কুরআনে এরকম বিজ্ঞানময় ইঙ্গিত অনেক আছে, কিছু দিয়ে দিলাম। ১০০০ হাজার এর ও বেশী আয়াতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়বস্তুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা যেগুলা জানতে পেরেছে ১৪০০ বছর আগেই কুরানে যা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই কুরআন ও বিজ্ঞানকে আলাদা করার কিছু নেই। কুরআন বিজ্ঞানময়, যদিও এটা ধর্মগ্রন্থ, মানবজাতির জন্য পথ প্রদর্শক স্বরুপ। বোঝার সুবিধার্থে ২ঃ১১৭ এভাবে আয়াতগুলো দেয়া হয়েছে। মানে কুরআনের ২ নং সুরার ১১৭ নং আয়াত। সৃষ্টিতত্ত্বঃ আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টি করেছেন শূন্য থেকে– ২:১১৭। পৃথিবী এবং মহাকাশ/বায়ুমণ্ডল একসময় একসাথে মিলিত ছিল এবং তা আলাদা করা হয়েছে বিশাল শক্তি দিয়ে– ২১:৩০। পানি থেকে তৈরি হয়েছে সকল প্রাণ– ২১:৩০। মহাবিশ্ব ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে– ৫১:৪৭। মহাবিশ্ব ছয়টি পর্যায়ে তৈরি হয়েছে এবং প্রাণ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ তৈরি হয়েছে চারটি পর্যায়ে– ৫০:৩৮, ৪১:১০। প্রতিটি প্রাণীর সৃষ্টি হয় নিয়ন্ত্রিত বিবর্তনের মাধ্যমে– ৭:৬৯, ১৫:২৮, ২৪:৪৫, ৩২:৭, ৭১:১৪। মানুষের সৃষ্টির সূচনা হয়েছিল পানিসিক্ত অজৈব পদার্থ (কাঁদা) থেকে– ৩২:৭, ১৫:২৬। পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে/বায়ুমণ্ডলে প্রাণ আছে– ৪২:২৯। গত বছর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেনমেঘে অত্যন্ত উঁচুতেও বিপুল পরিমাণে অতি ক্ষুদ্র কীটাণু আছে। মহাকাশ বিজ্ঞান সূর্য পূর্ব দিকের দুটি প্রান্তে উঠে এবং পশ্চিম দিকের দুটি প্রান্তে অস্ত যায়– ৫৫:১৭, ৭০:৪০, ৩৭:৫। পৃথিবী নিজস্ব অক্ষে ঘুরছে– ২৭:৮৮, ২১:৩৩, ৩৬:৪০। সূর্যের নিজস্ব অক্ষ রয়েছে, এটি গ্যালাক্সিকে কেন্দ্র করে ঘুরে– ৩৬:৪০, ২১:৩৩। পৃথিবী সম্পূর্ণ গোল নয় বরং তা ডিমের মত উপরে নিচে চ্যাপ্টা– ৭৯:৩০, ৩৯:৫। প্রথমে মহাকাশে সবকিছু ছিল ধোঁয়া, তারপর অভিকর্ষের প্রভাবে তা একত্র হয়ে পৃথিবীর মত গ্রহের জন্ম দিয়েছে– ৪১:১১। পৃথিবীর সমস্ত পানি এসেছে মহাকাশ থেকে, পরিমিতভাবে– ২৩:১৮। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, ধুমকেতু এবং উল্কার মাধ্যমে আদি পৃথিবীতে পানি এসেছে। চাঁদ এবং সূর্যের আকৃতি এবং দূরত্ব সুনিয়ন্ত্রিত– ৫৫:৫। সূর্য চাঁদ থেকে ৪০০ গুণ বড় এবং চাঁদ পৃথিবী থেকে যত দূরে, সূর্য তার ৪০০ গুণ বেশি দূরে। এ কারণেই পূর্ণ সূর্য গ্রহণ হয়। সূর্য যদি এর থেকে কাছে বা চাঁদ যদি এর থেকে দূরে হত, অথবা চাঁদ ছোট হত বা সূর্য যদি আরও বড় হত, তাহলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হত না। মহাকাশের সম্প্রসারণের গতি যদি আলোর গতি থেকে বেশি না হত, তাহলে কখনও রাত হত না কারণ রাতের আকাশের প্রতিটি বিন্দুতে কোন না কোন নক্ষত্র বা গ্যলাক্সি থেকে আলো পৃথিবীতে এসে পৌঁছাত এবং রাতের আকাশ থাকতো দিনের মত জ্বলজ্বলে– ৩:১৯০।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ