।। সংক্ষিপ্ত উত্তর গ্রহনযোগ্য নয় ।।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এনার্জি সেভিং লাম্প ঃ

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি এক প্রকার বাতি যা কম বিদ্যুৎ খরচ করে । এই বাতির প্রকৃত কারিগরি নাম হল কমপ্যাক্ট ফ্লোরোসেন্ট ল্যাম্প ( সি এফ এল) । বিশেষ প্রযুক্তির কারনে এই বাতি সাধারন বাতি থেকে অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ করে । 1980 সালের দিকে এনার্জি সেভিং ল্যাম্প পরিচিতি লাভ করে । কম বিদ্যুৎ খরচ করে বেশি আলো দেওয়ার পেছনে সাধারন বাল্ব থেকে এ গঠনগত পার্থক্যই প্রধান । এটি মুলত একটি ঘনিভুত পারদ বাস্প ভর্তি কাচের নল । কাচের নলের গায়ে ফসফরাসের প্রলেপ দেওয়া থাকে । যখন ইলেকট্রনিক্ষ ব্যালাস্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয় থখন গ্যাসের অনুগুলো দ্রুত ছুটোছুটি শুরু করে ্এবং পরাস্পরের সাথে সংঘর্ষের ফলে নলের ভিতরে আলট্রাভায়োনেট রশ্মির সৃষ্টি হয় । কাচের গায়ে থাকা ফসফরাস এই আল্ট্রাভায়োনেট রশ্মিকে দৃশ্যমান আলোতে রুপান্তন করে । আর এই আলো কাচ নলে বিকিরিত হয়ে বিবর্ধিত হয় । যার ফলে এটি সাধারন বাতি থেকে কয়োগুন বেশি আলো দেয় । একটি 100 ওয়াট বাতি যে পরিমান আলো দেয় সেই পরিমান আলো দেওয়ার জন্য একটি 23 ওয়াট সি এফ এল বাতি যথেষ্ট । সেইরুপ 60 এবং 40 ওয়াটের ইনক্যান্ডিসেন্ট বাতি যে পরিমান আলো  দেয় সে পরিমান আলো যথাক্রমে 11 একং 9 ওয়াটের সি এফ এল বাতি দিতে সক্ষম ।

এনার্জি  সেভিং ল্যাম্পের সুবিধা ও অসুবিধা ঃ

  • সাধারন ল্যাম্প থেকে 75% বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে । 
  • সাধারন বাতি থেকে 4 গুন বেশি আলো দেয় । 
  • উত্তাপ কম হয় । 
  • আধিকাংশ বাল্বই দীর্ঘস্থায়ী হয় । 
  • পরিবেশ বান্ধব । 
অনেক সুবিধা সত্তেও এর কিছু অসুবিধা ইছে যা নিম্নে আলোচনা করা হলো । 
  • যাদের মাথা ব্যাথা এবং মাইগ্রেনের সমস্যা আছে ্তারা দীর্ঘদিন এই বাতি ব্যবহার করলে মাইগ্রেন অ্যাটাক হতে পারে । 
  • মৃগী রোগীর হঠাৎ এপিলেপিক অ্যাটাক হতে পারে । এবং 
  • সুস্থ মানুষের অবসাদ, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথা এর্ব  মাথা ঘুরানো ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে । 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ