্ষমা এক মাত্র বান্দার সাথে সম্পৃক্ত।  তা ক্ষমা করা বা না করার পূর্ণি এখতিয়ার বান্দার উপর ন্যাস্ত। তাই যত দ্রুত সম্ভব আপনি উক্ত সম্প ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। মহান আল্লাহ আপনার জন্য সৎকাজে উত্তম সহায়ক হয়ে যান। আমীন।

সূত্র: ফাতাওয়া শামী: ৭/৩০১, বজলূল মাজহুদ: ১/৩৭,  শরহু ফিকহিল আকবার: ১৯৪, ফাতাওয়া আলমগীরী: ৫/৩৪৯, আল-মুহিতুল বুরহানী: ৮/৬৩, আল-বহরুর রায়েক: ৮/১১৪, মাজমাউল আনহুর: ৪/৮২-৮৩, রদ্দুল মুহতার: ২/২৯১, ৭/৪৯০, মালে হারাম: ২১৬। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

হালাল ভাবে উপার্জন করা সম্পদ সবসময় হালাল কিন্তুু অবৈধ বা হারাম ভাবে সম্পদ উপার্জন করলে সেইটা হারাম এই থেকে যায় হয় সেইটা উওরাধিকার সূএে পাওয়া হোক বা পৈতৃক সূএে পাওয়া হোক এই অবৈধ সম্পদ যারাই ভোগ করুক না কেনো তা হারাম বলেই গন্য হবে ইসলামের ভাষায় তাই বলা হয়েছে আশা করি উওর টা পেয়েছেন । ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এটা একটা জটিল ব্যাপার হলো।

 

এক যুক্তি বলে যে, হারাম কাজ করে উপার্জন করেছে আপনার দাদা, আপনি তো না, 

আপনার পথ টা হচ্ছে উত্তরাধিকারী, যেটা সম্পুর্ন হালাল। তাই আপনার কোন গুনাহ হবে না।

 

 

 

আবার, আরেক যুক্তি বলে যে, আপনি যেহেতু জেনে গেছেন যে এটা হারাম পথে উপার্জিত, তাই আপনার জন্য ও এটা হারাম।

 

 

আমি বলি কী, কিছু দান-খয়রাত করে তারপর দোয়া করে ভোগ করতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কিছু অংশ দান খয়রাত,  সদকা করে হালাল করে নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

আপনি যদি না জানতেন। তাহলে কোনে সমস্যা ছিলনা। কিন্তু আপনি এখন যেহেতু জানেন, সুতারাং সতর্ক থাকা ভালো। 

আল্লাহ তায়ালা দীনের বেপারে সতর্ক বান্দাকে ভালোবাসেন।   

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সম্পদ তোমার অধীনে আসার পর থেকে তুমি অবৈধ করোনা।হিসাব করে প্রতি বছর যাকাত আদায় করো,দান সাদকা করো।অন্যায় পথে অর্থ ব্যয় করোনা।অপচয় করোনা।অপচয় কারী শয়তানের ভাই।পাপ ছাড়েনা বাপেরে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ