Share with your friends

মনে করেন, আপনার বন্ধুদের একটা গ্রুপ আছে । সেই গ্রুপটায় আপনি সহ আছেন মোট ১৫ জন । আপনারা সবাই মিলে কক্সবাজার বেড়াতে গেলেন । হোটেলে উঠার পর দেখা গেলো, আপনারা যে কয়টি রুম ভাড়া নিয়েছেন, সবগুলো একই মাপের নয়; কোনোটা বড় কোনোটা ছোট । যে রুমটা সবচাইতে ছোট, সেই রুমে সর্বোচ্চ ২ জন থাকা যায় । আপনারা চাইলেও চাপাচাপি করে ২ জনের বেশি থাকতে পারবেন নাহ । সবচেয়ে বড় যে রুমটা, ওটায় থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ৮ জন ।   আপনি-আপনার বন্ধুদের যদি আমি ইলেক্ট্রনের সাথে তুলনা করি, তবে হোটেলের রুমগুলো হলো পরমাণুতে ইলেক্ট্রনের কক্ষপথ বা অর্বিটাল । এই ইলেক্ট্রনগুলো পরমাণুর অভ্যন্তরে কক্ষপথগুলোতে কীভাবে বিন্যস্ত থাকে, তাই হলো সেই পরমাণুর ইলেক্ট্রন বিন্যাস ।   আণবিক পদার্থ বিজ্ঞান এবং কোয়ান্টাম রসায়ন অনুযায়ী ইলেক্ট্রন বিন্যাস হচ্ছে কোন পরমাণুতে ইলেক্ট্রনের সজ্জা । ইলেক্ট্রন নির্দিষ্ট সম্ভাব্য এলাকা জুড়ে পরিভ্রমণ করে যা অর্বিটাল নামে পরিচিত । এই অর্বিটালগুলোর আকৃতি এবং ইলেক্ট্রন ধারণক্ষমতা নিউক্লিয়াস থেকে অর্বিটালের দূরত্বের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন হয় । প্রতিটি অর্বিটালের সর্বোচ্চ ইলেক্ট্রন ধারণ ক্ষমতা নির্দিষ্ট । পরমাণুর কোন অর্বিটালে কতটি করে ইলেক্ট্রন অবস্থান করবে তা আউফবাউ নীতি অনুযায়ী নির্ধারিত হয় । কোন পরমাণুর অর্বিটালগুলোতে কতটি করে ইলেক্ট্রন রয়েছে তা বিশেষ উপায়ে প্রকাশিত রূপই হচ্ছে ইলেক্ট্রন বিন্যাস । পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসের উপরে ঐ পরমাণুর যোজনী নির্ভর করে । আকৃতি এবং ইলেক্ট্রন ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী অর্বিটালগুলোকে যথাক্রমে ইংরেজি বর্ণ s,p,d,f দ্বারা নির্দেশ করা হয় । প্রতিটি অর্বিটালের শক্তিমাত্রা নির্দিষ্ট । ইলেক্ট্রন এক শক্তিমাত্রার অর্বিটাল থেকে অন্য শক্তিমাত্রার অর্বিটালে লাফ দিতে পারে । এর ফলে ফোটন নামের একপ্রকার কোয়ান্টাম শক্তি কণার নিঃসরণ ঘটে । উদাহরণ হিসেবে নিচে কয়েকটি মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাস দিলাম।   H (1) ⇒ 1s1 He (2) ⇒ 1s2 C (6) ⇒ 1s2 2s2 2p2 O (8) ⇒ 1s2 2s2 2p4 এছাড়াও এই লিঙ্কে গিয়ে এই পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবকটি মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাস সম্পর্কে জানতে পারবেন ।

Talk Doctor Online in Bissoy App