Share with your friends

ওয়াইফাই নিরাপত্তা ভঙ্গ হওয়া আজকাল আর নতুন কোন বিষয় নয়। আমার মতে এতো দিনে হয়তো আপনিও ১০-১২ টি পোস্ট পড়ে ফেলেছেন ইন্টারনেটে যে কীভাবে এর নিরাপত্তা স্তর নষ্ট করে বা পাসওয়ার্ড চুরি করে এটি ব্যবহার করা যায়। তো চলুন এবার এর নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা শুরু করা যাক। সর্বপ্রথম যে সিকিউরিটি সিস্টেমটি চালু করা হয়েছিলো তার নাম ছিল ডবলু-ই-পি (WEP) অর্থাৎ (Wired Equivalent Privacy)। কিন্তু এই সিকিউরিটি সিস্টেমটির ইনক্রিপশন ছিল মাত্র ৬৪ বিটের। [ইনক্রিপশন কি এবং কীভাবে কাজ করে জানতে অবশ্যই এই পোস্ট টি পড়ুন] এবং এই কথাটি হলো আজ থেকে ১৪-১৫ বছর আগের। যাই হোক, এই ডবলু-ই-পি সিকিউরিটি সিস্টেমটি নষ্ট করা অনেক সহজ একটি ব্যাপার ছিল। একটি সাধারন কম্পিউটারে ব্রুট ফোর্স অ্যালগোরিদম ব্যবহার করে এই সিকিউরিটি সিস্টেমটি অনেক সহজেই নষ্ট করা যেতো। ব্রুট ফোর্স অ্যালগোরিদম হলো এমন একটি সিস্টেম যেখানে সকল সম্ভাব্য পাসওয়ার্ডকে বারবার ব্যবহার করে কোন সিস্টেমে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়। ২০০৬ সালে এর নতুন একটি সিকিউরিটি সিস্টেমটি চালু করা হয়েছিলো এবং এর নাম ছিল ডবলু-পি-এ (WPA) (ওয়াইফাই প্রটেক্টেড অ্যাক্সেস)। তো এটি ডবলু-ই-পি এর তুলনায় কিছু বেশি শক্তিশালী ছিল। কিন্তু তখন সকল রাউটার গুলোতে আপডেট প্রদান করা হয়েছিলো যে তারা ডবলু-ই-পি থেকে যেন ডবলু পি এ তে চলে যায়। এই আপডেট দেওয়ার সময় অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং ডবলু-পি-এ সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ডও নষ্ট করা তেমন কঠিন ছিল না। এর পরে আরেকটি নতুন সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে আসা হয়, যার নাম ডবলু-পি-এ ২ (এ-ই-এস) (WPA 2 AES)। এটি ডবলু-পি-এ এর একটি দ্বিতীয় সংস্করণ। এবং এটি কাজ করে এ-ই-এস এর উপর। এ-ই-এস মানে অ্যাডভান্সড ইনক্রিপশন স্ট্যান্ডার্ড। এটি এমন একটি ইনক্রিপশন স্ট্যান্ডার্ড যেটাকে যদি একটি সর্বাধুনিক কম্পিউটার দ্বারা নষ্ট করার চেষ্টা করা হয় ব্রুট ফোর্স অ্যালগোরিদম ব্যবহার করে তবে এতে প্রায় কয়েক হাজার বছর লেগে যাবে। তো পিছনের ২-৩ বছর আগে যদি আপনি একটি রাউটার কিনে থাকেন তবে অবশ্যই সেখানে ডবলু-পি-এ ২ (এ-ই-এস) অপশন আছে পাসওয়ার্ড এর জন্য। এবং আপনি যদি এখনো অন্য কোন সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করে থাকেন তবে অবশ্যই সেটি সরিয়ে ডবলু-পি-এ ২ (এ-ই-এস) চালু করে নিন। এতে মনে করুন আপনার সিকিউরিটি নষ্ট করা এক প্রকারের অসম্ভব। আরেকটি কথা, মনে করুন আপনি অন্য কারো ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন বা কোন ফ্রী নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন তবে এই অবস্থায় শুধু এমন কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করুন যার উপর আপনি পুরোপুরি ভরশা করতে পারবেন। যেমন ধরুন সেটি যদি কোন বড় কোম্পানির কানেকশন হয় যেমন গুগল তো তবেই সেটি ব্যবহার করুন। কেনোনা আপনি যখন কোন নেটওয়ার্ক এর সাথে আপনার কোন ডিভাইজ কে কানেক্ট করবেন তখন ঐ নেটওয়ার্ক এর মালিক আপনার উপর অর্থাৎ আপনার নেটওয়ার্ক কর্মকাণ্ডের উপর পুরো নজর রাখতে পারে। এতে আপনার নিরাপত্তাহানী হতে পারে। তাই কোন নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত হওয়ার আগে অবশ্যই ভেবে দেখুন। আর যদি এমনটা হয় যে আপনাকে নেটওয়ার্কটি ব্যবহার করতেই হবে যদিও আপনি বিশ্বাস করতে পারছেন না, তবে এই অবস্থায় ভিপিএন ব্যবহার করা উচিৎ হবে। সুত্রঃ  techubs

Talk Doctor Online in Bissoy App