গুণক তত্ত্বের গুরুত্ব কি কি?

বিজ্ঞানীদের দ্বারা প্রস্তাবিত, পরীক্ষাগারে পরীক্ষিত এবং গাণিতিকভাবে প্রমাণিত একটি ঘটনাকে যখন সুনিশ্চিত বৈজ্ঞানিক আকারে প্রকাশ হয়, তখন তাকে সূত্র বলে। আর যথোপযুক্ত যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণ, ফলাফল বিশ্লেষণের আলোকে...

গুণক একটি গাণিতিক সংখ্যা বিষয়ক ধারণা। অর্থাৎ গুণক হল  যে সংখ্যা অপর একটি সংখ্যার  কতগুলো  তা নির্ণয় করা যায়।

গুণক এর গুরুত্ব সমূহ নিম্নরূপ : আয় ও নিয়োগ এবং প্রসার, সঞ্চয় ও  বিনিয়োগ ভাতা, বাণিজ্যিক চক্র ব্যাখ্যা, মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা,  সরকারের ভূমিকা।

গুণক এর সীমাবদ্ধতা সমূহ নিম্নরূপ: অপর্যাপ্ত ভোগ্য দ্রব্য, পূর্ণ নিয়োগ স্তর,  ভোগ প্রবণতার  উপর নির্ভরশীল, সময় সাক্ষেপ,  প্ররোচিত বিনিয়োগ অবজ্ঞা,  সম্পদের ব্যবহার ইত্যাদি।

প্রথমিক কর্মসংস্থানের পরিবর্তনের ফলে চূড়ান্ত কর্মসংস্থানের যে কয়কগুণ পরিবর্তন হয়, এই দুয়ের অনুপাতকে বলা হয় কর্মসংস্থান গুণক।

স্বয়ম্ভত বিনিয়োগের পরিবর্তনের দ্বারা জাতীয় আয়ের যে গুণিতক পরিবর্তন হয়, এই দুয়ের অনুপাতকে বলা হয় বিনিয়োগ গুণক।

করের পরিবর্তনের ফলে ভারসাম্য জাতীয় আয়ের যে গুণিতক পরিবর্তন হয়, এ দুয়ের অনুপাতকে বলা হয় কর ‍গুণক। কর গুণক নিম্নোক্ত সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। যেমন-  Kt = △Y/△T

সরকারি ব্যয় ও করের সমপরিমাণ পরিবর্তনের (△G = △T)  ফলে ভারসাম্য জাতীয় আয়ের যে পরিবর্তন হয় একে বলা হয় ভারসাম্য বাজেট গুণক।

গুণক ও ত্বরণের যৌথ প্রভাবে জাতীয় আয়ের উপর যে গুণিতক প্রভাব পড়ে তাকে বলা হয় ‍গুণক-ত্বরণের আন্তঃক্রিয়া। (Multiple-accelerator interaction)

গুণক তত্ত্বে বিনিয়োগ বাড়লে আয় বাড়ে। কিন্তু বৃদ্ধি প্রাপ্ত আয়ের সবটুকু ভোগে ব্যয় হয় না। আয়ের যে অংশ ভোগে ব্যয় হয় না তাকে অপচয় বা লিকেজ বলে।