আজ থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ’ বছর আগের কথা। সে সমাজে এক নাজুক পরিবেশে আলোর দিশারী মুক্তির মহাত্রাণকর্তা হিসেবে জন্ম নিলেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী, সব নবীর সেরা নবী, সব মানুষের সেরা মানুষ হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আরবের সম্ভ্রান্ত কোরাইশ বংশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নবীজি (সা.) আল্লাহ তা’আলার হুকুমে চিরসুন্দর, শাশ্বত ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করলেন। মানুষকে যে শিক্ষা দিয়েছিলেন তা হল-

* ইবাদাত করতে হবে একমাত্র আল্লাহর,

* তিনি এক, অদ্বিতীয়, * তাঁর কোনো শরিক নেই,

* সব ধরনের পাপ ও মিথ্যার পথ পরিহার করতে হবে,

* সত্যের পথ অনুসরণ করতে হবে।

* অসহায় মানুষের সেবা করতে হবে,

* বানোয়াট দেবদেবী ও প্রতিমার কোনো ক্ষমতা নেই। এদের ভালো-মন্দ করার কোনো শক্তিই নেই,

* পৃথিবীর চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র সবকিছুর মালিক মহান আল্লাহ, * তিনিই আমাদের রিজিকদাতা,

* জীবন মৃত্যু তাঁর হাতেই। কাজেই আমরা একমাত্র তাঁরই দাসত্ব করব, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, জুয়া, ব্যভিচার, প্রতারণা এ সবই পাপ।

* সত্য কথা বলতে হবে। সত্যের পথে চলতে হবে,

* ন্যায়বিচার করতে হবে। অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা যাবে না, * অবৈধভাবে কারও সম্পদ হরণ করা যাবে না, * সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে হবে,

* মুসলমান সবাই পরস্পর ভাই ভাই,

* মহানবী (সা.) আরও বোঝালেন, এ জীবনই শেষ নয়। মৃত্যুর পরও আর এক জীবন রয়েছে। সে জীবন অনন্ত,

* সে জীবনে আল্লাহর নিকট সবাইকে হাজির হতে হবে। দুনিয়ার সব কাজের হিসাব দিতে হবে,

* পৃথিবীতে যারা আল্লাহ ও রাসূলের কথা মানবে, নেক কাজ করবে, তারা পরকালে মুক্তি পাবে। পাবে চিরসুখের জান্নাত,

* আর যারা আল্লাহ ও রাসূলকে (সা.) মানবে না, মন্দ ও অসৎ কাজ করবে, তারা জাহান্নামে যাবে। আর জাহান্নাম হচ্ছে অবর্ণনীয় কষ্টের জায়গা

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ