এ বিষয়টি বোঝার জন্য আরো কিছু তথ্য উল্লেখ করা দরকার: ১. কোনো মৌল যে পর্যায়ে অবস্থান করে সে পর্যায়ের সকল মৌলের শক্তিস্তর সংখ্যা সমান। ২. প্রোটন সবসময় ইলেকট্রনকে কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে। ৩. একই পর্যায়ে বাম থেকে ডানে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এবার পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম দিয়ে ব্যাপারটা বুঝতে চেষ্টা করি- http://17054-presscdn-0-61.pagely.netdna-cdn.com/wp-content/uploads/2015/04/Potassium_calcium.jpg পটাশিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা ১৯, অর্থাৎ এর প্রোটন সংখ্যাও ১৯। ক্যালসিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা ২০, অর্থাৎ প্রোটন সংখ্যাও ২০। উভয়ে একই পর্যায়ে অবস্থিত হওয়ায় শক্তিস্তরও সমান। এখন ১৯ টি প্রোটন তার শক্তিস্তরে অবস্থিত ইলেকট্রন সমূহকে কেন্দ্রের দিকে যতটা আকর্ষণ করবে ২০ টি প্রোটন তার চাইতে বেশি পরিমাণ আকর্ষণ করবে। ফলে প্রোটন যতো বেশি হবে এর আণবিক ব্যাসার্ধও তত কমে আসবে। আর এজন্যই একই পর্যায়ে বাম থেকে ডানে পরমাণুর আকার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়। না বুঝলে মন্তব্যে জানাতে পারেন।
একই পর্যায়ের বাম থেকে ডান দিকে গেলে পরমাণুতে প্রোটন বা পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইলেকট্রনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।কিন্তু ইলেকট্রনের শক্তিস্তরের সংখ্যা বাড়ে না।তাই একই পর্যায়ের বাম থেকে ডান দিকে গেলে পরমাণুতে প্রোটনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসকর্তৃক অধিকতর আকর্ষিত হয়।ফলে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কমে যায়।