Share with your friends

বাংলাদেশ থেকে লিগ্যাল ওয়েতে PayPal Verified  Account খোলা যায় না বললে আসলে ভুল হবে। বাংলাদেশ থেকে লিগ্যাল ওয়েতে PayPal Verified Account খোলা যায় কিন্তু অনেক ডলার খরচ হবে।

আপনি যদি ইউ এস থেকে পেপাল একাউন্ট করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে SSN
( সোশাল সিকিউরিটি  নাম্বার)।
অথবা EIN ( ইমপ্লয়ী আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার)
যেই নাম্বারটা পেতে হলে আপনার ইউ এস এর একটা কোম্পানি থাকতে হবে। যেই নাম্বারটা মেইনলি টেক্স ইনফরমেশন বা টেক্স ভেরিফিকেশন এর জন্য ইউ এস গভার্মেন্ট থেকে দিয়ে থাকে।

আপনি যদি সম্পূর্ন রিয়েল এবং সম্পূর্ন লিগ্যাল ওয়েতে পেপাল একাউন্ট করতে চান তাহলে আপনার যা যা লাগবে।

১। আপনার SSN অথবা EIN নাম্বার লাগবে।
২।  আপনার নিজের ইউ এস এর একটা কোম্পানি এবং সেটা লাইসেন্স করা থাকতে হবে।
৩। আপনার ইউ এস এর ফিজিক্যাল ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
৪। আপনার ইউ এস এর মোবাইল নাম্বারের প্র‍্যোজন হবে।

এসব ডকোমেন্টস যোগার করাটা আসলে অনেক ব্যয় বহল। আর এই খরচটা প্রতি বছরে করতে পারলেই বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ন লিগ্যাল ওয়েতে PayPal একাউন্ট খোলা যাবে এবং PayPal একাউন্ট ব্যাবহার করা যাবে। 
যেটা কিনা একজন নতুন মার্কেটার বা ফ্রিলান্সার এর পক্ষে সম্ভব হয় না।

বর্তমানে ফেক ইনফরমেশন দিয়ে ইউ এস এর পেপাল একাউন্ট গুলো অনেক বেশি পরিমানে ফোন ভেরিফিকেশন চাওয়ার কারনে বাংলাদেশ থেকে পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করা অনেকটা বিরক্তিকর হচ্ছে।
তবে আপনি যদি সব সময় একই ডিভাইস থেকে পেপাল একাউন্টে লগিন করেন তাহলে এতটা ফোন
ভেরিফিকেশন চায় না।

কিছুটা ফেক ইনফরমেশন দিয়ে হলেও বাংলাদেশ থেকে কিভাবে PayPal একাউন্ট খোলা যায়? এবং সেই একাউন্ট টা  সেভ রাখতে পারবেন। আর ভিবিন্ন মার্কেটিং বা ফ্রিলান্সিং এর ক্ষেত্রে আপনার পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন এবং মার্কেটপ্লেস থেকে পেপাল এর মাধ্যমে আপনি নিরাপদে আনলিমিটেড ট্রানজেকশন করতে পারবেন।

এ ধরনের একটি পেপাল একাউন্ট করার জন্য আপনি যাবেন  paypal.com/cy. এর পর সাইফরাস জন্য পেপাল সাইটের হোম পেইজটি ওপেন হবে। এখান থেকে আপনি পেপাল একাউন্টটি ক্রিয়েট করবেন।

# পেপাল একাউন্ট সাইন আপ করার জন্য সাইন আপ বাটনে ক্লিক করুন।
# তারপর বিসনেস একাউন্ট সিলেক্ট করুন কন্টিনিউ 
বাটনে ক্লিক করুন
# কান্ট্রি সিলেক্ট এর জায়গায় Cyprus সিলেক্ট করাই থাকবে, যাস্ট ওটাই রেখে দিন। তারপর সিলেক্ট এন্ড কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন।
# তারপর আপনার ইমেইল আই ডি দিয়ে নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন
# এর পর  যে ফরম টা আসবে আপনি সঠিক ভাবে ফরমটা পূরন করবেন। আপনার ফাস্ট নেইম এবং লাস্ট নেইম আপনার যে লিগ্যাল নেইমটা আছে সেইটাই দিবেন।
অর্থাৎ আপনার ন্যাশনাল আই ডি, পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর যে নামটা আছে সেই নাম টাই দিবেন।

#কোম্পানি নেইম এর জায়গায় আপনার যদি কোনো কোম্পানি থাকে তাহলে সেই নামটা দিতে পারেন।
অন্যথায় কোনো কোম্পানি না থাকলে আপনার নিজের নামটাই দিয়ে দিবেন।

# মোবাইল নাম্বারের জায়গায় বাংলাদেশ সিলেক্ট করে আপনার বাংলাদেশের রিয়েল মোবাইল নাম্বারটাই দিবেন।

# বিসনেস এড্রেস এর জায়গায়  আপনার নিজের বাসার যে রিয়েল এড্রেস টা আছে সেইটাই দিবেন।

# প্রাইমারি ক্যারেন্সি হিসেবে ইউ এস ডলার সিলেক্ট করে দিন।

# এগ্রি আন্ড কন্টিনিউ বক্সে চেক মার্ক দিয়ে এগ্রি এন্ড কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন।

# এরপর যে পেইজটা আসবে সেখানে আপনার বিসনেস এর কিছু ইনফরমেশন দিতে হবে।
বিসনেস টাইপ এর ড্রপডাউন লিস্ট থেকে “Individual” সিলেক্ট করে দিবেন।

# বিসনেস ক্যাটাগরি ” Books and magazine” এবং সাব ক্যাটাগরি “Digital Media, books, movies and music” দিয়ে দিতে পারেন।

# Business URL এর জায়গায় আপনার যদি কোনো অয়েবসাইট থাকে তাহলে সেই অয়েবসাইটের URL টা দিতে পারেন। আর যদি না থাকে তাহলে কিছু দেওয়ার দরকার নাই, ফাকা রাখুন।
তারপর Continue  এ ক্লিক করুন।

# এরপর যে পেইজটা আসবে সেখানে আপনার আরো কিছু ইনফরমেশন দিতে হবে। আপনার সঠিক ডেথ ওফ বার্থ দিন। তারপর ন্যাশনালিটি বাংলাদেশ সিলেক্ট করে দিন।

# Home address is the same as  business address এই বক্সে চেকমার্ক দিয়ে Submit বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার ইমেইলে পর পর দুইটা যাবে। একটি ভেরিফিকেশন মেইল এবং আরেকটি আপনার বিসনেস একাউন্টে আরো কিছু ইনফরমেশন দিয়ে একাউন্ট টি ফোলফিল করার জন্য বলবে।। আপনার মেইল ওপেন করুন এবং যেটা ভেরিফিকেশন ইমেইল সেই মেইলের ভেরিফিকেশন লিংকে ক্লিক করে মেইলটি ভেরিফাই করে নিন।

আপনার PayPal একাউন্ট খোলা প্রাথমিক ভাবে সম্পন্ন হলো। কিন্তু এই একাউন্টে আরো কিছু কাজ বাকি আছে সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে। যেমন:

# আপনার PayPal একাউন্টের সাথে একটি ব্যাংক একাউন্ট এড করতে হবে। সেটা হতে পারে পেয়োনার ব্যাংক একাউন্ট অথবা অন্য কোনো বাইরের দেশের ব্যাংক একাউন্ট। 

এখানে ক্লিক করে পেয়োনার একাউন্ট খোলতে পারেন।

সেই ব্যাংক একাউন্টের IBAN অর্থাৎ ইন্টার্ন্যশনাল ব্যাংক একায়ন্ট নাম্বার আপনার পেপাল একাউন্টে এড করতে হবে।

# তারপর ডুয়েল ক্যারেন্সি সাপোর্ট করে এরকম একটি মাস্টার কার্ড / ভিসা কার্ড /ক্রেডিট কার্ড আপনার পেপাল একাউন্টের সাথে এড করতে হবে।

যখন পেপালের সাথে আপনি কোনো ব্যাংক একাউন্ট এবং একটা মাস্টার কার্ড এড করবেন। তখন আপনার পেপাল একাউন্ট থেকে আনলিমিটেট ট্রানজেকশন করতে পারবেন। আর আপনার পেপাল একাউন্ট সেভ থাকবে।

তথ্যসূত্রঃ এখানে।  

Talk Doctor Online in Bissoy App